এক বছর পর পুরস্কার ছুঁয়ে দেখলেন প্রিয়াম
Published: 16th, February 2025 GMT
গত বছর রাশিয়ার মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয় বাংলাদেশের সিনেমা ‘নির্বাণ’। সিনেমাটি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে আয়োজনে অংশ নেন সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী প্রিয়াম অর্চি। পরে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাজ্যে যান। সেখানে গিয়েই জানতে পারেন তাঁদের সিনেমাটি স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। খুশি হলেও সেই অ্যাওয়ার্ড ছুঁয়ে দেখতে পারেননি। এক বছর পরে সেই স্বীকৃতি ছুঁয়ে দেখলেন প্রিয়াম।
প্রিয়াম অভিনীত ‘বলী’ সিনেমা ৭ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। বুসানের নিউ কারেন্টস–জয়ী এই সিনেমার প্রচারণা নিয়েই ব্যস্ত প্রিয়াম। এর মধ্যে ‘নির্বাণ’ সিনেমার পরিচালক আসিফ ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রিয়াম। ছবি: ফেসবুক থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনুর রহমান খাঁনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ওই হলের একদল শিক্ষার্থী। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের ফটকে হ্যান্ডমাইক নিয়ে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এর আগের দিন রোববার প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ওই শিক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে নামফলক খুলে ফেলেন এই শিক্ষার্থীরা। ওই দিন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সোহেল আহমেদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ডেন ও হাউস টিউটরদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চাওয়া শিক্ষার্থীরা। তবে ওই আলোচনায় প্রাধ্যক্ষ আমিনুর রহমান খাঁন উপস্থিত ছিলেন না। আলোচনায় শিক্ষার্থীরা রাতের মধ্যেই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি করেন। এরপর হলের ওই শিক্ষকেরা (যাঁরা আলোচনায় বসেন) প্রাধ্যক্ষের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁরা জানান, প্রাধ্যক্ষ বলেছেন, উপাচার্য তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তিনি বললে পদত্যাগ করবেন। তা ছাড়া স্বেচ্ছায় তিনি পদত্যাগ করবেন না।
এরপরই একদল শিক্ষার্থী হলের ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
আলোচনায় উপস্থিত ও বিক্ষোভকারী ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান (তাজ) বলেন, ‘আমাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হলের শিক্ষকেরা আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন। আমরা তাঁর পদত্যাগের দাবি জানাই। পরে শিক্ষকদের একজন প্রভোস্টকে কল করে পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন না বলে জানান। এর প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ করছি। রাতের মধ্যেই তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।’
যেসব কারণে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ চান, সে বিষয়গুলো উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এই শিক্ষার্থীরা।
লিখিত অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, প্রাধ্যক্ষ হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এ ছাড়া মসজিদ সংস্কারে অসহযোগিতা, হলের সব কর্মচারীর কাজের তদারকিতে অবহেলা ও হলের নোংরা পরিবেশ নিয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া, রিডিংরুম সংস্কারে দায়িত্বহীনতা, শিক্ষার্থীদের রুম সংস্কারে অনীহা ও দীর্ঘসূত্রতা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়া, হলের দীর্ঘদিনের ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান না করা ও দীর্ঘ পাঁচ মাস তাঁকে বলার পরও এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া, হলের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলাসামগ্রী দিতে অস্বীকৃতি, একাধিকবার বলার পরও বিশুদ্ধ পানির ফিল্টারের কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া, ওয়াশরুম সংস্কার ও পরিষ্কারে তদারকি না করা, শিক্ষার্থীদের হুমকি ও ক্ষমতার দাপট দেখানো, কোনো শিক্ষার্থী রাতে ফোন দিলে বিভিন্ন ধরনের কৈফিয়ত চাওয়া।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনুর রহমান খান। তিনি রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘হলের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের জন্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। ঈদের আগপর্যন্ত কোনো অভিযোগের কথা তারা আমাকে বলেনি। ঈদের পর ক্যাম্পাস খুলেছে মাত্র কয়েক দিন হলো। এর মধ্যে কীভাবে এসব অভিযোগ এল? প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে বলেছি। তারা পেছনে থেকে শিক্ষার্থীদের ইন্ধন দিয়ে এ কাজগুলো করাচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার বিষয়ে আমরা অতি দ্রুত সংবাদ সম্মেলন করব।’