ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব
Published: 16th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ওমানের রাজধানী মাস্কটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে তৌহিদ হোসেন ও জয়শঙ্করের মধ্যে এ বৈঠক হয়। বাংলাদেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এটা দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে একবার আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন তাঁরা।
আজ মাস্কটে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সম্পর্কে দেখা দেওয়া চ্যালেঞ্জসমূহ দূর করতে একসঙ্গে কাজ ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ এই কূটনীতিকেরা।
বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট দিয়েছেন। দুইজনের ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পরর ষ ট র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যানসারের চিকিৎসায় অর্থের অপচয় চান না, তাই স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করলেন ব্যবসায়ী
ভারতের দিল্লির কাছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে এক আবাসন ব্যবসায়ী স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেন এবং পরে আত্মহত্যা করেন। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে।
কুলদীপ ত্যাগী (৪৬) নামের ওই ব্যবসায়ী একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তাঁর ক্যানসার ধরা পড়েছে। আর তিনি চান না, তাঁর চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, সুস্থ হওয়াটা পুরোপুরি অনিশ্চিত।
ওই সুইসাইড নোটে আরও লেখা ছিল, তিনি স্ত্রী অনশু ত্যাগীকে হত্যা করেছেন। কারণ, তাঁরা একসঙ্গে থাকার শপথ করেছিলেন। এ দম্পতি দুই ছেলেসন্তান ও কুলদীপের বাবার (অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা) সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, কুলদীপ তাঁর স্ত্রীকে একটি লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এবং তারপর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। গতকাল স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে রাজনগর এক্সটেনশনের রাধাকুঞ্জ সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় তাঁদের দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন। গুলির শব্দ শোনার পর তাঁরা দৌড়ে তাঁদের মা–বাবার কক্ষে যান। কুলদীপের মরদেহ মেঝেতে পাওয়া যায় এবং অনশুর মরদেহ বিছানায় ছিল। দুজনকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।
ওই কক্ষে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে লেখা ছিল: ‘আমি ক্যানসারে আক্রান্ত। আমার পরিবার তা জানে না। আমি চাই না চিকিৎসায় অর্থ অপচয় হোক। কারণ, বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনিশ্চিত। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছি। কারণ, আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকার শপথ নিয়েছিলাম। এটি আমার সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানেরা দায়ী নয়।’
পুলিশ রিভলবারটি জব্দ করেছে এবং মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা পুনম মিশ্র বলেন, ‘কুলদীপ ত্যাগী তাঁর স্ত্রীর এবং তারপর নিজের ওপর লাইসেন্স করা রিভলভার দিয়ে গুলি চালিয়েছেন। একটি সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী বলেছেন, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত এবং তাঁর পরিবার তা জানে না। তিনি চান না তাঁর চিকিৎসায় অর্থ খরচ করা হোক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি স্ত্রী ও নিজেকে হত্যা করবেন। আমরা এই বিষয়টি তদন্ত করছি।’