Samakal:
2025-03-25@15:21:11 GMT

স্টারলিংক ও কিছু প্রশ্ন

Published: 16th, February 2025 GMT

স্টারলিংক ও কিছু প্রশ্ন

ইন্টারনেটের বিস্তারের কারণে বাংলাদেশে যত ব্যবসা দাঁড়ানোর কথা, সেটি খুব বেশি না হলেও ফেসবুক, ইউটিউব আর ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার বেড়ে ১০ কোটি গ্রাহক তৈরি হয়েছে। যার কিছু সুফল ইতোমধ্যে পেয়েছি। ই-মেইল আর ওয়েবসাইটের বিকাশ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সফটওয়্যার ব্যবহার বা ডেটা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা তথ্যপ্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য বিস্তারের সুযোগ রয়ে গেছে এখনও।
জুলাই রাজনৈতিক পরিক্রমায় ইন্টারনেট বন্ধ ও মিথ্যা ঘোষণায় বাকস্বাধীনতা ও ব্যবসা পরিমণ্ডলকে করে দেয় নড়বড়ে। সরকার থেকে এমনটা করতে পারার মূল কারণ বিটিআরসির দুর্বল ইন্টারনেট নীতি ও রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। তারপর জনমনে অধিকারের বিশ্বস্ততা তৈরি না হওয়ার প্রধান কারণ বিটিআরসি সরকারি সংস্থা ও তার রাজনৈতিক অবকাঠামোগত ক্ষমতায়নের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা। যদিও স্বায়ত্তশাসিত হয়ে সরকারি সংস্থা, আইসিটি বাণিজ্য সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি দিয়ে পরিচালিত ও নিয়ম তৈরি হলে বিশ্বস্ততার সমস্যা সমাধান হয়ে যেত বলে অনেকেই মনে করেন। ইন্টারনেট ও মোবাইল অপারেটরদের রেগুলেটরি বডি আলাদা হলেও অনেকখানি সহজ হতো, ফাইবার ব্রডব্যান্ড নিয়ে পলিসি তৈরিতে বারবার ফাইভজি থেকে অতিরিক্ত আয়ের চিন্তাটা কিছুটা হলেও দূরে রাখা যেত।
জুলাই-আগস্ট সময়ে ইন্টারনেট বন্ধের কারণে হওয়া ক্ষতি উত্তরণের কথা বাদ দিয়ে সবাই ঝুঁকেছি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির সেল্সম্যানশিপে। কারণ অনেকেই মনে করছি, স্টারলিংক বাংলাদেশের রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহারযোগ্য ইন্টারনেট দিয়ে নাগরিক অধিকার ও অপ্রতিরোধ্য ব্যবসায়িক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠবে।

কিন্তু না, এটিও বিটিআরসির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আর যদি বিটিআরসি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ক্ষমতায়নে চলবে। অবশ্যই সিমিইউ-৪, সিমিইউ-৫ সাবমেরিনের সঙ্গে আরও প্যারালাল সংযোগ প্রয়োজন আমাদের। নদীমাতৃক দেশ– যেখানে ফাইবার যাবে না, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পৌঁছাবে; সমুদ্র জাহাজে থাকবে, বিশেষ ব্যবসার চাহিদা পূরণে টেকসই ইন্টারনেট লাগবেই। কিন্তু ফাইবার ইন্টারনেট থ্রিজি/ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সার্ভিস টিকিয়ে রাখার সব ব্যবস্থা করেই স্টারলিংককে সুযোগ দিতে হবে, যা অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারনেট কাভারেজ নিশ্চিত করবে।
ইলন মাস্ক বা বিশ্বের শক্তিধর দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বা ডগির (ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি, যুক্তরাষ্ট্র) প্রধানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আলাদা চিন্তা হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। অন্যথায়, বেসরকারি খাতে ৩০ বছরে গড়ে ওঠা ইন্টারনেট অবকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে শিক্ষা, যোগাযোগ ও ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বাড়ার শঙ্কা অমূলক হবে না।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব ট আরস ব যবহ র ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জড়িতদের গ্রেপ্তারে এনসিপির ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম 

নোয়াখালীর হাতিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের একটি রিসোর্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, আবদুল হান্নান মাসউদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর ওপর হামলা করে বিএনপি নেতাকর্মী। তারা জিয়ার সৈনিক স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় মাসউদসহ আমাদের ৫৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, হামলার ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ কিংবা নিন্দা জানায়নি। এতে আমরা মনে করছি, এ ঘটনাটি বিএনপি পরিকল্পিতভাবে করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখেছি– বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী এ হামলায় জড়িত। আমরা তাদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য মোহাম্মদ ইউসুফ, তৌহিদুর রহমান, মো. ইসমাইল ও হাসিদুর রহমান। 
হাতিয়া থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যার পর উপজেলার জাহাজমারা বাজারে হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলা করা হয়। প্রতিবাদে তাঁর নেতৃত্বে ওই বাজারে ওছখালী-জাহাজমারা সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দ্বিতীয় দফায় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে হান্নান মাসউদসহ আরও অনেক নেতাকর্মী আহত হন। পরে রাত ৩টা পর্যন্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন হান্নান ও তাঁর দলীয় নেতাকর্মী। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ