দাবি বাস্তবায়নে ‘সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদে’র চিঠি
Published: 16th, February 2025 GMT
নতুন পে-কমিশন গঠন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে বেতনের সাথে ইনক্রিমেন্টসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি দাওয়া দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নয় দফা দাবি নিয়ে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা দেখা করতে গেলে এ আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে সচিবালয়ে কর্মচারীদের নয় দফা সম্বলিত লিখিত আবেদন সচিবের হাতে তুলে দেন পরিষদের সভাপতি মো.
এ সময় তারা নয় দফা দাবি নিয়ে সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তার জরুরি হস্তক্ষেপ ও সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
লিখিত আবেদনে বলা হয়, নতুন পে-কমিশন গঠনসহ কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করা এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে বেতনের সাথে কমপক্ষে ৫টি ইনক্রিমেন্ট দিয়ে জিও জারি করতে হবে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য সরকারি অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার ন্যায় (উদাহরণ স্বরূপ দুদকের ন্যায়) রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ ৩০ শতাংশ হারে সচিবালয় ভাতার জন্য দ্রুত আদেশ জারি, ২০১৫ সালের পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যথা সময়ে পদোন্নতি না হওয়ার কারণে অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য দুটি উচ্চতর গ্রেড এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল করাসহ বর্তমানে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য প্রতি কর্মদিবসে তিনশ টাকা হারে টিফিন ভাতার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের কথা মনযোগ দিয়ে শুনেন। দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করে যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
এ সময় পরিষদের নেতা বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান, সোহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রহমাতুল্লাহ বাবু, আব্দুল হামিদ, নুরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, মো. আরিফ, মো. ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমরা তরুণদের হাতে বাংলাদেশ তুলে দিতে চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা তোমার কোরআনের ভিত্তিতে একটা ইনসাফের মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে সবাই সবাইকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। তুমি আমাদের সেই বাংলাদেশ দান করো।’’
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘হে তরুণেরা তোমরা জেগে ওঠো। যে সমাজে তরুণরা জেগে ওঠে, সেই সমাজ আল্লাহ বদলায়ে দেন।’’
২৪ এর আন্দোলনকারীদের ‘স্যালুট’ জানিয় জামায়াতের আমির বলেন, ‘‘তোমরা জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ের কারণে আল্লাহ আমাদের আপাতত মুক্ত করেছেন। এবার চিরমুক্তির জন্য জেগে ওঠো। শপথ নাও, বাংলাদেশকে কোরআনের আলোকে গড়বই ইনশাআল্লাহ। চুল পাকা, দাঁড়ি পাকা আমিও তোমাদের সঙ্গে সামনের কাতারে থাকব।’’
তিনি বলেন, ‘‘তরুণেরা আমাদের স্বপ্ন। আমরা আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাতে তুলে দিতে চাই।’’
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘‘অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শ্মশান বাংলা কায়েম করা হয়েছে। কোরআনই একমাত্র সোনার বাংলার গ্যারান্টি দিতে পারে, আর কিছু দিতে পারবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘যারা কোরআন সহ্য করতে পারেন না, তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই। এই দেশের আপামর জনতা বাঁচতে চায় কোরআন বুকে নিয়ে, মরতে চায় কোরান বুকে নিয়ে; আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চায় কোরআন বুকে নিয়ে। আমাদের কোরআন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশে যতগুলো ইসলামী দল আছে, তাকিয়ে দেখুন- ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো নেতাকর্মী কারো ওপর জুলুম, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করেছে? উত্তরা না। এর কারণ তারা কোরআনকে সম্মান করে এবং বুকে ধারণ করে। তারা আল্লাহকে ভয় করেন। যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, তারা জুলুম করতে পারে না। তারা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দেখে।’’
জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুর নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহজাহান চৌধুরী, ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান প্রমুখ।
দীর্ঘ ২৮ বছর পরে লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে, ১৯৯৬ সালে লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের সমাবেশ হয়।
ঢাকা/লিটন/রাজীব