নারায়ণগঞ্জের মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের বদলির আদেশের প্রতিবাদে ও আদেশ বাতিলের দাবিতে কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কলেজ প্রাঙ্গণে ব্যানার টাঙিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের বদলির আদেশের প্রতিবাদে ও আদেশ বাতিলের দাবিতে কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে কলেজ মাঠে ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।  

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের অধ্যক্ষ অত্যন্ত ভালো শিক্ষক। তিনি এখানকার শিক্ষার মান উন্নত করেছেন। তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। এজন্য আমরা ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করেছি।  

কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ৬ মাস হলো এসেছি এবং তাদের মাঝে কিছু অপূর্ণতা লক্ষ্য করেছিলাম। আমি এসেই নতুন বাংলাদেশ পেলাম। এসেই এখানে দেয়াল ভাঙা ছিল, সেটা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি, ৩০ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে, অচিরেই কাজ চালু হবে। কলেজে না এলে অভিভাবকদের কাছে এসএমএস চলে যায়।

ফলে কলেজ ফাঁকি দিলে অভিভাবক জেনে যায়। এ রকম কিছু কাজ আমি এসে করেছি। আদেশ হয়েছে, আমি সরকারি আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি আদেশ মেনে চলে যাবো। আমি কলেজের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশ গড়ায় অনন্য ভূমিকা রাখবে আমার প্রত্যাশা।  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা যথাযময়ে যেন শ্রেণিকক্ষে আসে, শিক্ষালাভ করে, নিজেদের জীবন গড়ে, পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করে, দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত করে। আমি কোনোভাবেই চাইনা সরকারি আচরণবিধি ও আদেশ পরিপন্থি কোনো কাজে তারা অংশগ্রহণ করুক। তাদের জায়গা শ্রেণিকক্ষে, সেখানেই থাকা উচিত।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র বদল

এছাড়াও পড়ুন:

মোগল আমলে যেমন ছিল ঢাকার ঈদ

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে প্রকাশিত একটি পোস্টকার্ডে দেখা যায়, সতেরো শতকের শুরুতে নায়েব নাজিমদের ঈদ উদ্‌যাপন, ঈদ মিছিলের দৃশ্য। সেখানে তৎকালীন ঢাকার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র চকবাজার, বড় কাটরার ফটক ও মীর জুমলার কামান ‘বিবি মরিয়ম’ দৃশ্যমান।

ছবির সেই ঈদের মিছিলটি নিমতলী প্রাসাদ থেকে বের হয়ে হোসেনি দালান, বেগমবাজার, চকবাজার ঘুরে আবার নিমতলীতে গিয়ে শেষ হয়। জলরঙে আঁকা শিল্পী আলম মুসাওয়ারের এসব চিত্রকলায় ধরা আছে শত শত বছর ধরে পুরান ঢাকায় মোগল ঐতিহ্যের পরম্পরার কথা।

একই সময়ের মোগল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রের একটি দৃশ্য দেখা যাক। হাতি এনে বসানো হলো বাদশাহর সামনে। পাশে হাওদায় রাখা রত্নখচিত শৈল্পিক কেদারায় বসলেন বাদশাহ। কেদারা তুলে দেওয়া হলো হাতির পিঠে। হাতিযোগে বাদশাহ আর পদযোগে রাজকর্মচারীরা চললেন দিল্লির ঈদগাহ অভিমুখে নামাজ পড়তে। মোগল আমলের শেষ দিকের ঈদ মিছিলের এমন বর্ণনা পাওয়া যাবে মুন্সি ফাইজুদ্দিনের ‘বাজম-ই আখির’ নামের লেখা উর্দু কাব্যগ্রন্থে। সতেরো শতকে লেখা হয় এই কাব্যগ্রন্থ।

আরও পড়ুনদিল্লি থেকে পুরান ঢাকা : যেমন ছিল শত বছর আগের ঈদ০৫ এপ্রিল ২০২৪ঢাকার শাহি ঈদগাহ, প্রায় ৪০০ বছরের পুরোনো এই পুরাকীর্তি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ