অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দুই দেশের পারস্পরিক উদ্বেগ এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ওমানের মাস্কটে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের সাইডলাইনে এ সাক্ষাৎ হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

উভয় পক্ষ পারস্পরিক উদ্বেগ ও স্বার্থ সম্পর্কিত বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরু করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ ছাড়া তিনি সার্ক স্থায়ী কমিটির বৈঠক আয়োজনের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং এই বিষয়ে ভারত সরকারকে বিবেচনার অনুরোধ করেন।

৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দ্বিতীয় দফায় তৌহিদ-জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের সাইডলাইনে উভয়পক্ষ পারস্পরিক উদ্বেগ এবং স্বার্থের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই প্রতিবেশী যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, তা স্বীকার করেছে এবং সেগুলো মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছে।

সোমবার দেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু হচ্ছে। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেবে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন ওমানের মাসকটে ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ওমান সালতানাত সরকারের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনে (আইওসি) যোগ দিচ্ছেন। ৮ম আইওসি-এর থিম হল ‘নৌ অংশীদারত্বের নতুন দিগন্তের যাত্রা’। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘মেরিটাইম সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে এক প্লেনারি সেশনে বক্তৃতা করেন। তিনি মেরিটাইম সরবরাহ শৃঙ্খলের দক্ষতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং স্থায়ীত্বকে বিপন্নকারী বহুবিধ চ্যালেঞ্জ এবং বিঘ্ন অতিক্রম করে ও স্থিতিশীলতা বাড়িয়ে মেরিটাইম সরবরাহ শৃঙ্খল শক্তিশালীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।

এ ছাড়া তিনি সমুদ্রযাত্রীদের জন্য ভিসা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলেন। কারণ মেরিটাইম সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সার্ক, বিমসটেক এবং আইওআরএ-সহ ত্রিশটিরও বেশি দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

৮ম আইওসি-এর পাশাপাশি, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রুনাইয়ের দ্বিতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং তানজানিয়ার উপপররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

১৭ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করারও কথা রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট র পরর ষ ট র র জন য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

রমজানে বাজার মনিটরিং করবেন জেলা প্রশাসক: অর্থ উপদেষ্টা

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসকদের স্থানীয় বাজার মনিটরিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘দেখা যায় যে খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে, লুকিয়ে রাখা হয়; এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটা নিশ্চিত করবো।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। অর্থ উপদেষ্টা এই সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আজকে  দীর্ঘ মিটিং হয়ছে। আমাদের ভৌত অবকাঠামোগুলো বিরাট বিরাট মেগা প্রকল্প না। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অত্যন্ত দরকারি। এর মধ্যে ব্রীজ, রাস্তা রয়েছে।’’

ক্রয় কমিটির প্রায় প্রতি বৈঠকেই চাল আমদানির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। দেশের খাদ্য পরিস্থিতিটা কেমন আছে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখন তো খাদ্য পরিস্থিতি খারাপ না। একটা মানুষের বাজেটে অনেক ধরনের খাদ্য থাকে, সেখানে একটা কমবে একটা বাড়বে। সার্বিকভাবে বা মোটা দাগে যদি দেখেন মোটামুটি সহনীয় আছে। আমাদের পরিসংখ্যান আছে- কমেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘এখন রোজার সময় যেভাবে পারি মনিটরিং করবো। সেটা ডিসি সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। আমিও তাদের (ডিসিদের) বলেছি, স্থানীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার কথা। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে যাতে কোনো রকমের কারসাজি না হয়। দেখা যায় যে খাদ্যের সরবরাহ থাকলেও অনেক সময় ভোক্তার কাছে যায় না। গুদামে পড়ে থাকে লুকিয়ে রাখা হয়, এগুলো যেন কোনো ক্রমেই না হয়। রোজার সময় আমরা এটা নিশ্চিত করবো।’’

‘‘আপনারা দেখবেন আমরা বিশেষ সেলস সেন্টার করেছি। রমজানে সাধারণ মানুষের যেন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অসুবিধা না হয় সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।’’ বলেন অর্থ উপদেষ্টা। 

মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘হ্যাঁ মাতারবাড়ি একটা বড় প্রজেক্ট, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার সাপ্লাই আছে। জাপানিজরা করেছে। আপনারা জানেন জাপানি অনুদানের শর্তগুলো খুব সহনীয়। আর একটা সুবিধা হলো এ পর্যন্ত জাপানিরা যে ঋণ দিয়েছে কয়েক বছর তা অনুদান করে দেয়। এটা খুব ভালো একটা প্রজেক্ট।’’
 

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাল সংগ্রহে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খাদ্য অধিদপ্তর
  • ‘দুই মাস ধরি টিসিবির ট্রাক আইসে না’
  • আসন্ন রমজানে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা
  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সাত কোটি বই এখনো ছাপা হয়নি
  • চিনি, তেল, ছোলাসহ রোজার ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে
  • চাহাল-ধনশ্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ
  • বোতলজাত সয়াবিনের সংকট কাটেনি বাজারে
  • ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করা হচ্ছে
  • খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অর্থ উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
  • রমজানে বাজার মনিটরিং করবেন জেলা প্রশাসক: অর্থ উপদেষ্টা