গত ১৮ দিনে বিদ্রোহের জল কম দূর গড়ায়নি। মেয়েদের অনুশীলনে ফেরাতে বাফুফে কর্তাদেরও যেন রাতের ঘুম হারাম! দফায় দফায় মিটিং, তদন্ত কমিটি গঠন, অবশেষে আলো দেখার সম্ভাবনা। আজ দুপুরে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তারের সঙ্গে আলোচনায় বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার জানান, তাঁরা পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফিরবেন। মাহফুজাও পরে সংবাদমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন, ‘মেয়েরা অনুশীলনে ফিরবে।’

আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে এতে মেয়েদের ফুটবলে বিদ্রোহের অবসান হয়ে গেছে। কিন্তু এদিনই বাফুফের নারী ফুটবল প্রধান মাহফুজার আরেক মন্তব্য উসকে দিতে পারে নতুন বিতর্ক। কোচ বাটলারকে নিয়ে সৃষ্ট অশান্তির জন্য তিনি আকারে–ইঙ্গিতে দায়ী করেছেন বাফুফের জরুরি কমিটিকেই। মাহফুজা এমনও বলেছেন, বাটলারের চুক্তি নবায়নের পক্ষে ছিল না নারী উইং।

আমরা বাফুফের উর্ধ্বতন কর্তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। এই কোচ নিয়োগ দেওয়া যাতে না হয় সেটাও তাদের বলেছি। মূলত এই কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইমার্জেন্সি কমিটির মাধ্যমে। যেখানে সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা, সিনিয়র সহ-সভাপতিও রয়েছেন।মাহফুজা আক্তার , বাফুফের নারী কমিটির প্রধান

কোচের সঙ্গে মেয়েদের সমস্যা শুরুর পর থেকেই নারী উইং তা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছিল জানিয়ে মাহফুজা বলেন, ‘আমরা বাফুফের উর্ধ্বতন কর্তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছি। এই কোচ নিয়োগ দেওয়া যাতে না হয় সেটাও তাদের বলেছি। মূলত এই কোচ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইমার্জেন্সি কমিটির মাধ্যমে। যেখানে সভাপতি ও সহ-সভাপতিরা, সিনিয়র সহ-সভাপতিও রয়েছেন।’

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবু, সাধারণ সম্পাদক খোকন

যশোর জেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব হাতে নিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও দেলোয়ার হোসেন খোকন। সাধারণ সম্পাদক পদে শুধুমাত্র দেলোয়ার হোসেন খোকন মনোনয়ন কেনায় আগেই তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওই পদে নির্বাচিত হন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা সম্মেলন শেষে বাকী পদগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোটের আয়োজন করা হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন মিজানুর রহমান খান। এ পদে মারুফুল ইসলাম তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছেন। 

সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে বিজয়ী হয়েছেন রবিউল ইসলাম, মুনীর আহম্মেদ সিদ্দিকী বাচ্চু ও শহিদুল বারী রবু। এ পদে পরাজিত হয়েছেন কাজী আজম।

উল্লেখ, শনিবার দুপুর ২টা থেকে আলমগীর সিদ্দিকি হলে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পরে ভোট গনণা শেষে রাত সাড়ে আটটায় টাউন হল মাঠে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমান উল্লাহ আমান। 

এ সময় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও এসময় নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মুকুল, অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, ডা. এস এম রবিউল আলম এবং সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম সজল উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ