আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস-২০২৫ আয়োজন উপলক্ষ্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পাঁচ সংগঠন।

সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধিত ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড.

সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গঠিত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, যুগ্ম সমন্বয়কারী বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেলিম রেজা, সদস্য-সচিব প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ প্রমুখ।

সভায় উপস্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সভায় শিবিরের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে পাঁচটি ছাত্র সংগঠন। তবে সেখানে ১০-১২টি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ছাত্রশিবিরের উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত হলে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল প্রতিবাদ জানায়। একপর্যায়ে এই পাঁচটি ছাত্র সংগঠন সভা বর্জন করে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মেরাজ খান আদরের প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যায় জড়িত সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বর্জন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও অপরাপর ছাত্রসংগঠন।

সভায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য এনামুল হাসান অনয় উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যাকারী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্র ইউনিয়ন কোন আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। শুধু মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা নয়, ছাত্রশিবিরের সুদীর্ঘ সন্ত্রাসের ইতিহাস রয়েছে। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রদল, ছাত্র মৈত্রীসহ অনেক ছাত্র সংগঠনের কর্মীর রক্ত লেগে আছে এই ছাত্রশিবিরের হাতে। গণহত্যাকারী, সন্ত্রাসীর সঙ্গে কোন আলোচনা নয়।”

তবে অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, সভা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার পরই ছাত্রনেতারা সভাস্থল ত্যাগ করেন।

তারা জানান, ছাত্রশিবিরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ঢাবি সভাপতি এসএম ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস-২০২৫ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “একুশে উদ্‌যাপন নিয়ে আমাদের সভা ছিল। সেখানে কোন একটা ছাত্র সংগঠনের ব্যাপারে আপত্তি উঠেছ। তাদের সব কথাই শুনেছি আমরা। যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলো সমাধান করার এখতিয়ার এ কমিটির নেই। তাই তাদের পরামর্শ দিয়েছি যথাযথ ফোরামে তাদের কথা উপস্থাপনের জন্য।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইর সর্বাত্মক ও আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব র র উপস থ ত ছ ত র স গঠন র উপস থ ত ছ ল ন গণহত য আপত ত

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগে ও পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক,লরি, কাভার্ড ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। একইভাবে ঈদের পরের তিন দিনও মহাসড়কে  ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনার তথ্য জানা গেছে।

সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র বলছে, ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন উপলক্ষে সড়ক-মহাসড়ক, সেতু ও রেলপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে ৯ মার্চ এক সভা হয়। ওই সভায় ঈদ উপলক্ষে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ এবং ঈদের পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ, সার এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ
  • ছাত্র রাজনীতি: গণতন্ত্রের স্তম্ভ, নাকি ক্ষমতার হাতিয়ার?
  • গণহত্যা দিবস উপলক্ষে প্রতীকী ব্ল্যাক আউটসহ জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি
  • বিশ্ব পানি দিবসে ওয়ালটন বাজারে আনল অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওয়াটার পিউরিফায়ার 
  • ৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন, আওতার বাইরে যাঁরা
  • ঈদে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
  • পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ
  • ঈদের আগে ও পরের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক,লরি, কাভার্ড ভ্যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
  • মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান
  • আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম