প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চার দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি মনে করেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে এই চার দেশ লাভবান হবে। ইতোমধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)  রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশনের সম্মেলন ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

টানাপোড়ন শেষে বিদ্রোহের অবসান

সরকারের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করতে তারা ট্রাম্পের কাছেও গিয়েছিল: প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‍“প্রাকৃতিক দিক থেকে আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। এর পাশাপাশি আমাদের রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী, যা দেশের জন্য বড় সম্পদ।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্ব জয় করতে পারে। তাই এই প্রজন্মের জন্য দরজা খুলে দিতে হবে।”

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, “জুলাই আগস্ট মাসে আমাদের তরুণরা যা দেখিয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখাতে পানেনি।”

দুর্নীতি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা বলে তিনি উল্লেখ করেন। ড.

ইউনূস সরকারি সেবাসমূহকে অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন উপদ ষ ট ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচেও ৭৩ রানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টম ল্যাথামের দল।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। মাত্র ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৯ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও তার ইনিংসেই কিউইরা বড় সংগ্রহের ভিত পায়। এ ছাড়া অভিষিক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্বাস ৬৬ বলে ৪১ রান করেন। ওপেনার নিক হিলি ২৩ বলে ৩১ রান এবং হেনরি নিকোলস ৩২ বলে ২২ রান করেন। তবে বাকিরা তেমন বড় অবদান রাখতে পারেননি।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম ২টি করে উইকেট নেন। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা বাজে দিন কাটান, অতিরিক্ত ৩২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেন তারা।

লক্ষ্য তাড়ায় কখনই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমের সঙ্গে তৈয়ব তাহিরের জুটিও শেষ হয় ৩৩ রানে। ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান ফাহিম ও নাসিমের ব্যাটে পায় সবচেয়ে বড় জুটির দেখা। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। দুজনেই পান ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা।

৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করা ফাহিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। সুফিয়ান মুকিমের সঙ্গে শেষ উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসিম আউট হন ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা-চারে ৫১ রান করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ