একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম জেলার এক নেত্রীকে রাস্তা থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নারী শিক্ষার্থীরা।

রোববার বিকেল চারটার দিকে কোতোয়ালি থানার জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) সামনে থেকে তাকে ধরে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ওই নেত্রী হলেন-কানিজ ফাতেমা লিমা। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, বিকেলে নগরের জিপিওর সামনে কানিজ ফাতেমা লিমাকে দেখতে পেয়ে ১০-১৫ জন নারী শিক্ষার্থী তাকে ঘিরে ধরেন। তাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায়িত করে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা তার ছবি দেখান শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই নেত্রীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। জিপিও থেকে থানার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো.

আব্দুল করিম বলেন, শিক্ষার্থীরা একজন নারীকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেত্রী বলে জানতে পেরেছি। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স পর দ

এছাড়াও পড়ুন:

সহকর্মীর বাহুতে হাত রেখে সমালোচনার মুখে নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রীর পদত্যাগ

সহকর্মীর বাহুর ওপরের অংশে ‘হাত রাখার’ পর সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী অ্যান্ড্রু বেইলি। গত সপ্তাহে তিনি ওই সহকর্মীর বাহুতে হাত রাখেন। অনেকে এটাকে বেইলির ‘কর্তৃত্বমূলক’ আচরণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

সহকর্মীর বাহুতে হাত রাখার ঘটনার জন্য ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন অ্যান্ড্রু বেইলি। মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও নিউজিল্যান্ডের পার্লামেন্টে তাঁর সদস্যপদ বহাল রয়েছে। নিজের পদত্যাগের বিবৃতিতে বেইলি বলেছেন, ‘আপনারা জানেন, মন্ত্রণালয়ে আমার দপ্তরে পরিবর্তন আনার জন্য অধৈর্য হয়ে পড়েছি।’

বিবৃতিতে বেইলি আরও লেখেন, ‘গত সপ্তাহে কাজ নিয়ে এক সহকর্মীর সঙ্গে আমার প্রাণবন্ত আলোচনা হয়। আলোচনা বেশ দীর্ঘ সময় গড়ায়। আলোচনার একপর্যায়ে আমি তাঁর বাহুর ওপরের অংশে হাত রেখেছিলাম, যা ঠিক হয়নি।’ এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আনা হয়েছে বলে বেইলি নিজেই জানিয়েছেন।

বেইলি পদত্যাগ করেন গত শুক্রবার। পরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এক সহকর্মীর বাহুতে বেইলির হাত রাখার ঘটনা ঘটেছিল এরও তিন দিন আগে, ১৮ ফেব্রুয়ারি।

সোমবার লুক্সন বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সরকার ‘বেশ দ্রুত’ এবং ‘যথেষ্ট ভালো’ পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ৬৩ বছর বয়সী বেইলিকে মন্ত্রিসভায় অন্য কোনো দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্ষনো না’।

এর আগে গত অক্টোবর মাসে মদ প্রস্তুতকারী এক কর্মীকে ‘হতভাগা’ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বেইলি। তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার পাশাপাশি বেইলি ওই কর্মীর কপালে ইংরেজি অক্ষর ‘এল’–এর মতো আকৃতি করে নিজের আঙুল রেখেছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি পরে জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে ২০১৪ সালে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যান্ড্রু বেইলি। ২০২৩ সালের শেষে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লুক্সন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর বেইলিকে বাণিজ্য ও ভোক্তাবিষয়ক মন্ত্রী, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উৎপাদনবিষয়ক মন্ত্রী এবং পরিসংখ্যানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ