অনলাইন গ্রুপের এমডি আক্তারুজ্জামানের বিচার দাবি
Published: 16th, February 2025 GMT
অনলাইন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খাঁন মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং তার বেদখলকৃত সম্পত্তি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন ইসিবি চত্ত্বরের অনলাইন গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানানো হয়।
‘ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মানিকদী, মাটিকাটা, ভাষানটেক এলাকার ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বপ্না আক্তার, মেজর (অব.
বক্তরা অভিযোগ করেন, খাঁন মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান গত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় এলাকার বহু মানুষের জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তিসহ ইসিবি চত্ত্বরের বিভিন্ন দোকানপাট জোরপূর্বক দখল করেছেন। এছাড়া ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছেন। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে তার ভয়ে কেউ কথা বলতো পারতেন না। ভুক্তভোগীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিলেও তার রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তারা আরও বলেন, আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ছাড়াও জুলাই-আগষ্ট গণআন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। এই অবস্থায় তার সুষ্ঠু বিচার ও ভুক্তভোগীদের সম্পত্তি ফেরতের ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ভুক্তভোগীরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাকায় বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনের গাজায় পাশবিক হামলা ও নিরীহ গাজাবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে আল-কুদস কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে বিক্ষোভকারীরা ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জায়োনবাদ নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিল শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি হয়। মানববন্ধনে বক্তারা ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, আজ সারা বিশ্বের মুসলিমরা যেখানে রমজান, ইফতার, সাহরি করছে সেখানে ফিলিস্তিনের শিশু-নারীরা লাশের মিছিলে শরিক হচ্ছে। বিনা নোটিশে ইসরায়েল আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর হামলা করছে। তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করে যাচ্ছে। বক্তারা ইহুদীবাদী সেনাদের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং তাদের এই নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, আজ রমজানের শেষ শুক্রবার, আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস। মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস দখলমুক্ত করার আন্দোলনে বিশ্ব মানবতাকে উজ্জীবিত করার প্রতীকী দিন এটি।
বিশ্বজুড়ে দিনটি এমন এক সময় পালিত হতে যাচ্ছে যখন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা অব্যাহত রয়েছে।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১,৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। এর ফলে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,০৮২ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১,১৩,৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বক্তারা বলেন, ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হওয়ার পর ইমাম খোমেনি (র) ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আন্তর্জাতিক আল কুদস দিবস পালনের আহ্বান জানান। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি দখলদার ইহুদীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সংগ্রামের পতাকা উড্ডীন করেন এবং কুদস শরীফ ও ফিলিস্তিনের ইসলামি ও পবিত্র ভূমির মুক্তির বিস্মৃত লক্ষ্য ও আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ইমাম খোমেইনী (র.) এর পক্ষ থেকে রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে আল কুদস দিবস নামকরণ ছিল একটি বৃহৎ বুদ্ধিবৃক্তিক ও গঠনমূলক রাজনৈতিক উদ্যোগ যা ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের গতিপথকে পাল্টে দেয় এবং এই পথটিকে আরো আলোকিত ও মসৃণ করে তোলে।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আল কুদস কমিটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মোস্তফা তারিকুল হাসান।
ঢাকা/হাসান/এসবি