বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ব মানবতার ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও বিশ্বনবী (সা:) এর হাদিস অনুসরণের মধ্যে মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। যুগে যুগে প্রমাণিত হয়েছে ইসলাম ছাড়া সামাজিক সুবিচার ও স্বাধীনতা অন্য কিছু দিতে পারবে না। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রুকনদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। 

চট্টগ্রাম নগরের দিদার মার্কেট সাফা আর্কেড কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান বলেন, মনে রাখতে হবে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। প্রমাণিত হয়েছে জুলুম-নিপীড়ন, হামলা-মামলা, ফাঁসির রশি আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যপূরণ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি, পারবেও না কোনোদিন। 

জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জামায়াতের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই ভালবাসার আলোকে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’

কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর জনাব আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জনাব আব্দুল জব্বারে পরিচালনায় শনিবার অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সাবেক আমীর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ম নবত র আম র জ সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

তালা ভেঙে হলে প্রবেশ আইনের লঙ্ঘন, বলল কুয়েট কর্তৃপক্ষ

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তালা ভেঙে হলে প্রবেশের ঘটনাকে স্পষ্টত বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার রাতে কুয়েট কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ এর পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত দুঃখজনক ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিকর নামের তালিকা ও সংখ্যা দেখা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা কোথাও প্রকাশ করা হয়নি। তাই এসব তালিকা দেখে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সব শিক্ষার্থীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পরবর্তী সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি এই তদন্ত প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার মাধ্যমে শাস্তিবিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ মে হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও গুটিকয়েক শিক্ষার্থী তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছে, যা স্পষ্টত বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের আইনের লঙ্ঘন। ওই শিক্ষার্থীদের দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান রেখে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা রাখার জন্য বলা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলা যাচ্ছে যে, তারা যেন কোনো ধরণের অপপ্রচারে প্রভাবিত না হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, বিধি ও শৃঙ্খলা যথাযথভাবে অনুসরণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কাম্য।

সম্পর্কিত নিবন্ধ