Samakal:
2025-02-22@23:03:53 GMT

সার্চের প্রশ্নে এআই বিতর্ক

Published: 16th, February 2025 GMT

সার্চের প্রশ্নে এআই বিতর্ক

বিশ্বজুড়েই বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দৌরাত্ম্য। এআই প্রযুক্তির উন্নয়নে অনেক দেশ আগ্রহী। প্যারিস সম্মেলনে বক্তারা এআই পরিচালিত ভবিষ্যতের জন্য মানবিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। আবার এআই প্রযুক্তি নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও ছড়ান। প্যারিস সম্মেলনে ঘোষণা আসে, পরের আন্তর্জাতিক এআই সামিটের আয়োজক হবে ভারত। লিখেছেন সাব্বিন হাসান

গুগল বা এআই সার্চের মধ্যে মৌলিক তফাত কোথায়– এমন প্রশ্ন অনেকেরই। গুগল ছাড়া অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে যখনই কিছু টাইপ করে সার্চ করেন, তখন ওই বিষয়ে বহু তথ্যচিত্র ও লেখা স্ক্রিনে দৃশ্যমান হয়। প্রয়োজনে পরপর ক্লিক করে তা পড়ে নিতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্যারিস সম্মেলনে অনেকেই শুনিয়েছেন আশঙ্কার কথা। অনেকে আবার বলেছেন অমিত সম্ভাবনার কথা।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে প্রায় সবারই কমবেশি ধারণা জন্মেছে। মূল কথা, জটিল সব কাজ আগের তুলনায় এখন এআই প্রযুক্তির কল্যাণে অনেক সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে। বিপরীতে ক্ষতির দিকটি হলো, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভবিষ্যতে মানবীয় কাজে চূড়ান্ত ভাগ বসাতে পারে। অনেকে হারাতে পারেন কর্ম; বিনষ্ট হতে পারে মানবীয় সক্ষমতা ও সৃজনশীলতা।

সহজে বললে, সব ধরনের কাজকেই নিমেষে তুড়ি বাজিয়ে করে দিচ্ছে এআই প্রযুক্তি। দিনে দিনে এমন প্রযুক্তির সক্ষমতা কল্পনাকেও হার মানাবে।
ফলে আর কাজের জন্য মানুষ নয়, প্রয়োজন হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সময় বলছে, এআই দিব্যি কবিতা লিখে ফেলছে। তাহলে আগামী দিনে কবির কদর কমে যাবে। এসবের চেয়ে রয়েছে বড় বিপদ। বিষয়টি আলোচনায় খুব কমই এসেছে। প্যারিসে এআই অ্যাকশন সম্মেলনে কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতারা এমন কথাই বলেছেন।

স্বাভাবিকভাবে ওপরের দিকে আসা কয়েকটা লেখা পড়ি। বাকি সব খুলে দেখি না। ওই ওপরে থাকা সব লেখার ভিত্তিতেই তৈরি হয় মতামত। কিছু সার্চ করলে কোন ওয়েবসাইটের লেখা প্রথমে আসবে আর কোনটা শেষের দিকে আসবে– সেসবই ঠিক করে গুগল উদ্ভাবিত নিজস্ব অ্যালগরিদম। যার রহস্য অনেকেরই অজানা। সার্চ আগ্রহীরা শুধু দেখতে পাই, গুগল কী দিচ্ছে। কেন দিচ্ছে, তার সদুত্তর জানা নেই। প্রায় সবার প্রত্যাশা, তার ওয়েবসাইটে লেখা গুগল সার্চে ওপরের সারিতে দৃশ্যমান হোক। যেন বেশি ভিউ হয়। এমন চাহিদা পূরণে পেছনে যা কাজ করে, তাকে বলা হয় (এসইও) সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।
এমন প্রত্যাশা পূরণে শুধু চেষ্টাই করা সম্ভব। সিদ্ধান্ত কিন্তু নেয় গুগল অ্যালগরিদম। এবার জানা যাক এআই সার্চের কথা। যেমন জেমিনি বা কো-পাইলটের মতো অ্যাপ্লিকেশন ব্রাউজার খুলবেন। তার পর টাইপ করে কিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করবেন। এআই চাহিদা পূরণে প্রত্যাশিত লেখা তৈরি করে দেবে। যতটুকু ও যেভাবে চাইবেন, ঠিক সেভাবে লেখা তৈরি করবে। সারাংশ (সিনপসিস) চাইলে ছোট লেখাই দেবে। ঠিক কোথা থেকে তথ্য নিয়ে জেমিনি বা কো-পাইলট লেখাটা তৈরি করল, তা কিন্তু জানার সুযোগ নেই। কিছু তথ্য খুঁজলে গুগল অন্তত পঞ্চাশের বেশি কনটেন্ট সামনে হাজির করবে। ওখান থেকে সব পড়ে নিজের প্রয়োজন পূরণ করে– এমন লিঙ্কে যেতে পারবেন। এআই চাহিদা পূরণে প্যারাগ্রাফ তৈরি করে দেবে। সহজেই যা বুঝতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের ঠিক এখানেই চিন্তা। গুগল অ্যালগরিদম দেখতে পান, কিন্তু ঠিকঠাক বুঝতে পারেন না। এআই প্রযুক্তি অ্যালগরিদম বুঝতে পারবে না। আর তা অনুমান করা সহজও নয়। ফলে এমন প্রযুক্তির সাহচর্যে অসত্য তথ্য, ভুয়া তথ্য, পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য দৃশ্যমান হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়।

ভুল তথ্য পরিবেশনের কারণে জানার জায়গাটা অসত্য হয়ে যাবে। ভুল বুঝব। যার প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী ও মারাত্মক ক্ষতিকর। অনেকেই রাজনৈতিক তথ্য জানার প্রয়োজনে (পলিটিক্যাল ন্যারেটিভ) তৈরিতে এআই প্রযুক্তির শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। অনেকে বিজনেসে আনডিউ অ্যাডভান্টেজ নিতে এআইমুখী হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে নিজের অজান্তে তথ্য প্রতারণার মুখোমুখি হতে পারেন। প্যারিস সম্মেলনে বক্তারা এআই প্রযুক্তির অ্যালগরিদমকে পক্ষপাতদুষ্ট তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত রাখার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। প্যারিস সম্মেলনে বক্তারা এআই পরিচালিত ভবিষ্যতের জন্য মানবিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। আবার এআই প্রযুক্তি নিয়ে কিছুটা সতর্ক করেন।
সারাবিশ্বে এআই প্রযুক্তির বিকাশে কর্মসংস্থান কি কমবে– এমন প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইতিহাস বলছে, প্রযুক্তি বিকাশে মানুষের কাজ কখনও কমেনি, বরং কাজের মানোন্নয়ন হয়েছে, ধরন বদলেছে। ঠিক এমন যুক্তিতেই এআই পরিচালিত ভবিষ্যতের জন্য মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে হবে।
প্যারিস সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অংশ নেন। ছিলেন বিশ্বের নানা দেশের প্রতিনিধিরা। 

প্যারিস মঞ্চে জানানো হয়, পক্ষপাতহীন মানোন্নত ডেটা সেন্টার তৈরি করতে হবে। সারাবিশ্বের কাছে এমন ওপেন সোর্স সিস্টেম তৈরি করতে হবে, যা বিশ্বাস ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে, মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে। এআই প্রযুক্তির সুবিধা যেন সমভাবে সবাই পায়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেন বিশ্বনেতারা।

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত র জন য ম ন এমন প

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই হতে হবে

এখন কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না। তাদের মনে রাখা উচিত, জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্য হয়নি। এই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা হলো সংস্কার এবং নির্বাচন দুটিই হতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে রাজনৈতিক দলগুলো কেবল ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে নিজেদের স্বার্থে রাজনীতি করেছে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এ ধারার আমূল পরিবর্তন করতে হবে।

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে গতকাল শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি’ শীর্ষক একটি অধিবেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা। গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বর্তমান সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর কাজের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনার কোনো ব্যবস্থা নেই। এতে প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ আছে। সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর জবাবদিহি নিশ্চিতের প্রবিধান সংযুক্ত করা হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করে তোলার ওপর। বিগত সরকারের সময়ে দেশের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চরমভাবে দুর্বল করে ফেলা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীকে কর্তৃত্ববাদী হওয়ার পথ প্রশস্ত করে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ধারার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সংবিধানে বিশেষ অনুচ্ছেদ যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। 

আলী রীয়াজ আরও বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থাকে কেউ কেউ ‘বিপ্লব’ বলেন। আদতে এটা বিপ্লব ছিল না। বিপ্লব হলে বিভিন্ন কমিশন গঠন করার দরকার হতো না। তিনি উল্লেখ করেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের প্রস্তাব দিয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নির্ভর করবে তারা কতটুকু গ্রহণ করবে। 

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, অতীতের ক্ষমতার চর্চা ছিল অর্থের ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য। আদর্শের চর্চার প্রভাব খুব একটা ছিল না। জাতীয় সংসদের প্রধান থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পর্যন্ত সবাইকে এ ধারায় চলতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ চলে গেলেও সেই টাকার প্রভাবের শূন্যতা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। 
তিনি বলেন, দাবি আদায় করতে লোক জড়ো করা এবং সহিংসতা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজতে হবে।

অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, সবাই সংস্কার চান। তবে কী সংস্কার চান, তা সুস্পষ্ট করা উচিত। সংস্কার কেবল আইনের পরিবর্তনের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না। আইন অনেক আছে। সমস্যা রাজনৈতিক চর্চার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অনেকগুলো সংস্কারের জন্য কাজ করছে। এরই মধ্যে অনেক সংস্কার প্রস্তাবও এসেছে। তবে সংস্কার প্রস্তাবের অনেকগুলো আইন পরিবর্তনের জন্য। সত্যিকার অর্থে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে জনগণকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক চর্চার পরিবর্তনের জন্য অন্তর্বর্তী নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সরকার ব্যবস্থাকেও রাজনীতিকীকরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে ক্ষমতা ধরে রাখার চর্চাও দেখা গেছে। প্রতিবছর সম্পদের হিসাব প্রকাশ করবে– ‘দিন বদলের’ কথা বলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। কীভাবে মানুষ এটা বিশ্বাস করবে, রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসছে, সেই প্রতিশ্রুতি রাখবে। 

সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, বিগত সরকারের সময়ও অনেক কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই কথা শোনার বা শুনে তা আমলে নিয়ে কাজ করা হয়নি। সংবিধান সংশোধনের কথা হচ্ছে। এটা করতে হলে তা কীভাবে যুগোপযোগী হয়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।

৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয়নি এবং এ কারণে নব্বই বা চব্বিশে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে বলে মত দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার গভীরে বৈষম্য রয়ে গেছে। মানুষ শান্তি চায়, ভয়ের পরিবেশে বাঁচতে চায় না। তারা চায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের কথা শোনা হোক। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জবাবদিহি করার ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে জনগণের মতকে প্রতিষ্ঠা করার পথে এগোনো সহজ হতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক ড. আসিফ শাহান বলেন, অর্গানাইজেশন এবং ইনস্টিটিউশনের মধ্যকার পার্থক্য করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রমকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে কঠোরভাবে। 

জাতীয় নাগরিক কমিটির সহআহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, অতীতের সরকার ব্যবস্থায় মানুষের কথা শোনার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তারা সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি।

তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে সুষ্ঠু নির্বাচনই ছিল মানুষের প্রধান আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের আকাঙ্ক্ষা কেবল নির্বাচনে আটকে নেই। অতীতের সরকার ব্যবস্থাগুলোতে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ মানুষের ভোট নিয়ে সংসদে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়েছিল এবং তারা সংবিধান বদলের অধিকার পেয়ে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করেছে। নতুন বাংলাদেশের মানুষ এর বদল চান। কেবল ক্ষমতার পালাবদল করে দিতে এ গণঅভ্যুত্থান হয়নি।

বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের দাবি বিষয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা হয়তো সংস্কার চায় না। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নামে আছে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা। এর বদল করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, নিজেদের পক্ষে কথা বলার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থায় প্রতিনিধি পাঠানোর পর যদি জনগণ দেখেন তাদের পক্ষে ওই প্রতিনিধি কথা বলছেন না, তাহলে তাকে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও থাকা উচিত। রাজনৈতিকগুলো গণতন্ত্রের কথা বললেও নিজেরা গণতন্ত্রের চর্চা করে না। মুখে জনগণই সব ক্ষমতা উৎস– এমনটা বললেও সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধেই কথা বলতে পারে না। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ