শেয়ারবাজারে আবারও লেনদেনে শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আজ রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংকটি। আজ ঢাকার বাজারের মোট লেনদেনের সোয়া ৩ শতাংশই ছিল ব্যাংকটির দখলে।

বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সামনে ব্র্যাক ব্যাংকসহ ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা রয়েছে। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত হিসাব বছর শেষে ব্যাংকগুলো এ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। সাধারণত মার্চ–এপ্রিলে ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশের ঘোষণা আসে। লভ্যাংশের ঘোষণা সামনে রেখে দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও বাড়ে ভালো মানের ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি।

ব্র্যাক ব্যাংক গত বছরের প্রথম ৯ মাসের (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) যে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে ব্যাংকটির মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকটি ৮৭১ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। ২০২৩ সালের একই সময়ে এ মুনাফার পরিমাণ ছিল ৫২৬ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মুনাফার এ তথ্য ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে তুলেছে বলে মনে করছেন ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানতে চাইলে ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউসমালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্র্যাক ব্যাংক খুব ভালো মুনাফা করেছে। শেষ তিন মাসে এ মুনাফা আরও বাড়বে। তাই বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, বছর শেষে ব্যাংকটি ভালো মুনাফা ঘোষণা করতে পারে। এ কারণে ব্যাংকটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাতে বাড়ছে লেনদেন ও শেয়ারের দাম।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারের বাজারমূল্য ৪ টাকা ৩০ পয়সা বা প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি ব্যাংকটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। গতকাল দিন শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ১০ পয়সায়।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, উদ্যোক্তা–পরিচালকদের বাইরে ব্যাংকটির যত শেয়ার রয়েছে, তার বড় অংশই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে। ব্যাংকটির মোট শেয়ারের ৩২ শতাংশের বেশি রয়েছে বিদেশিদের হাতে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে সোয়া ১৪ শতাংশ শেয়ার। ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া উদ্যোক্তা–পরিচালকদের হাতে রয়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ শেয়ার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র প রথম বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা ব্যাংকের ২৪% লভ্যাংশ ঘোষণা, ছাড়বে বন্ড

৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যমুনা ব্যাংক লিমিটেড। ওই বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৪ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ এবং ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। সেই সঙ্গে পুঁজি বৃদ্ধি করতে ব্যাংকটি বন্ড ছাড়বে বাজারে।

গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইট অনুসারে, ২০২৪ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৭ পয়সা, আগের বছর কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২ টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৬১ পয়সা।

গত এক বছরে যমুনা ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২২ টাকা ২০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৬ টাকা ৪০ পয়সা।

আগামী ২৪ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। সে জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ মে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, স্টক লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে মূলত পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে; মজুত বা যে মুনাফা এখনো হয়নি, তার ভিত্তিতে মুনাফা দেওয়া হয়নি। পরিশোধিত মূলধনেও হাত দেওয়া হয়নি।

২০২৩ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ২৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে যমুনা ব্যাংক। এর মধ্যে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস।

বন্ড ছাড়বে যমুনা ব্যাংক

ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া আরেক ঘোষণায় যমুনা ব্যাংক বন্ড ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণায় বলা হয়েছে, এক হাজার কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল কুপন ছাড়া হবে। ব্যাংকটির পুঁজির ভিত্তি শক্তিশালী করতে এই বন্ড ছাড়া হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়া গেলেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা ব্যাংকের ২৪% লভ্যাংশ ঘোষণা, ছাড়বে বন্ড