Samakal:
2025-03-25@21:34:51 GMT

ঝুঁকি যখন ক্রোম ব্রাউজারে...

Published: 16th, February 2025 GMT

ঝুঁকি যখন ক্রোম ব্রাউজারে...

স্মার্টফোন, পিসি বা ল্যাপটপ– তিন মাধ্যমেই জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো ক্রোম। কিছুদিন আগে গুগল ক্রোম গ্রাহকের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করেছে কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি)।
সতর্কবার্তায় গ্রাহকের উদ্দেশে বলা হয়, যদি কেউ গুগল ক্রোম ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকে, তাহলে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে যারা উইন্ডোজ বা ম্যাকওএস সংস্করণে জনপ্রিয় ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে, তাদের জন্য সতর্কবার্তা প্রযোজ্য হবে।
সিস্টেম সূত্রে জানা গেছে, গুগল ক্রোম ব্যবহৃত কোনো কোনো ডিভাইসে সমস্যা দৃশ্যমান হয়েছে। সিইআরটি গবেষণা ও শনাক্ত দল তাদের নিজস্ব বার্তায় এমন তথ্য দিয়েছে। জানানো হয়, গুগল ক্রোম ব্রাউজারে বেশ কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি নজরে পড়েছে। ফলে হ্যাকার চক্র বিশেষ ফায়দা নিতে যে কারও ক্ষতি করতে পারে।
দূরে বসে নিয়ন্ত্রণ!

সারাবিশ্বে ক্রোম ব্রাউজারে দৃশ্যমান সবকটি সমস্যা ব্রাউজারের কয়েকটি স্পর্শকাতর নিরাপত্তাবলয় ভেঙে দিয়েছে। ফলে গ্রাহক পাসওয়ার্ডের মতো স্পর্শকাতর তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে। গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে হাজারো মাইল দূর থেকেই ডিভাইসের ফিজিক্যাল অ্যাকসেস প্রয়োজন ছাড়াই হ্যাকার চক্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাউজার গ্রাহককে বিশেষ সমস্যার মুখোমুখি করবে।
উদাহরণে উল্লেখ করে বলা হয়, বিশেষভাবে ডিজাইন করা ওয়েবপেজে রিডাইরেক্ট করে অনেকের ডিভাইসে ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে ডিভাইসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে হ্যাকার। ফলে হাতছাড়া হতে পারে সংবেদনশীল সব তথ্য। ব্যক্তিগত ডেটা চুরি বা পরিচয় চুরি করে অ্যাকাউন্টে নজিরবিহীন ক্ষতি সাধন করতে পারে।
ইতোমধ্যে উল্লিখিত বিপদ থেকে বাঁচতে গুগল ক্রোম ব্রাউজারের জন্য তাৎক্ষণিক বিশেষ আপডেট প্রকাশ করেছে। যদি ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকে, তাহলে দ্রুত নতুন আসা আপডেট ডাউনলোড ও ইনস্টল করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। লিনাক্স (১৩৩.

০.৬৯৪৩.৫৩) সংস্করণের চেয়ে পুরোনো ক্রোম সংস্করণ ও উইন্ডোজ বা ম্যাক সিস্টেম (১৩৩.০.৬৯৪৩.৫৩/৫৪) সংস্করণে ত্রুটি শনাক্ত করেছেন গবেষকরা। দুটি সংস্করণ ছাড়া অন্য সব সংস্করণ নিরাপদ আছে। তবে সবার ক্ষেত্রেই ক্রোম ব্রাউজারের আপডেট করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স স করণ ব যবহ

এছাড়াও পড়ুন:

কেইপিজেডের ভেতরে আটকে পড়া তিনটি হাতির কী হবে

চট্টগ্রামের আনোয়ারার কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (কেইপিজেড) পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় আটকে পড়ে আছে তিনটি হাতি। এসব হাতি চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভাবও দেখা দিয়েছে। ফলে প্রায়ই লোকালয়ে নেমে আসছে হাতিরা। হাতির আঘাতে প্রাণ যাচ্ছে মানুষেরও। এ অবস্থায় হাতি তিনটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

কেইপিজেডে হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেইপিজেডে অব্যাহতভাবে বনাঞ্চল ও পাহাড় কেটে হাতির আবাসস্থল নষ্ট করা হচ্ছে। হাতির চলাচলের পথে যানবাহন ও বিভিন্ন পক্ষের লোকজনের আনাগোনা বেশি। তাদের খাবারও দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগুন জ্বালিয়ে হাতিকে বিরক্ত করা হচ্ছে। এ কারণে হাতি লোকালয়ে ঢুকে যায় বারবার। পর্যাপ্ত ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপেন্স টিম) না থাকায় হাতির আক্রমণে মানুষ ও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

প্রতিবেদনে কেইপিজেডে হাতি ও মানুষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণ এবং তা নিরসনের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবদেনে উল্লেখ করা হয়, কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ এক্সকাভেটর দিয়ে পাহাড় কাটছে। এ জন্য স্বল্পমেয়াদি সুপারিশের মধ্যে পাহাড় ও বন ধ্বংস বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশ বাস্তবায়নে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে বলে বন বিভাগ মনে করছে। এসব কারণে হাতি লোকালয়ে ঢুকে জানমালের ক্ষতিসাধন করছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে বড়উঠান এলাকার একটি পাড়ায় একটি হাতি ঢুকে পড়ে। এ সময় হাতির আক্রমণে আরমান জাওয়াদ নামে তিন মাস বয়সী একটা শিশু নিহত ও দুজন আহত হন। এরপর এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে চার দিনের মধ্যে হাতি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে হাতির আক্রমণে এক ব্যক্তি মারা গিয়েছিল। ওই ঘটনার পর বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কেইপিজেডের হাতি সুরক্ষা এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন কর দেন। ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। সদস্যসচিব করা হয় বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজকে।

জানতে চাইলে আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘নভেম্বরে যেদিন কমিটি প্রথম কেইপিজেড পরিদর্শনে যায়, সেদিনই দেখা যায় তারা পাহাড় ও গাছপালা কাটছে। ওটা প্রতিবেদনের মধ্যেও উল্লেখ রয়েছে। আমরা স্বল্পমেয়াদি সুপারিশে পাহাড় ও বনাঞ্চল ধ্বংস বন্ধ করা, ইআরটি রাখা, হাতির করিডর উন্মুক্ত রাখার কথা বলেছি। কিন্তু তারা কোনোভাবে হাতিগুলো সেখানে রাখতে চাচ্ছে না বলে আমাদের মনে হচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনার সময়ও আগুন দিয়ে হাতি তাড়ানো হয়েছে। আর আরটিএ রাখা বন্ধ করে দিয়েছে তারা।’

কেইপিজেড এলাকায় বন্য হাতির আক্রমণে তিন মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর পর সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। ২২ মার্চ সকালে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেইপিজেডের ভেতরে আটকে পড়া তিনটি হাতির কী হবে