Samakal:
2025-02-22@23:29:04 GMT

দেড় মাস ধরে মায়ের সন্ধানে ছেলে

Published: 16th, February 2025 GMT

দেড় মাস ধরে মায়ের সন্ধানে ছেলে

দেড় মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বাসিন্দা রেবেকা বেগম। তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ছেলে শরীফুল ইসলাম (১৮)। মায়ের নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করলেও পুলিশের তেমন তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। 
রেবেকা বেগম রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের জালদিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী। গত ১ জানুয়ারি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। 
শরীফুল ইসলামের ভাষ্য, তাঁর মায়ের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছে যেতেন। কখনও তারা গিয়ে নিয়ে আসতেন, আবার কখনও একাই ফিরে আসতেন। গত ১ জানুয়ারি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন আগের মতোই মা ফিরে আসবেন। কয়েকদিন যাওয়ার পর ফিরে না আসায় নিকট আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। সেখানে না পেয়ে পরিচিত সব জায়গায় খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও তাঁর মায়ের সন্ধান পাননি। 
মায়ের খোঁজ পেতে রাজবাড়ী জেলা শহর ছাড়াও ফরিদপুর, মাগুরাসহ আশপাশের জেলায় পোস্টারিং করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। কিন্তু কোনোভাবেই মায়ের সন্ধান পাচ্ছেন না। গত ২৫ জানুয়ারি রাজবাড়ী সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কিন্তু পুলিশেরও তেমন তৎপরতা নেই। মাকে খুঁজতে খুঁজতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। 
যে কোনো মূল্যে মাকে ফেরত চান জানিয়ে শরীফুল বলেন, ‘আমি ফরিদপুর পলিটেকনিক কলেজে পড়ছি। সামনে আমার দুটি পরীক্ষা। পরীক্ষায় মনোযোগ দিতে পারছি না। মাকে খুঁজব নাকি পড়াশোনা করব। শুধুই মনে হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই গ্রুপে মেসেজটা দিলে ফল পাওয়া যাবে। এই চিন্তা করতে করতে দিন কাটে আমার। একটি পরীক্ষা খারাপ হলে একটি বছর শেষ।’ 
সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম জানান, ওই জিডিটি তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি ইজতেমায় ছিলেন। কয়েক দিন আগে রাজবাড়ী ফিরেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ

মানুষকে বশ করে তার কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ‘শয়তানের নিশ্বাস’ ব্যবহার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, অপরাধীরা নিজেরা মাস্ক পরে থাকে। আর স্কোপোলামিন মাখানো ভিজিটিং কার্ড, কাগজ, মুঠোফোন মানুষের নাকের কাছাকাছি নিয়ে যায়, মুহূর্তে আক্রান্ত ব্যক্তি হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত হয়ে যান। এর ফলে সম্মোহিত ব্যক্তির কি কি ক্ষতি হয় এবিষয়ে রাইজিংবিডিকে বিস্তারিত জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মরত ডা. মাসুদা পারভীন মিনু।

তিনি বলেন, ‘‘স্কোপোলামিন যা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ নামে কুখ্যাত একটি শক্তিশালী মাদক যা মূলত ডাটুরা (Datura) এবং ব্রুগমানসিয়া  (Brugmansia) গাছ থেকে পাওয়া যায়। এটি এক প্রকার ট্রোপেন অ্যালকালয়েড, যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসাশাস্ত্রে এটি মোশন সিকনেস, মাংসপেশির খিঁচুনি ও কিছু স্নায়ুবিক ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তবে অপরাধ জগতে এটি এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্কোপোলামিন মস্তিষ্কের অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে। এটি মস্তিষ্কের সেই অংশকে প্রভাবিত করে, যা স্মৃতি, বিচার-বুদ্ধি এবং আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ভুক্তভোগী পুরোপুরি সচেতন থাকলেও তিনি নিজের কাজের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না এবং সহজেই অন্যের প্রভাবের অধীনে চলে যান।বিশেষ করে অপরাধীরা এটি ধুলোর মতো ছড়িয়ে দিয়ে, পানীয় বা খাবারের সাথে মিশিয়ে ব্যক্তিকে অজ্ঞান বা বশীভূত করে থাকে। ভুক্তভোগী নিজের জ্ঞান হারান না, তবে তার কার্যক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সে সহজেই ব্যাংকের পিন কোড বলে দিতে পারেন বা নিজের ঘরের দরজা খুলে দিতে পারেন—কিন্তু পরে কিছুই মনে থাকে না।’’

স্কোপোলামিন বা ‘শয়তানের নিশ্বাস’ গ্রহণের পর শরীরে যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে

আরো পড়ুন:

টাকা হাতে আসলেই খরচ হয়ে যায়? ‘কাকিবো’ পদ্ধতিতে টাকা জমান

অনলাইন ডেটিংয়ে নারী নাকি পুরুষ এগিয়ে

স্মৃতিভ্রংশ: ব্যক্তি সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ঘটনার স্মৃতি হারাতে পারে।

অবচেতন অবস্থা: ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়তে পারে বা সম্পূর্ণ অনুগত হয়ে যায়।

মানসিক বিভ্রান্তি: ব্যক্তি বাস্তবতা ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারেন না। এটি একজন মানুষের স্মতিশক্তি সাময়িক ভাবে বা সম্পূর্ণ ভাবে অকেজো  করে দিতে পারে।

এটি মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিহীনতা এবং মানসিক অবস্থা সম্পর্কে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এর ব্যবহার স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের জটিলতা তৈরি করতে পারে, যা কখনও কখনও প্রাণঘাতীও হতে পারে।


‘শয়তানের নিশ্বাস’ থেকে  বাঁচার উপায় সম্পর্কে ডা. মাসুদা পারভীন মিনুর পরামর্শ —

জ্ঞান বৃদ্ধি: সাধারণ মানুষকে স্কোপোলামিনের প্রভাব এবং ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে সচেতন করা।

আইনগত পদক্ষেপ: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা।

সমাজে আলোচনা: মাদকদ্রব্য ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা ও কর্মসূচি গ্রহণ করা।

স্কোপোলামিন বা শয়তানের নিশ্বাস একটি ভয়াবহ মাদক, যা মানুষের জীবন ধ্বংস করতে পারে। তাই, এর ব্যবহার থেকে দূরে থাকতে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুলের দেয়ালে সিদ্ধান্তের পেরেক
  • বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ জাসদ গঠনের কাজ শুরু হয়েছে: ব্যারিস্টার ফারাহ খান
  • অস্ট্রেলিয়াকে খর্বশক্তির মানতে নারাজ স্মিথ
  • ফাগুনের চিঠি
  • তোমার জন্য একটি চিঠি
  • ভাষাশহীদদের প্রতি আমরা কতটুকু শ্রদ্ধাশীল?
  • ৫০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা সিআইএর
  • ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছেন
  • অস্ত্রধারীদের পরিচয় মিলেছে, যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
  • ‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ