Samakal:
2025-04-29@14:44:35 GMT

হারানো ফোনের খোঁজে কী করবেন

Published: 16th, February 2025 GMT

হারানো ফোনের খোঁজে কী করবেন

হঠাৎ চুরি বা বেখেয়ালে হারানো ফোন ব্লক করার প্রথম পদ্ধতি হলো তার সঠিক অবস্থান শনাক্ত করা। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের ভেতরে থাকা ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ ফিচারটি ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করতে, দূর থেকে লক করতে বা প্রয়োজনে ফোনের ডেটা মুছে ফেলতে বিশেষ সহায়তা করে।

হারানো ফোনের শনাক্তে প্রথমে যেতে হবে যে কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের android.

com/find অপশনে। চুরি যাওয়া ফোনের সঙ্গে লিঙ্ক করা গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করতে হবে। হ্যান্ডসেটে লোকেশন অন থাকলে ফোনের অবস্থান ঠিকঠাক জানা যাবে। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের মতো আইওএস সংস্করণে বিশেষ ট্র্যাকিং সিস্টেম রয়েছে, যার নাম ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’। আবার আইক্লাউড ডটকম/ফাইন্ড অপশন খুলতে হবে যে কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসে। সেখানে অ্যাপল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করা প্রয়োজন। ডিভাইস তালিকা থেকে ‘লস্ট মোড’ অপশনে ক্লিক করে ফোনটি পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে নিতে হবে। লক স্ক্রিনে নির্দেশনা (কাস্টম) বার্তা দিলে অবস্থান ট্র্যাক করা সম্ভব। সিকিউর ডিভাইস নির্বাচন করে ফোনটিকে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে আগে লক করতে হবে। ডিভাইসে নিজের গুগল অ্যাকাউন্ট থেকে সাইন আউট হয়ে যেতে হবে।

যদি ফোনটি শনাক্ত করতে ব্যর্থ না হন বা সন্দেহ করেন যে সেটটি আদৌ চুরি হয়েছে, তাহলে স্থানীয় থানায় বিষয়টি নথিভুক্ত করতে হবে। লিখিত অভিযোগে ফোনের সিরিয়াল নম্বর (আইএমইআই) ও ফাইন্ড মাই ডিভাইস থেকে যে কোনো ট্র্যাকিংবিষয়ক তথ্য জানা যাবে। নিজের ব্যবহৃত ফোনের সঙ্গে লিঙ্ক করা সব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বদলে নিতে হবে।
প্রতিটি অ্যাপের ওয়েবসাইট ভিজিট করে অনুমোদিত ডিভাইসের তালিকা থেকে খোয়া যাওয়া ফোনটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
যদি হারানো ফোনে সংবেদনশীল তথ্য থাকে, তা উদ্ধারে ব্যর্থ হন, তাহলে ওই সব তথ্য মুছে ফেলতে ফাইন্ড মাই ডিভাইস বা ফাইন্ড মাই আইফোন অপশনের সহযোগিতা নিতে হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ড ম ই অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে স্ক্যাম!

তরুণ প্রজন্ম নেটিজেন দুনিয়ায় ডুবে আছে। নিজের অজান্তেই প্রবেশ করছে চটকদার ডিজিটাল অ্যাডের ফাঁদে। হারিয়ে যাচ্ছে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ। ভুলের কারণে বেহাত হয়ে পড়ছে আর্থিক থেকে ব্যক্তিতথ্য। কিছুটা সতর্ক হলে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এমন বিপদ। নিজের ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিছু কৌশল। লিখেছেন সাব্বিন হাসান

সারাবিশ্বে ছড়াচ্ছে স্ক্যামের শঙ্কা। সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া যার টার্গেট। ডিজিটাল প্রতারণার জালে ফাঁদ পাতার অবিরাম প্রচেষ্টা যেন চলছেই। বিশ্বের জায়ান্ট সব প্রযুক্তি গবেষক যা নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।

সারাবিশ্বে ডিজিটাল জগতে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন বা ডি-অ্যাডের স্ক্যাম রুখতে নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাস্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ২৪ কোটি ৭০ লাখ বিজ্ঞাপন সরানো হয়েছে। অন্যদিকে, ২৯ লাখ বিজ্ঞাপনদাতার অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে।
২০২৪ সালে উল্লিখিত সংখ্যক বিজ্ঞাপন সরানো হয়েছে বলে অবহিত করা হয়। কিছুদিন আগে ‘অ্যানুয়াল অ্যাড সেফটি রিপোর্ট ফর-২০২৪’ প্রকাশ করেছে গুগল। রিপোর্টে এমন তথ্য জানা যায়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্ক্যাম ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ। ২০২৪ সালে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনী অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বিশেষ নজরদারি করে গুগল।
নির্বাচন থাকলে ওই বছর সে-সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দেওয়ার হিড়িক পড়ে গুগল পরিচালিত সবকটি প্ল্যাটফর্মে।

এবারে নির্বাচনবিষয়ক বিজ্ঞাপনদাতাদের ভেরিফাই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৯০০ নির্বাচনী বিজ্ঞাপনদাতার ভেরিফাইয়ের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞাপনদাতার থেকে সরাসরি আসেনি– কোটিরও বেশি এমন বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়। এমনকি গুগলই প্রথম সংস্থা, যারা এআই জেনারেটেড পলিটিক্যাল কনটেন্টের লেবেলিং করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকাশিত (গুগল) রিপোর্টে বলা হয়, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আবহে দ্রুত পরিবর্তন দৃশ্যমান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশে সেই প্রেক্ষাপট দ্রুত বদলাচ্ছে। বিপরীতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণার জাল ছড়ানোর চেষ্টাও অব্যাহত। এমনটা রুখতেই বিশেষ নজরদারি করছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ কর্মদক্ষতার স্ক্যাম চিহ্নিত করতে অ্যাডভান্সড এআই টুলের সহায়তা নিয়েছে গুগল।

২০২৪ সালে স্ক্যাম অ্যাড শনাক্ত করার কৌশলগত পদ্ধতি আরও মানোন্নত করেছে গুগল সংস্থা। গত বছর সারাবিশ্বে ৫১০ কোটি বিজ্ঞাপন সরানো তারই ধারাবাহিকতার অংশ।
তরুণ প্রজন্ম নেটিজেন দুনিয়ায় ডুবে আছে। নিজের অজান্তেই প্রবেশ করছে চটকদার ডিজিটাল অ্যাডের ফাঁদে। হারিয়ে যাচ্ছে ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ। ভুলের কারণে বেহাত হয়ে পড়ছে আর্থিক থেকে ব্যক্তিতথ্য। কিছুটা সতর্ক হলে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব এমন বিপদ। নিজের ডিভাইস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিছু কৌশল।

কী করবেন
দিন-রাত ফোনে নানা ধরনের বিজ্ঞাপন আসা নিয়ে বিরক্তি যেন পিছু ছাড়ে না। অধিকাংশ বিজ্ঞাপনী বার্তা অপ্রয়োজনীয় আর অযৌক্তিক। অনেকেই এমন মেসেজের হাত থেকে পরিত্রাণ চান। কিন্তু বন্ধের কৌশল ঠিকঠাক জানেন না বলে অসহায়ের মতো এর অত্যাচার সহ্য করে যেতে হয়। জেনে নিন, কীভাবে বিপদ আর বিরক্তি থেকে রেহাই পেতে পারবেন।
সাধারণত নতুন পণ্য আর অফারের প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানো হয় ছদ্মবেশে, যাকে বলে বাল্ক এসএমএস। অর্থাৎ টেলিফোন অপারেটর প্রোভাইডরকে টাকা দিয়ে মোবাইল গ্রাহকের কাছে নিজের পণ্যের প্রচার করা। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক এ ধরনের এসএমএস বন্ধ করতে পারেন না। চাইলে পদ্ধতি জেনে তা বন্ধ করে নিতে পারেন।

স্মার্ট ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রথমে স্মার্টফোনের সেটিংস অপশনে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে খুঁজতে হবে গুগল অপশনকে। খুঁজে পেলে শুরুতেই থাকা ‘অ্যাডস’ অপশনে যেতে হবে। ক্লিক করলে ‘অ্যাডস পার্সোনালাইজড’ নামে অপশন দৃশ্যমান হবে, যা অন করতে হবে। সেখানে ‘ইয়োর অ্যাডভার্টাইজিং আইডি’ নামে অপশনটি রিসেট করলে অ্যাডভার্টাইজিং আইডি পরিবর্তন হয়ে যাবে। অনেকাংশে বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন দৃশ্যমান হওয়া থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

ব্রাউজার
আবার ফোনের ব্রাউজার থেকে এমন বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করা যায়। প্রথমে ফোনের ‘ক্রোম’ ব্রাউজারে গিয়ে ‘মাই অ্যাক্টিভিটি’ নামে অপশনে প্রবেশ করে ওয়েলকাম টু মাই অ্যাক্টিভিটিতে যেতে হবে। সাইটের বাঁ পাশে ওপরে থ্রি স্কেলের দাগে ক্লিক করতে হবে।

সেখান থেকে যেতে হবে ‘অ্যাক্টিভিটি কন্ট্রোল’ নামের অপশনে। আবার অ্যাডস অপশনে গিয়ে ‘অ্যাডস পার্সোনালাইজেশন ইজ অন’ থাকলে তা বন্ধ (অফ) করে দিতে হবে। ওপরে ডান পাশে থ্রি ডটের মেন্যু থেকে যেতে হবে সেটিংস অপশনে। সেখানে নিচের অংশে ‘সাইট সেটিংস’ নামে অপশন দৃশ্যমান হবে।

তারপর দৃশ্যমান কুকিজ অপশনে গিয়ে ‘ব্লক থার্ড পার্টি কুকিজ’ অন করে দিলেই প্রাথমিকভাবে যন্ত্রদায়ক অ্যাড আসা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। অযাচিত বিজ্ঞাপন থেকে মিলবে স্বস্তি। প্রতারণা চক্রের উৎপাতও কমবে বহুলাংশে। নিরাপদ হবে নিজের ডিজিটাল কর্মযজ্ঞের ক্যানভাস। কেননা সতর্ক থাকাই নিরাপত্তার প্রথম শর্ত।
কিছুদিন ধরে ইউটিউবে বিজ্ঞাপন ছাড়া কনটেন্ট উপভোগ করা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। স্মার্ট ডিভাইসে ইউটিউব অ্যাড থেকেই স্ক্যাম ছড়ানোর বেশ কিছু অভিযোগ পৌঁছেছে গুগল দপ্তরে। সুতরাং যে কোনো বিজ্ঞাপন এলে তা থেকে সতর্ক হয়ে প্রবেশ বা এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিকাশে লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরো সহজ ও নিরাপদ
  • বিকাশ-এ লেনদেনের তথ্য-শেয়ার এখন আরও সহজ ও নিরাপদ
  • ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে স্ক্যাম!
  • ডিভাইসে আসক্তি কেন!
  • কাজে আসছে না ১৬ কোটির বেনাপোল বাস টার্মিনাল