বইমেলায় রহস্যে ঠাসা ইশতিয়াকের পাঁচ বই
Published: 16th, February 2025 GMT
আপনি কি জানেন মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়ার জঙ্গলের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া রেললাইনের পাশেই ঘুরে বেড়াতো বাঘ। ১৯৫০ সালের কাছাকাছি সময়ে সেখানে হয়েছে বাঘ শিকার। এক সময় কাসালং রিজার্ভে হাতি এতো বেশি ছিল যে, খেদার মাধ্যমে বুনোহাতি ধরে পোষ মানানো হতো। চমকপ্রদ এই তথ্য পাওয়া যাবে উইথ দ্য ওয়াইল্ড অ্যনিমেলস অব বেঙ্গল বইটিতে। ইউসুফ এস আহমেদের বইটি রূপান্তর করেছেন ইশতিয়াক আহমেদ।
এই বইটিসহ ২০২৫ সালের বইমেলায় ইশতিয়াক আহমেদের নতুন বই এসেছে পাঁচটি। এর মধ্যে তিনটি থ্রিলার, আর দুটি সত্যিকারের অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। বইগুলো কল্পনার জগতে ঘুরিয়ে আনবে পাহাড়, অরণ্য ও রোমাঞ্চপ্রেমীদের। এগুলো প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য (প্যাভিলিয়ন ২৮) ও কথাপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন ২৫)।
কথাপ্রকাশ থেকে বের হয়েছে দুটি বই। একটি মৌলিক থ্রিলার, অপরটি অনুবাদ। কিশোর থ্রিলারের নাম ‘ফগ সাহেবের অভিশাপ’। পঁয়ত্রিশ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক স্কটিশ সাহেবের অপ্রত্যাশিত আবির্ভাবে ঘটছে নাটকীয় ঘটনাপ্রবাহ। পরিত্যক্ত এক বাংলো ও পুরোনো এক অভিশাপ আরও জটিল করল পরিস্থিতি। কিশোর ছেলেকে নিয়ে রহস্যভেদে এসে যেন অথৈ সাগরে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাবিলা। কী সেই ঘটনা?
চা বাগানের ভেতরে পরিত্যক্তই বাংলো সবাই এড়িয়ে চলে কেন? এটা কি সত্যি ভূতুড়ে? পাহাড় জঙ্গল কাঁপিয়ে দেওয়া ওই অশুভ চিৎকারের রহস্য কী? এসব জানতে পড়তেই হবে ‘ফগ সাহেবের অভিশাপ’। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর। দাম ৩০০ টাকা।
অপর বইটির কথা শুরুতেই বলা হয়েছে। পুরনো দিনের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সুন্দরবন, সিলেট ও ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাংলাদেশি বন কর্মকর্তা ইউসুফ এস আহমেদের রোমাঞ্চকর অভিযানের বর্ণনা পাবেন এতে। দেশের পুরনো দিনের অরণ্য ও বন্যপ্রাণীর এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে এমনকি গবেষকদেরও বইটি আকৃষ্ট করবে আশা করি।
শুধু রূপান্তরই নয়, এ বইটিতে সংযোজিত হয়েছে বেশ কিছু টিকা, পুরোনো দিনের ছবি ও নতুন করে আঁকা চমৎকার কিছু ইলাস্ট্রেশন, যা মূল বইয়ে ছিল না। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন দেওয়ান আতিকুর রহমান। ভেতরের অংকনের কারিগর তন্ময় শেখ। বইটির মূল্য ৫০০ টাকা।
ঐতিহ্য থেকে বের হয়েছে লেখকের নতুন তিনটি বই। লেখকের পাহাড় ও জঙ্গলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই ‘কখনো পাহাড় কখনো অরণ্য’। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ইশতিয়াক আহমেদ পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অরণ্য-পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই গল্প পাহাড়ের, জঙ্গলের, বন্যপ্রাণীর আর চলার পথে পরিচয় হওয়া দুর্গম এলাকার অসংখ্য মানুষের।
পাঠকদের জন্য বাড়তি পাওয়া ভ্রমণসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, টিপস ও ১৬ পৃষ্ঠা চাররঙা ছবি। এ বইটির প্রচ্ছদও দেওয়ান আতিকুর রহমানের করা। মূল্য ৩৫০ টাকা।
এ প্রকাশনী থেকে এসেছে ইশতিয়াক আহমেদের ‘নাহিদ দ্য ইনভেস্টিগেটর’ সিরিজের চতুর্থ বই ‘ফাদার মরিসনের ভূত’। বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে পুরোনো, পরিত্যক্ত এক গির্জাকে কেন্দ্র করে ঘটতে শুরু করল আধিভৌতিক কাণ্ড-কারখানা। গভীর রাতে ভেসে আসে ঘণ্টার আওয়াজ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে অদ্ভূত এক কুয়াশা। নিখোঁজ হচ্ছে একের পর এক মানুষ। বাঘের পিঠে চড়া ওই ভূতুড়ে ছায়ামূর্তিই বা কে? তবে কি পাহাড়ের কিংবদন্তিই সত্যি? ফিরে এসেছে ফাদার মরিসনের অতৃপ্ত প্রেতাত্মা? এসব অজানা রহস্যের সমাধান মিলবে ‘ফাদার মরিসনের ভূতে’। বইটির প্রচ্ছদ ও ভেতরের অলংকরণ করেছেন জাহিদ জামি। মূল্য ২২০ টাকা।
মূল চরিত্র নাহিদ জামি পেশায় সাংবাদিক। দুর্গম পাহাড় ও গভীর অরণ্য টানে তাকে। কখনো অফিসের অ্যাসাইনম্যান্টে, কখনো নিছক শখে বেরিয়ে পড়েন রোমাঞ্চকর অভিযানে। জড়িয়ে পড়েন নানা রহস্যজালে। এই সিরিজের আগের তিনটি বই হলো ‘ফরাসি ম্যামের ধাঁধা’, ‘পাহাড়চূড়ার খুনি’ ও ‘মানিকপুরের নেকড়ে রহস্য’।
ঐতিহ্য থেকে এবারের মেলাতেই বের হয়েছে অ্যাডভেঞ্চার সিরিজের প্রথম বই ‘হলুদ পাহাড়ে মৃত্যু’। বন কর্মকর্তা অনিক ফিল্ড ট্রেনিংয়ে এলো বান্দরবানের দুর্গম এক এলাকায়। আর এসেই আবিষ্কার করল এখানে কাঠ পাচার কিংবা চোরাশিকার ছাড়াও আরও নানা ধরনের ঝামেলার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। রহস্যময় হলুদ পাহাড়ের গাছ কাটলেই কি বরণ করতে হয় যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু? সেখানে কী প্রবল ক্ষমতাধর কোনো শক্তির বাস? স্থানীয়দের মুখে শোনা ভয়ানক দানব কিং কোবরার কিংবদন্তি কি সত্যি? এর মধ্যেই নিখোঁজ ভাইকে খুঁজতে আসা এক তরুণী জটিল করল পরিস্থিতি। এ বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন মানব। মূল্য ১৯০ টাকা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বইম ল আহম দ র কর ছ ন দ র গম রহস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তৎপর আনসার
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পার্বত্য অঞ্চলে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নসহ সারাদেশে ৪২টি ব্যাটালিয়নের প্রতিটিতে ১ প্লাটুন করে ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তরের নির্দেশনায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার আনসার বাহিনীর উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সম্প্রতি দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাহিনীর পক্ষ থেকে কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অন্তত্য ৫৫ হাজার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যকে অধিকতর সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীপথে যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৬ মার্চ থেকে ঈদ পরবর্তী সময়ে দুই দিন পর্যন্ত প্রতিটি লঞ্চে চারজন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২৫ মার্চ থেকে ৮এপ্রিল পর্যন্ত রেলপথে যাত্রীদের নিরাপত্তায় ৬৫০জন সাধারণ আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিশেষায়িত ইউনিট আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভিডিপি সদস্যদের সক্রিয় রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো কর্মকাণ্ড সংঘটিত হলে তারা দ্রুততম সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।