Samakal:
2025-03-27@22:08:53 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

Published: 16th, February 2025 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

বিসিএসের প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। একটি অসাধারণ প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে অভীষ্ট লক্ষ্যে। কেমন এবং কীভাবে শুরু হওয়া উচিত এই পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল, জানাচ্ছেন এম. এ. মান্নান 

বিসিএস একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। পরিশ্রম করলে আপনি সফল হবেন– এই বিশ্বাস রাখতে চেষ্টা করুন। প্রথমেই বিসিএস প্রিলিমিনারির সিলেবাসটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সিলেবাস ধরে বিগত প্রশ্নগুলো পড়ে আপনি আপনার স্ট্রং জোন আর উইক জোন বের করুন। সিলেবাসের টপিক ধরে ধরে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্নগুলো অ্যানালাইসিস করুন এবং আপনি যে টপিকগুলো পড়েছেন, তার থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আগের বিসিএসগুলোতে এসেছে, তা খেয়াল করুন।

বিসিএস সিলেবাসে এমন অনেক টপিক আছে, যা আপনি আগে থেকেই জানেন বা ধারণা আছে। আবার কিছু কিছু বিষয় আপনার জন্য একেবারেই নতুন। এই নতুন বিষয়গুলো থেকে নিজের মতো করে কিছু বিষয় নির্বাচন করে পড়া শুরু করে দিন। একটি অসাধারণ অলরাউন্ড প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দেবে আপনার অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনি হয়ে যাবেন বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। আর সে জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে রুটিন করে। বিসিএসের সিলেবাস বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।  আপনাকে জানতে হবে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন। বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। পরীক্ষার  প্রস্তুতি যদি পরিকল্পনামাফিক হয়ে থাকে, তাহলে হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব। বিসিএস হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। কারণ, এখানে এসে আপনি জীবনে প্রথম অনেক বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে শুরু করেন। যেমন বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সংবিধান সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। তাই এমন বিষয় আয়ত্ত করতে বেশি পরিশ্রম করতে ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। আজ আলোচনা করা হলো ইংরেজি বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।  

 Noun, Adjective, Verb, Preposition, adverb, Conjunction থেকে প্রশ্ন আসবেই। এ অংশে আপনি অবশ্যই ৪-৫ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন। Gerund ও Participle অংশে ২-৩ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। Parts of Speech-এর পরিবর্তন, অর্থাৎ Noun থেকে Adjective, Adjective থেকে Adverb রূপান্তর শনাক্তকরণে ২-৩ নম্বর থাকবে।
নম্বর পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভোকাবুলারি। Synonyms, Antonyms, One Word Substitutions, Idiom Phrases, Group Verbs, Misspelling অংশ থেকে ৬-৭ নম্বর অবশ্যই থাকবে। এ জন্য পড়ার কৌশল হচ্ছে বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন ও তার ব্যাখ্যার সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরির ভোকাবুলারি পড়ে নেওয়া। 
গ্রামার রুলস; যেমন Condition, Narration, Voice, Right form of verbs, Transformation of Sentencesসহ প্রতিটি অংশ থেকে প্রশ্ন থাকে। গ্রামার রুলস অংশে এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের প্রশ্ন থাকে। তাই যত্ন করে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যতিক্রম উদাহরণগুলো পড়তে হবে।
Article, Degree, Tag Question, Parallelism পরীক্ষায় সরাসরি না এলেও Pin point error ধরনের প্রশ্ন সমাধানে কাজে লাগে। তাই এসব বিষয় এড়িয়ে যাবেন না।
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এই বিষয়গুলো আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি নতুন। ইংরেজি সাহিত্যের খুঁটিনাটি পড়তে গিয়ে অনেকেই সময় নষ্ট করেন। এ ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম এবং কিছু কোটেশন শিখলে ১৫-তে অন্তত ১০-১২ নম্বর সহজেই পেতে পারেন। শুরুতেই আগের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ইংরেজি সাহিত্যের প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। এর পর বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

ইংরেজি সাহিত্যের যুগ বিভাজন সম্পর্কে জানা আবশ্যক। এলিজাবেথীয় যুগ, রোমান্টিক যুগ, ভিক্টোরিয়ান যুগ ও আধুনিক যুগ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। তাই এ যুগগুলোর সাহিত্যিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের কিংবদন্তি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের সব সাহিত্যকর্ম বিস্তারিত পড়তে হবে। তাঁর বিখ্যাত সব ট্র্যাজেডি ও কমেডির চরিত্র ও কোটেশন ভালোমতো শিখতে হবে। তাঁর সাহিত্যকর্ম থেকে প্রতি বিসিএসেই একাধিক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়।
ইংরেজি সাহিত্যে কিছু পরিভাষা ব্যবহৃত হয়, যেগুলোকে ‘লিটারেরি টার্মস’ বলা হয়। এই পরিভাষাগুলো থেকে প্রতিনিয়তই প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া বিখ্যাত লেখকদের উপাধি, ছদ্মনাম ও একই নামের একাধিক সাহিত্যকর্ম গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন পদক-পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের জাতীয় কবি, প্রসিদ্ধ লেখকদের দেশ-পরিচয় সম্পর্কেও জেনে রাখতে পারেন।

নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া
ইংরেজি পরীক্ষায় ভালো করার প্রধান শর্ত নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি সংবাদ পড়তে হবে। নতুন শব্দগুলো নোট করে বারবার রিভিশন দিতে হবে। কোনো সংবাদ খুব বেশি কঠিন মনে হলে মূলভাব বুঝে নিতে হবে। ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ, প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার সংবাদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। পড়ার সময় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে সেগুলো লিখে রাখবেন। এতে রচনা ও বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করলে রিডিং কমপ্রিহেনশন খুব সহজেই বোঝা যাবে। অনুবাদ করার দক্ষতা বাড়বে। রচনা লেখার মান বেড়ে যাবে।

শব্দভান্ডার বাড়ানো
ইংরেজির শব্দভান্ডার দু-এক দিনে বাড়বে না, নিয়মিত ১০টি করে নতুন নতুন শব্দ শিখুন। অনেকেই অভিযোগ করেন ইংরেজি শব্দ মনে থাকে না বা খুব দ্রুত ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে, প্রতিটি ইংরেজি শব্দ পড়ে বাক্যে ব্যবহার করতে হবে। কিছু ভোকাবুলারির বই আছে, যেগুলোয় প্রতিটি ইংরেজি শব্দের সঙ্গে এর ব্যবহার দেওয়া আছে। শব্দটি বাক্যে কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি বুঝতে পারলে তা মনে থাকবে। ইংরেজি ভোকাবুলারিতে ভালো দখল না থাকলে অনুচ্ছেদ বুঝতে যেমন সমস্যা হবে, তেমনি অনুবাদ ও রচনা লিখতেও বারবার হোঁচট খেতে হবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স এস প র ল ম ন র স হ ত যকর ম পর ক ষ ব যবহ প রথম আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

৩০০ বছরের পুরোনো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘উলচাপাড়া শাহী জামে মসজিদ’

বিশাল চওড়া ফটক‌। ফটকের ওপর কারুকাজে নির্মিত দুটি মিনার। সুউচ্চ ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকলে ছয়টি ছোট–বড় মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট প্রাচীন মসজিদ চোখে পড়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার উলচাপাড়া এলাকার এই মসজিদের নাম উলচাপাড়া মসজিদ। এলাকাবাসীর কাছে এটি ‘উলচাপাড়া শাহী জামে মসজিদ’ হিসেবে পরিচিত।

মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো। এটি বর্তমানে দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।

চার ফুট উচ্চতার মজবুত প্ল্যাটফর্মের ওপর চুন–সুরকি, ইট আর কালো পাথরের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদের অবকাঠামো। মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য খোপকাটা মৌলিক টেরাকোটার অলংকরণ। মসজিদটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিমাংশে নামাজের কক্ষ আর নামাজের কক্ষের পূর্ব পাশে বারান্দা। মসজিদের ওপর বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজের কক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা আছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে স্থানের তালিকায় উলচাপাড়া মসজিদের নাম উল্লেখ আছে। সেখানে উলচাপাড়া মসজিদের বিষয়ে উল্লেখ আছে, মসজিদের নির্মাণ কৌশল ও মসজিদে ব্যবহৃত ইট দেখে মনে হয় যে এটি সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত। মসজিদে পাওয়া শিলালিপি পাঠ থেকে জানা যায়, ১৭২৭–২৮ সালে কোনো বণিক কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল।

এই মসজিদে দীর্ঘ ২১ বছর ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহ। অসুস্থতার কারণে তিনি বর্তমানে আসতে পারেন না। বর্তমানে মসজিদ তত্ত্বাবধান করছেন মাওলানা আখতারুজ্জামান। কথা হলে তাঁরা দুজন প্রথম আলোকে বলেন, মসজিদটি ৩০০ বছরের পুরোনো। অনেক মানুষ এই মসজিদ দেখতে এলাকায় আসেন। তবে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে তাঁরা বেশি কিছু জানেন না বলে জানালেন।

মসজিদে কথা হয় ইতিকাফে বসা উলচাপাড়ার গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের (৬৫) সঙ্গে। তাঁর বাবা এনায়েত আলী এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। ১৯৭৫ সালে ১০৫ বছর বয়সে এনায়েত আলী মারা যান। হাবিবুর রহমানের দাদা মোহাম্মদ তোরাব আলী মৃধাসহ পরদাদারা এই মসজিদে নামাজ পড়েছেন।

গ্রামের বাসিন্দা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের প্রভাষক মোবারক হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়েছে। এর পর থেকে মসজিদের কোনো সংস্কারকাজ এলাকাবাসী চাইলেও করতে পারছেন না। মসজিদটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো। প্রতিদিন অনেক মানুষ মসজিদটি দেখতে এই গ্রামে আসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ