মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন প্যাকেজের মেয়াদ শেষে অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান কায়েস। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোতে গত ১৩ জানুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি করা হয়েছে। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। 

রিটে বলা হয়, দেশে প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহক মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। আইনে আছে, মোবাইল ফোনের অব্যবহৃত ডেটা ক্রয়কৃত পরবর্তী ডেটার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। কিন্তু মোবাইল ফোনের জন্য কেনা ইন্টারনেট ডেটা, মিনিট ও এসএমএস অব্যবহৃত থেকে গেলেও তা পরবর্তী সময়ে আর ব্যবহার করা যায় না। কোনো মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানিই বিটিআরসির আইন মানছে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরবর ত

এছাড়াও পড়ুন:

রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রহমতুন্নেসা হলের ভুল বানান সম্বলিত একটি নিবন্ধন ফরমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি সামনে আসার পর থেকে এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ফরমে এত বড় ভুল কিভাবে হয় প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক পেজে সিদ্দিকা ত্বহা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফরমের ছবি তুলে পোস্ট দেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘এভাবেই কি আমরা শিখব?’

দেখা গেছে, ওই ফরমে বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা হয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যায়’ এবং রাজশাহীকে লেখা হয়েছে ‘লাজশাহী’। এছাড়া নিবন্ধীকরণ বানানও ভুল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. ইপ্তি আক্তার বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। এ সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের যেকোন দাপ্তরিক নথিতে বাক্য ও বানানের ভুল মেনে নেওয়া যায়নি। হলের ফরমে খুব বেশি লেখা নেই। এ অল্প কিছু লেখায় যদি ৪-৫টা ভুল থাকে, তা সত্যি লজ্জাজনক।”

তিনি বলেন, “সবচেয়ে হতাশার বিষয় হলো- ‘বিসমিল্লাই গলদ’ করে রেখেছে। হল প্রশাসনকে আরো সতর্ক হওয়া উচিত এসব বিষয়ে। হল প্রশাসনকে বলতে চাই, পরবর্তী সময়ে কোন নোটিস দিলে অবশ্যই যেন  যাচাই-বাছাই করে দেওয়া হয়।”

রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. ইসমত আরা বেগম বলেন, “ছবিটি আমার নজরে এসেছে। তবে এখানে পুরো ছবিটা আসেনি। এখানে কেউ ইন্টেনশনালি আমাকে এবং আমার হলকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য করেছে কি না- সেটিও দেখতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমি খোঁজ নিচ্ছি, যদি এটি আমার হলের কোন ডকুমেন্ট হয়ে থাকে, অবশ্যই এটি সংশোধন করবো এবং সংশ্লিষ্ট স্টাফকে সতর্ক করব। হলের যেকোনো বিজ্ঞপ্তি অথবা ডকুমেন্টে বানানের বিষয়ে পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, “আমি মনে করি এগুলো সতর্কতার অভাব, সিরিয়াসনেসের অভাব। অনেক সময় ভুলবশত প্রিন্টিং মিস্টেক হয়ে যায়। এসব বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর
  • ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনার বিকল্প নিয়ে রিয়াদে বৈঠক করলেন আরব নেতারা
  • ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে যা জানালো অধিদপ্তর
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের আগুন
  • দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের ভয়াবহ আগুন
  • শিক্ষার্থীরা চাইলেন এক হলের নাম পরিবর্তন, প্রশাসন বদলাল ৮ হলের
  • ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘শিবির’ নিয়ে যা বললেন ছাত্রদল সম্পাদক
  • সরকারকে ২ দিনের আলটিমেটাম রাবি শিক্ষার্থীদের
  • পরবর্তী সরকারকেও সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে
  • রাবির হলের রেজিস্ট্রেশন ফরমে একি হাল!