আ’লীগ নেতা আছেন সন্দেহে গুলশানে বাড়ি ভাঙচুর
Published: 16th, February 2025 GMT
আওয়ামী লীগের নেতা আছেন সন্দেহে রাজধানীর গুলশানে একটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে গুলশান-২ এর ৪১ নম্বর সড়কের ৭/১ বাড়িটি ঘেরাও করেন প্রায় দেড়শ ছাত্র-জনতা। তারা বাড়ির মূল ফটক ভাঙার পরপরই সেখানে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জানা গেছে, বাড়িটি খুলনা জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি ড.
ড. মাহবুবুল জানান, এক বছর ধরে তিনি খুলনায় আছেন। গুলশানের বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন। রাতে তিনি খবর পেয়েছেন, তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছে। কে বা কারা এটা করেছে, তা তিনি জানেন না। তবে মাহবুবুল জানতে পেরেছেন, রাত ১০টার দিকে একদল লোক বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে ছয় নিরাপত্তা কর্মীকে মারধর করে বের করে দেয়। এর মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর। এরপর তারা মূল ফটকসহ বাসার কাচ ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় বাসার ব্যবস্থাপক পুলিশকে ফোন দিলে তারা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একদল পুলিশ পৌঁছে যায়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মানিকগঞ্জে একদল লোকের বাধায় সাধুর মেলা হলো না
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে স্থানীয় একদল লোকের বাধায় ফকির মওলা দরবার শরিফের বাউলশিল্পী রশিদ সরকারের সাধুর মেলা পণ্ড হয়ে গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে উপজেলার আজিমপুরে অনুষ্ঠিত এ মেলায় স্থানীয়সহ আশপাশের এলাকার একদল লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে বাধা দিলে মেলা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১২ জনকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাইর থানার পুলিশ।
সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মেলায় সমস্যাটি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। রশিদ সরকারের বড় ছেলে সিঙ্গাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার। পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গত ১৫ বছর তাঁদের বিতর্কিত কার্যক্রমে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিবারটির ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় লোকজনকে বুঝিয়ে ক্ষোভ থেকে যেন কোনো ধরনের সহিংসতার ঘটনা না ঘটে সে পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু মেলা করতে গেলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আয়োজকদের উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে রশিদ সরকারের পরিবারের সদস্যসহ ১২ জনকে হেফাজতে আনা হয়েছে। তাঁদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরবারের একাধিক ভক্ত জানান, বাউলসম্রাট রশিদ সরকার জীবিত থাকা অবস্থায় সিঙ্গাইর উপজেলার আজিমপুরে প্রতিবছর সাধুর মেলার আয়োজন করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী এ মেলা হওয়ার কথা ছিল। তবে কয়েক দিন ধরে মেলা করতে দেবে না বলে জানাচ্ছিলেন মিঠু (উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মিঠু)। এরপরও আজ শত শত ভক্ত ফকির মওলা দরবার শরিফে আসেন। ভক্তরা আসায় দুপুরের দিকে বাধাদানকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ রশিদ সরকারের স্ত্রী শিরিন রশিদ (৬০), তাঁর বড় ছেলে আবু নাঈম মো. বাশারের স্ত্রী শাহানারা আক্তারসহ (৩৭) কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়।
মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলার নামে মূলত সেখানে গাঁজা সেবন করা হয়। এটা গাঁজার মেলা। এই মেলা উপলক্ষে সেখানে অন্তত ১০ টন গাঁজা সেবন হয়। পুরো এলাকার লোকজন ভীষণ বিরক্ত। এ ছাড়া ধর্মীয় রীতিনীতিবহির্ভূত কাজও হয় সেখানে। স্থানীয়সহ পুরো সিঙ্গাইরের লোকজন এটি বন্ধের জন্য সেখানে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আমরাও সেখানে গিয়েছিলাম।’