Samakal:
2025-02-22@18:04:54 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

Published: 16th, February 2025 GMT

বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি

বিসিএসের প্রথম ধাপ হচ্ছে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। একটি অসাধারণ প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে অভীষ্ট লক্ষ্যে। কেমন এবং কীভাবে শুরু হওয়া উচিত এই পরীক্ষার প্রস্তুতির কৌশল, জানাচ্ছেন এম. এ. মান্নান 

বিসিএস একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। পরিশ্রম করলে আপনি সফল হবেন– এই বিশ্বাস রাখতে চেষ্টা করুন। প্রথমেই বিসিএস প্রিলিমিনারির সিলেবাসটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সিলেবাস ধরে বিগত প্রশ্নগুলো পড়ে আপনি আপনার স্ট্রং জোন আর উইক জোন বের করুন। সিলেবাসের টপিক ধরে ধরে বিগত বছরের বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রশ্নগুলো অ্যানালাইসিস করুন এবং আপনি যে টপিকগুলো পড়েছেন, তার থেকে কী ধরনের প্রশ্ন আগের বিসিএসগুলোতে এসেছে, তা খেয়াল করুন।

বিসিএস সিলেবাসে এমন অনেক টপিক আছে, যা আপনি আগে থেকেই জানেন বা ধারণা আছে। আবার কিছু কিছু বিষয় আপনার জন্য একেবারেই নতুন। এই নতুন বিষয়গুলো থেকে নিজের মতো করে কিছু বিষয় নির্বাচন করে পড়া শুরু করে দিন। একটি অসাধারণ অলরাউন্ড প্রস্তুতি আপনাকে পৌঁছে দেবে আপনার অভীষ্ট লক্ষ্যে। আপনি হয়ে যাবেন বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসের একজন সদস্য। আর সে জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে হবে রুটিন করে। বিসিএসের সিলেবাস বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।  আপনাকে জানতে হবে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে প্রস্তুতি শুরু করবেন। বিসিএস ক্যাডার হওয়া অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো। পরীক্ষার  প্রস্তুতি যদি পরিকল্পনামাফিক হয়ে থাকে, তাহলে হাজার হাজার প্রার্থীর মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেকে এগিয়ে রাখা সম্ভব। বিসিএস হচ্ছে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরীক্ষা। তাই এখানে সফল হতে হলে যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা হচ্ছে ধৈর্য। কারণ, এখানে এসে আপনি জীবনে প্রথম অনেক বিষয়ের খুঁটিনাটি জানতে শুরু করেন। যেমন বাণিজ্য ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা সংবিধান সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। তাই এমন বিষয় আয়ত্ত করতে বেশি পরিশ্রম করতে ধৈর্যের সঙ্গে নিয়মিত প্রস্তুতির জন্য আত্মবিশ্বাসী হতে শিখুন। আজ আলোচনা করা হলো ইংরেজি বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে।  

 Noun, Adjective, Verb, Preposition, adverb, Conjunction থেকে প্রশ্ন আসবেই। এ অংশে আপনি অবশ্যই ৪-৫ নম্বরের প্রশ্ন পাবেন। Gerund ও Participle অংশে ২-৩ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। Parts of Speech-এর পরিবর্তন, অর্থাৎ Noun থেকে Adjective, Adjective থেকে Adverb রূপান্তর শনাক্তকরণে ২-৩ নম্বর থাকবে।
নম্বর পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ভোকাবুলারি। Synonyms, Antonyms, One Word Substitutions, Idiom Phrases, Group Verbs, Misspelling অংশ থেকে ৬-৭ নম্বর অবশ্যই থাকবে। এ জন্য পড়ার কৌশল হচ্ছে বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রশ্ন ও তার ব্যাখ্যার সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরির ভোকাবুলারি পড়ে নেওয়া। 
গ্রামার রুলস; যেমন Condition, Narration, Voice, Right form of verbs, Transformation of Sentencesসহ প্রতিটি অংশ থেকে প্রশ্ন থাকে। গ্রামার রুলস অংশে এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের প্রশ্ন থাকে। তাই যত্ন করে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যতিক্রম উদাহরণগুলো পড়তে হবে।
Article, Degree, Tag Question, Parallelism পরীক্ষায় সরাসরি না এলেও Pin point error ধরনের প্রশ্ন সমাধানে কাজে লাগে। তাই এসব বিষয় এড়িয়ে যাবেন না।
ইংরেজি সাহিত্যের ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। এই বিষয়গুলো আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি নতুন। ইংরেজি সাহিত্যের খুঁটিনাটি পড়তে গিয়ে অনেকেই সময় নষ্ট করেন। এ ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম এবং কিছু কোটেশন শিখলে ১৫-তে অন্তত ১০-১২ নম্বর সহজেই পেতে পারেন। শুরুতেই আগের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ইংরেজি সাহিত্যের প্রশ্নগুলো খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। এর পর বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্মগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

ইংরেজি সাহিত্যের যুগ বিভাজন সম্পর্কে জানা আবশ্যক। এলিজাবেথীয় যুগ, রোমান্টিক যুগ, ভিক্টোরিয়ান যুগ ও আধুনিক যুগ থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। তাই এ যুগগুলোর সাহিত্যিকদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের কিংবদন্তি উইলিয়াম শেক্সপিয়রের সব সাহিত্যকর্ম বিস্তারিত পড়তে হবে। তাঁর বিখ্যাত সব ট্র্যাজেডি ও কমেডির চরিত্র ও কোটেশন ভালোমতো শিখতে হবে। তাঁর সাহিত্যকর্ম থেকে প্রতি বিসিএসেই একাধিক প্রশ্ন কমন পাওয়া যায়।
ইংরেজি সাহিত্যে কিছু পরিভাষা ব্যবহৃত হয়, যেগুলোকে ‘লিটারেরি টার্মস’ বলা হয়। এই পরিভাষাগুলো থেকে প্রতিনিয়তই প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া বিখ্যাত লেখকদের উপাধি, ছদ্মনাম ও একই নামের একাধিক সাহিত্যকর্ম গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। ইংরেজি সাহিত্যের বিভিন্ন পদক-পুরস্কার, বিভিন্ন দেশের জাতীয় কবি, প্রসিদ্ধ লেখকদের দেশ-পরিচয় সম্পর্কেও জেনে রাখতে পারেন।

নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া
ইংরেজি পরীক্ষায় ভালো করার প্রধান শর্ত নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি সংবাদ পড়তে হবে। নতুন শব্দগুলো নোট করে বারবার রিভিশন দিতে হবে। কোনো সংবাদ খুব বেশি কঠিন মনে হলে মূলভাব বুঝে নিতে হবে। ইংরেজি পত্রিকার সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, আন্তর্জাতিক, বাংলাদেশ, প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার সংবাদগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। পড়ার সময় কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলে সেগুলো লিখে রাখবেন। এতে রচনা ও বাংলাদেশ বিষয়াবলির প্রস্তুতিতে কাজে লাগবে। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করলে রিডিং কমপ্রিহেনশন খুব সহজেই বোঝা যাবে। অনুবাদ করার দক্ষতা বাড়বে। রচনা লেখার মান বেড়ে যাবে।

শব্দভান্ডার বাড়ানো
ইংরেজির শব্দভান্ডার দু-এক দিনে বাড়বে না, নিয়মিত ১০টি করে নতুন নতুন শব্দ শিখুন। অনেকেই অভিযোগ করেন ইংরেজি শব্দ মনে থাকে না বা খুব দ্রুত ভুলে যান। এ ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে, প্রতিটি ইংরেজি শব্দ পড়ে বাক্যে ব্যবহার করতে হবে। কিছু ভোকাবুলারির বই আছে, যেগুলোয় প্রতিটি ইংরেজি শব্দের সঙ্গে এর ব্যবহার দেওয়া আছে। শব্দটি বাক্যে কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেটি বুঝতে পারলে তা মনে থাকবে। ইংরেজি ভোকাবুলারিতে ভালো দখল না থাকলে অনুচ্ছেদ বুঝতে যেমন সমস্যা হবে, তেমনি অনুবাদ ও রচনা লিখতেও বারবার হোঁচট খেতে হবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব স এস প র ল ম ন র স হ ত যকর ম পর ক ষ ব যবহ প রথম আপন ক

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টি কমিয়েছে মেলার ক্রেতা

শনিবার সন্ধ্যার বৃষ্টির মুহূর্তটা বদলে দিল বইমেলা। বই সাজিয়ে রাখা টেবিলগুলো ঢেকে গেল নীল পলিথিনে। প্যাভিলিয়নের সামনে টাঙিয়ে দেওয়া হলো ত্রিপল। মেলায় আসা মানুষেরা দৌড়াতে শুরু করলেন ছাউনির খোঁজে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ফেরার সময় দেখা গেল, সবকিছু আবার সাজিয়ে এদিন আর নতুন করে বিক্রি শুরুর দম ছিল না বিক্রেতাদের। ততক্ষণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলার মাঠে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমেছে। কোনো কোনো দোকানের বই ভিজেছে। দুই পাশের গেট খুলে রাখায় পাঠক সমাবেশের প্যাভিলিয়নে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ছিলেন সবচেয়ে বেশি। তাঁদের মধ্য থেকে একজন বলেন, সকালে দেখা যাবে মাঠজুড়ে রোদ পোহাচ্ছে বই।

অথচ আজকের মেলা শুরু হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারির বিকেলের চেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিয়ে। বিক্রেতারা বলছিলেন, ভিড়ে ক্রেতার সংখ্যা ছিল ভালো। বিক্রি বাড়ছে, পাঠক আসছেন। সেই তথ্য অবশ্য বৃষ্টি আসার আগেই বিকেলের মেলায় আভাস পাওয়া গেছে।

টিএসসির গেট দিয়ে প্রবেশ করে হাতের ডানে ইউপিএল, প্রথমা, অবসর অতিক্রম করে অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের সামনে দেখা গেল জটলা বেধেছে। তিন ভাগে ভাগ হয়ে মানুষ আড্ডা দিচ্ছেন এক জায়গায়। এর মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন চীনা অধ্যাপক দং ইউ ছেন পাঞ্জাবি গায়ে। এবার তিনি বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলার জন্যই এ দেশে এসেছেন। ২০১৬ সালে চীনা ভাষায় ৩৩ খণ্ডে প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবলীর তিনি একজন অনুবাদক। এবারের মেলায় আরেক অনুবাদক ইয়াং ওয়েই মিং স্বর্ণা আর তাঁর যৌথ কাজে প্রকাশিত হয়েছে কনফুসিয়াসের কথোপকথন।

দং ইউ ছেন প্রথম আলোকে বলেন, সোভিয়েত রাশিয়ার আমলে গত শতকের আশির দশকে তিনি লেনিনগ্রাদে পাঁচ বছর বাংলা ভাষা শিখেছিলেন চাকরির অংশ হিসেবে। সেখান থেকে শুরু তাঁর বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক। ভাঙা ভাঙা বাংলায় দং ইউ ছেন জানান, ইংরেজির চেয়ে তাঁর কাছে বাংলা সহজ। কথা প্রসঙ্গে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাটানো সুন্দর সময়ের বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করলেন তিনি।

পাঠক সমাবেশের সামনে ততক্ষণে শুরু হয়েছে লাইট ও ক্যামেরা চালু করে লেখকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের প্রস্তুতি। বৃষ্টি নামার আগমুহূর্তে নিজের বই নিয়ে কথা বলছিলেন বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সভাপতি বুলবুল হাসান। বর্তমানে প্রবাসী এই গণমাধ্যমকর্মী বলেন, অন্তহীন বিতর্কযাত্রা: একটি আত্মজীবনীর খসড়া বইতে তিনি বাংলাদেশের বিতর্কের ইতিহাসটাও ধরে রাখতে চেয়েছেন। কথা শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টির শুরু। ছাউনি খুঁজতে প্রথমার প্যাভিলিয়নের দিকে গিয়ে জানা গেল একটি ভালো খবর। গতকাল এই প্রকাশনা থেকে একবারে ৭০ কপির বেশি বই কিনেছেন কুমিল্লার ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া শশীদল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজ’– এর প্রতিনিধিরা। বিক্রয়কর্মীরা বলেন, তাঁরা ৭০টির বেশি শিরোনামের বই কিনেছেন এক কপি করে। গতকাল ক্রেতা বাড়ছিল প্রথমা প্রকাশনেও; আর তখনই আকাশ ঝেপে এল বৃষ্টি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ