জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, “আমরা ধর্ম পালন করব। কিন্তু নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করব না। কেউ তারাবিতে ২০ রাকাত আবার কেউ ৮ রাকাত নামাজ পড়ে। আমাদের দেশে এ বিষয়টি নিয়ে অনেক বিভেদ ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা এ দ্বন্দ্ব পরিহার করে ধর্ম পালন করব।”

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জবি কেন্দ্রীয় মসজিদ পরিচালনা কমিটি আয়োজিত ‘মধ্য শাবানের রাত ও রমাদানের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়।  

উপাচার্য বলেন, “আমাদের এ ক্যাম্পাসে জ্ঞান-বিজ্ঞানের আবহ রয়েছে। আমরা এর পাশাপাশি ইসলামের শিক্ষাটাকে ধারণ ও অনুশীলন করব। আমরা কাউকে অবজ্ঞা করব না।”

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.

মো. রইছ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী।

 এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ বন দ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ককে কুপিয়ে জখম

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক কবিরুল ইসলাম ওরফে জয়কে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার ভুল্লী এলাকার বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় কবিরুলকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কবিরুল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কেশুরবাড়ি এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। 

কবিরুল জানান, জুলাই আন্দোলনে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে সময় পুলিশের গুলিতে তিনি আহত হন। তার শরীরে প্রায় ২৭টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার চোখেও গুলি লাগে। চোখের চিকিৎসার জন্য ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে রাত দুটার দিকে একজন তার কাছে ফোন করে জানতে চান, তিনি কোথায় আছেন। সে সময় কবিরুল তাকে ঠাকুরগাঁও ফিরছেন বলে জানান।

কবিরুল বলেন, ঢাকার একটি বাসে করে আজ ভোরে ঠাকুরগাঁও শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নেমে অটোরিকশায় বাড়ির দিকে রওনা হই। পাঁচটার দিকে ভুল্লী এলাকায় পৌঁছালে দুইটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। তবে আমি হামলাকারীদের চিনতে পারিনি।’

দুর্বৃত্তরা কবিরুলকে কুপিয়ে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান । 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, কবিরুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেসব জায়গায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ