ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রীকে পুলিশে সোপর্দ
Published: 16th, February 2025 GMT
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম জেলার এক নেত্রীকে রাস্তা থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেল চারটার দিকে কোতোয়ালি থানার জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) সামনে থেকে তাকে ধরে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ওই নেত্রী হলেন-কানিজ ফাতেমা লিমা। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, বিকেলে নগরের জিপিওর সামনে কানিজ ফাতেমা লিমাকে দেখতে পেয়ে ১০-১৫ জন নারী শিক্ষার্থী তাকে ঘিরে ধরেন। তাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা তার ছবি দেখান শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই নেত্রীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। জিপিও থেকে থানার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স পর দ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ঈদের দিনে যুবককে গুলি করে হত্যা
ফতুল্লায় মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে মো. পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
এরআগে রোববার চাঁদরাতে পাভেল ও পাশের বাড়ির সকালে রায়হান বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবুর’ মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনায় ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। নিহত পাভেল (৩৭) ফতুল্লা থানার কাশিপুর মধ্যপাড়া এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।
নিহত পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, ঈদের দিন সকালে ‘কবুতর বাবু’ পিস্তল দিয়ে পাভেলের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর অবস্থায় পাভেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ভোর ৪টার ঘটনা। তখন পাভেল নামে ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অভিযুক্ত রায়হান বাবু এলাকায় মাদক সেবনসহ মাদক ব্যবসা করতেন। পাভেল তার পূর্ব পরিচিত। দুজনের মধ্যে সম্পর্ক এবং যাওয়া আসা ছিল।
ধারণা করা হচ্ছে, মাদক কেনাবেচার টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে। এ ঘটনায় মামলা হবে এবং আমরা তদন্তসহ অভিযুক্ত রায়হান বাবুকে আটকের চেষ্টা করছি।