Samakal:
2025-04-01@19:12:47 GMT

হারানো ফোনের খোঁজে কী করবেন

Published: 16th, February 2025 GMT

হারানো ফোনের খোঁজে কী করবেন

হঠাৎ চুরি বা বেখেয়ালে হারানো ফোন ব্লক করার প্রথম পদ্ধতি হলো তার সঠিক অবস্থান শনাক্ত করা। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের ভেতরে থাকা ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ফিচারটি ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করতে, দূর থেকে লক করতে বা প্রয়োজনে ফোনের ডেটা মুছে ফেলতে বিশেষ সহায়তা করে।

হারানো ফোনের শনাক্তে প্রথমে যেতে হবে যে কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের android.

com/find অপশনে। চুরি যাওয়া ফোনের সঙ্গে লিঙ্ক করা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। হ্যান্ডসেটে লোকেশন অন থাকলে ফোনের অবস্থান ঠিকঠাক জানা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের মতো আইওএস সংস্করণে বিশেষ ট্র্যাকিং সিস্টেম রয়েছে, যার নাম ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’। আবার আইক্লাউড ডটকম/ফাইন্ড অপশন খুলতে হবে যে কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে। সেখানে অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করা প্রয়োজন। ডিভাইস তালিকা থেকে ‘লস্ট মোড’ অপশনে ক্লিক করে ফোনটি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে নিতে হবে। লক স্ক্রিনে নির্দেশনা (কাস্টম) বার্তা দিলে অবস্থান ট্র্যাক করা সম্ভব। সিকিউর ডিভাইস নির্বাচন করে ফোনটিকে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আগে লক করতে হবে। ডিভাইসে নিজের গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট হয়ে যেতে হবে।

যদি ফোনটি শনাক্ত করতে ব্যর্থ না হন বা সন্দেহ করেন যে সেটটি আদৌ চুরি হয়েছে, তাহলে স্থানীয় থানায় বিষয়টি নথিভুক্ত করতে হবে। লিখিত অভিযোগে ফোনের সিরিয়াল নম্বর (আইএমইআই) ও ফাইন্ড মাই ডিভাইস থেকে যে কোনো ট্র্যাকিংবিষয়ক তথ্য জানা যাবে। নিজের ব্যবহৃত ফোনের সঙ্গে লিঙ্ক করা সব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে নিতে হবে।
প্রতিটি অ্যাপের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অনুমোদিত ডিভাইসের তালিকা থেকে খোয়া যাওয়া ফোনটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
যদি হারানো ফোনে সংবেদনশীল তথ্য থাকে, তা উদ্ধারে ব্যর্থ হন, তাহলে ওই সব তথ্য মুছে ফেলতে ফাইন্ড মাই ডিভাইস বা ফাইন্ড মাই আইফোন অপশনের সহযোগিতা নিতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ড ম ই অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

আমি যুদ্ধাপরাধী না, অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জন্মস্থানের একটা মায়া-ভালোবাসা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর আপনাদের সামনে ২৪ বছর পর কথা বলার সুযোগ হয়েছে। কুলাউড়ার মানুষ আমাকে যেভাবে চেনে অন্য কেউ সেভাবে চেনে না।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কুলাউড়া উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি কি যুদ্ধাপরাধী? না; অথচ আমার ওপর যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল সাড়ে ১২ বছর। সাড়ে ১২ বছরের ছেলে যুদ্ধের সময়ে মানুষ খুন করতে পারে—এটা বিশ্বাসযোগ্য কথা? তা-ও চেষ্টা করা হয়েছে। কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগও দেয়নি, সাক্ষ্যও দেয়নি। হিন্দু ভাইয়েরাও তাতে রাজি হয়নি। আমি সেই সময় জামায়াতে ইসলামীও করতাম না। আমি অন্য একটা সংগঠন করতাম। যেটা বলতে এখন লজ্জা হয়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত জালিম সরকারের আমলে আমরা ১১ জন শীর্ষ নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। ৫ শতাধিক মানুষ পঙ্গু হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ হামলা-মামলার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। আগস্টের ১ তারিখ আমাদের নিষিদ্ধ করা হয়। সে সময় আল্লাহকে বলেছিলাম, ৪ দিন পর আল্লাহর বিচার হয়েছে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্রদের সঙ্গে আমরাও ছিলাম। জালিমের মাথা আল্লাহ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমি প্রত্যেক শহীদের বাড়িতে যদি যেতে পারতাম। তাদের সন্তান কোলে নিতে পারতাম। যাদের বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের জিজ্ঞেস করেছি কেমন আছেন, তারা শুধু টপটপ করে চোখের পানি ফেলেছেন। জানতে চেয়েছিলাম—কী চান? তারা বলেছিলেন, জালিমের হাতে দেশটা যেন আর না যায়। দেশটা আপনাদের হাতে দেখতে চাই। এমন একটা দেশ দেখতে চাই যেখানে চাঁদাবাজ, ঘুষখোর ও সুদখোরদের ঠাঁই হবে না। আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে হিন্দু-মুসলিম কিংবা মেজরিটি-মাইনরিটি বলে কিছু থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, দুঃশাসন এবং জুলুমের কারণে আপনাদের মুখ দেখতে পারিনি। আজ প্রাণখুলে দেখতে চাই।

পুনর্মিলনীতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলালের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগরীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ