অব্যবহৃত ডেটা-মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে কেন যুক্ত হবে না
Published: 17th, February 2025 GMT
মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন প্যাকেজের মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান কায়েস। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোতে গত ১৩ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি করা হয়েছে। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
রিটে বলা হয়, দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহক মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আইনে আছে, মোবাইল ফোনের অব্যবহৃত ডেটা ক্রয়কৃত পরবর্তী ডেটার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু মোবাইল ফোনের জন্য কেনা ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস অব্যবহৃত থেকে গেলেও তা পরবর্তী সময়ে আর ব্যবহার করা যায় না। কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানিই বিটিআরসির আইন মানছে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পরবর ত
এছাড়াও পড়ুন:
২১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মাসুম গ্রেপ্তার
ফতুল্লায় কিশোর মুরাদ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মাসুম ওরফে দাদা মাসুমকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১।
দীর্ঘ ২১ বছর পর নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় কিশোর মুরাদ হত্যা মামলায় মাসুম নামের এক যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা দেন।
নারায়ণগঞ্জর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুম ফতুল্লা তল্লা ছোট মজিদ মসজিদ এলাকার আব্দুল আহাদের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নিহত কিশোর মুরাদ একই এলাকার পনির হোসেনের ছেলে।
গত ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মো: মাসুম’সহ তার সহযোগিরা মিলে মুরাদকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে।
এই ঘটনায় মুরাদের মা সাহারা খাতুন বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।
আলোচিত হত্যাকান্ডের দীর্ঘ একুশ বছর পর গত (১০ এপ্রিল) এ রায় ঘোষনা করা হয়। রায় ঘোষনার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মাসুম পলাতক ছিলেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মোঃ মাসুম (৪৭) পিতা-আব্দুল আহাদ, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা তল্লা ছোট মসজিদ এলাকা থেকে তাকে( ১৫ এপ্রিল)রাত্রে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর এর অভিযানিক দল র্যাব-১১
নারায়ণগঞ্জ আদমজীনগর র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. ইশতিয়াক হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একটি সূত্রে জানাগেছে, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মাসুম ওরফে দাদা মাসুম নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তার বিরুদ্ধে শহরের তল্লা এলাকার পনিরের ছেলে মুরাদ (১) হত্যা, তল্লা গঞ্জে আলী শাহ্ রোড়ের রহিমের ছেলে মুরাদ (২) হত্যা, নগরখানপুরের রনি হত্যা, তল্লা গঞ্জে আলী শাহ্ রোড়ের হাওয়া বেগম হত্যা এবং নারায়ণগঞ্জের ডনচেম্বারের খোকা ও মেজরকে দাউদকান্দি নিয়ে জোড়া হত্যাসহ বেশ কিছু হত্যা মামলার আসামি। পনিরের ছেলে মুরাদ (১) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে খুন, মাদক, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। তার কাছে রয়েছে অসংখ্য অবৈধ অস্ত্র যা দিয়ে তিনি এ সকল অপকর্মগুলো করে বেড়ায়। শুধু তাই নয় তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।
তার অন্যতম সহযোগীরা হলেন- তল্লা ছোট মসজিদ এলাকার ভাগিনা পারভেজ, বরফকল শীতালক্ষ্যা হাউজিংয়ের তুষার, গঞ্জেআলী শাহ্ রোড় এলাকার বাবু ও তল্লা রেল লাইন এলাকার মুদি দোকানদার টুকুর ছেলে অন্তু। তারা খুন, মাদক, চাঁদাবাজি,ডাকাতি ও ছিনতাইসহ অসংখ্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে একাধিক বা কারাগারভোগ করেছেন।
মাসুম ওরফে দাদা মাসুম ও তার সহযোগীদের অত্যাচার ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে অতিষ্ঠ ১১নং ওয়ার্ডবাসী। আর সেই খুনসহ ডাকাতি মাদক, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই মামলার আসামি মাসুকে শেল্ডার দিচ্ছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ এক নেতা।
শুধু তাই নয় মাসুমকে ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক করার জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।