দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রুকনদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে: আমিরুজ্জামান
Published: 16th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ব মানবতার ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও বিশ্বনবী (সা:) এর হাদিস অনুসরণের মধ্যে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। যুগে যুগে প্রমাণিত হয়েছে ইসলাম ছাড়া সামাজিক সুবিচার ও স্বাধীনতা অন্য কিছু দিতে পারবে না। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রুকনদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরের দিদার মার্কেট সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান বলেন, মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। প্রমাণিত হয়েছে জুলুম-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, ফাঁসির রশি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপূরণ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি, পারবেও না কোনোদিন।
জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জামায়াতের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই ভালবাসার আলোকে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর জনাব আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জনাব আব্দুল জব্বারে পরিচালনায় শনিবার অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাবেক আমীর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ম নবত র আম র জ সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলে ২৪ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে দাবানলে কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো কয়েকটি এলাকায় আগুন জ্বলছে। এই দাবানল ইতিমধ্যে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানলের রেকর্ড গড়েছে।
দাবানলে আরও ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। ভুক্তভোগীদের বেশির ভাগের বয়স ৬০ থেকে ৭০ এর কোটায়। দাবানলের কারণে ২৩ হাজারের মতো মানুষকে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু বলেছেন, ‘নজিরবিহীন এই সংকট আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের রেকর্ড বই নতুন করে লিখছে।’
আগুনে উইসেয়ং শহরের ১ হাজার ৩০০ বছরের পুরোনো মন্দির পুড়ে গেছে। ওই শহরের অনেক সাংস্কৃতিক নিদর্শন সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার সানচেয়ং কাউন্টিতে দাবানলের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন উইসেয়ং কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। ঝোড়ো ও শুষ্ক বাতাসে একপর্যায়ে আগুন পার্শ্ববর্তী কয়েকটি কাউন্টিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
দাবানলের এ ঘটনায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে জাতীয় অগ্নিনির্বাপণ সংস্থা। বুধবার উইসেয়ংয়ের পাহাড়ি এলাকায় আগুন নেভানোর সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হন।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার অগ্নিনির্বাপণ কর্মীর পাশাপাশি পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারও আগুন নেভানোর কাছে অংশ নিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় দাবানলের ঘটনা তেমন ঘটে না। তবে এবারের দাবানল ইতিমধ্যে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির রেকর্ড গড়েছে। দাবানলে ১৭ হাজার হেক্টরের মতো বন ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে এটি দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।