সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি মনে করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে এই চার দেশ লাভবান হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’ আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শুধু সমুদ্রবন্দর আমরা ব্যবহার করবো তা তো না, আমাদের নিজস্ব একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল আছে, সেটি এখনও আমরা খুলতে পারিনি। কিন্তু অঞ্চল আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। উত্তরে নেপাল আমাদের অঞ্চল, তাদের দুর্ভাগ্য হলো—সমুদ্রের দেখা তারা পায় না। সমুদ্র দেখতে হলে আমাদের মাঝখান দিয়ে দেখতে হবে। সে পথ আমরা করে দেই, একসঙ্গে যৌথ অর্থনীতি গড়ে দেই। দুই অভাব দুজন একসঙ্গে পূরণ করি। ভুটানেও একই ঘটনা, তারও সমুদ্র দর্শন হয় নাই। তাকে সমুদ্রে আসতে হলে আমাদের পথ দিয়ে আসতে হবে, আমরা স্বাগত জানাই। তেমনই ভারতের পূর্বাঞ্চল সেভেন সিস্টারেরও একই অবস্থা। সমুদ্র দর্শন তার হয় না, হবেও না। তার জন্য আমরা যোগ দেই একসঙ্গে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে। আমাদের সমুদ্রবন্দর তাদের মালামাল আনা নেওয়া করবে, আমাদের মাল আনা নেওয়া করবে, তাদের কাছে যাবে। তাদের অর্থনীতি আমাদের অর্থনীতি একসঙ্গে জাগবে। তারাও খুব কষ্টকর অবস্থায় আছে, ভালো অবস্থায় নাই। এই সুযোগ পেলে তারাও আনন্দিত, রমরমা ব্যবসা হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের উত্তরে সেই বিখ্যাত হিমালয় পর্বতমালা, যেখানে জমে আছে আমাদের জগতীয় শক্তি ‘হাইড্রোপাওয়ার’। কত শক্তি দরকার বাংলাদেশের। এখানে সব জমা আছে, হারিয়ে যাচ্ছে না, শুধু নেওয়ার অপেক্ষায়। শুধু প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক করা, যাতে নেপাল এবং বাংলাদেশের মধ্যে যে দূরত্ব আছে, সেটি অতিক্রম করার। নেপাল এক পায়ে দাঁড়ানো , বারবার বলছে নিয়ে যেতে, আমরা এক পায়ে দাঁড়ানো নেওয়ার জন্য, মাঝখানে ওইটুকু পথ অতিক্রমের সুযোগ এখন আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আশা করি, তাদেরই অর্থনৈতিক কারণে সেটি আমাদের দেবে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য। একজনের উপকার আরেকজনের অপকার, এমন কিছু না। যদি আমরা সেই পথ খোলা পাই, বাংলাদেশকে আটকে রাখার ক্ষমতা কারও নাই।

তিনি বলেন, আমরা মহাসৌভাগ্যবান একটি জাতি তার অবস্থানের কারণে। সেই জাতির দুঃখ কেন লাগবে, আমি বুঝতে পারি না। এটা কি আমাদের কপালের দোষ নাকি চরিত্রের দোষ, নাকি আমাদের চিন্তার দোষ। যদি থাকে তাহলে সেগুলো থেকে আমরা মুক্ত হই। আমরা তো ত্বরিতগতিতে এগিয়ে যেতে চাই। এটা একটা মহাশক্তিধর অর্থনীতি তৈরি হবে। আজকে কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে উপকূল ভূমি, সেখানে যদি কাতারে কাতারে নৌবন্দর স্থাপন হয়, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত দুনিয়ার সব জাহাজকে আশ্রয় দিতে পারি, তাদের কাজ করার জন্য সুযোগ সুবিধা দিতে পারি, আমাদের আটকাবে কে? এগুলো বললাম এ জন্য, আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক হতাশায় ভুগি, হতাশার তো কারণ নেই, এটা আনন্দের বিষয়, আমাদের যেই অবস্থান, সুযোগ সুবিধা। শুধু সেগুলোকে আহরণ করা, কাজে লাগানো। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে জোরদার করা, যাতে আমরা এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কাজেই প্রাকৃতিক দিক থেকে আমরা খুবই সৌভাগ্যবান। তার চেয়ে বড় সৌভাগ্য যে আমাদের মস্ত বড় জনসংখ্যা। আগে মনে করতাম বোঝা মনে হয়। এটা সম্পদ, মানবসম্পদ। প্রযুক্তি আসার ফলে দেশের মানুষ আর বোঝা নয়। প্রতিটি মানুষ এখন সম্পদ। আমরা সেই সম্পদে সম্পদশালী। আমরা পৃথিবীর অষ্টম জনসংখ্যার দেশ। বহু দেশে মানুষ এগোতে পারছে না মানুষের অভাবে। আমরা যে মধ্যপ্রাচ্যে লোক পাঠাই, তারা কোন দুঃখে লোক নেয়, তাদের লোক নেই বলে। পৃথিবীর সব দেশ বসে আছে কখন আমাদের থেকে লোক পাবে। চীন যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, কিছু দিন পরে বোধহয় আমাদের কাছ থেকে লোক চাইবে। এই হলো আমাদের সুযোগ।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড.

আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

এএ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ন উপদ ষ ট একসঙ গ র জন য আম দ র অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

পহেলা মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজানের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওইদিন চাঁদ দেখা গেলে পরেরদিন ১ মার্চ সেসব দেশে পালিত হবে প্রথম রোজা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

আর এটি হলে মধ্যপ্রাচ্য ও মুসলিম বিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করবেন— চন্দ্র ও সৌর মাস একসঙ্গে শুরু হওয়ার ‘বিরল’ দিন। যেটি প্রতি ৩৩ বছর পর পর মাত্র একবার ঘটে।

মানে এবার আরবি বর্ষপঞ্জিকার রমজান মাসের প্রথমদিন আর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার মার্চ মাসের প্রথমদিন একই দিনে হবে। অর্থাৎ দুটি পঞ্জিকার নতুন মাসের প্রথম দিনটি হবে একসঙ্গে।

সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর ঘূর্ণনের হিসাব করে সৌর বর্ষপঞ্জিকার দিন গণনা করা হয়। এতে লিপ ইয়ারের (অধিবর্ষ) বছরটি হয় ৩৬৬টি দিনের। আর সাধারণ বছরগুলো হয় ৩৬৫ দিনের। কিন্তু চন্দ্রবর্ষপঞ্জিকা গণনা করা হয় চাঁদের পর্যায় অথবা চন্দ্রচক্রের ভিত্তিতে। আর এ কারণে রমজান মাস প্রতি বছর ইংরেজি বর্ষপঞ্জিকার ভিন্ন ভিন্ন দিন এবং মাসে শুরু হয়।

জ্যোতির্বিদরা বলছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাবে। এটি হলে ওইদিন রাতে দেশটিতে পড়া হবে প্রথম তারাবির নামাজ। সৌদিসহ বেশিরভাগ দেশ এখনো খালি চোখে চাঁদ দেখাকেই রমজান মাস শুরুর নির্ণায়ক হিসেবে ব্যবহার করে। তবে কিরগিজস্তান, কাজাখস্তানসহ কিছু দেশ জ্যোতির্বিদ্যার হিসাব-নিকাশ করে আগেই জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ১ মার্চ তারা প্রথম রোজা পালন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ে করেছেন নার্গিস ফাখরি নাকি শুধুই ‍গুঞ্জন
  • মূল্যায়ন না পেলে কাজ করব না: ইয়াশ রোহান
  • শহীদ মিনারে আগে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের মারামারি
  • কমেডিয়ান জুটির বিয়ে
  • যে জেলায় একসঙ্গে বাস করেন ১৪ ভাষার মানুষ
  • পহেলা মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের
  • মেহজাবীনদের আগেও যেসব প্রেম–বিয়ে নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছিল
  • ভিডিও কলে হোয়াটসঅ্যাপ সংযোগ
  • একসঙ্গে সব জিম্মি মুক্তির প্রস্তাব হামাসের