বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। ৩০ জানুয়ারির ১৮ ফুটবলার, কোচ পিটার বাটলারের বিপক্ষে বিদ্রোহের ডাক দিয়ে বসেন। অবশেষে সেই সমস্যার অবসান ঘটেছে। বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন- আলোচনার পর তারা কোচ বাটলারের অধীনেই অনুশীলনে ফিরতে রাজি হয়েছেন।
কিরণ বলেন, “সভাপতি ও আমার পক্ষ থেকে মেয়েদের বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজও তাদের সাথে বসেছিলাম, কথা বলেছি। এখন আমি আপনাদের বলতে পারি যে, মেয়েরা অনুশীলনে ফিরবে।”
তবে এই ফুটবলাররা এখনই অনুশীলনে ফিরবেন না। কারণ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প বন্ধ হবে। “আজ কালই তারা অনুশীলনে ফিরবে না। আমাদের ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। দল আরব আমিরাত যাবে ওই দিন ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলতে। ওইদিন থেকে সবার জন্য ক্যাম্প বন্ধ। সিনিয়র মেয়েরাও চাচ্ছে একটা ব্রেক নিতে। তাই ওরাও ছুটিতে চলে যাবে। আরব আমিরাত থেকে দল দেশে ফিরলে তারাও ছুটিতে যাবে। তারপর আমরা সবাইকে একসঙ্গে ক্যাম্পে ডাকবো। ওরা ফিরলে আমরা উইমেন্স উইং মেয়েদের নিয়ে সভাপতি, সহ সভাপতি যারা আছেন এবং কোচদের নিয়ে বসবো। বিষয়টি নিয়ে যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সেটা মিটিয়ে দেওয়া হবে। কারণ, কেউ কারও ওপর অসন্তুষ্ট থাকলে ভালো কিছু হবে না।”- যোগ করেন কিরণ
আরো পড়ুন:
হামজাকে রেখে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
বাটলারের আগ্রহ নেই বিদ্রোহীদের নিয়ে
বিদ্রোহী ফুটবলাররা ৩০ জানুয়ারি কোচ বাটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল। যার মধ্যে গালিগালাজ, বডি শেমিং ও মানসিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ ছিল। তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইংলিশ লোচ বাটলারের অধীনে তারা অনুশীলন করবেন না।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ৫ সদস্যদের আহ্বায়ক কমিটিকে ৩৩ সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) দলটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচবি রুহুল কবির রিজভী এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে, ১নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ আহম্মেদ টুটুল এবং সিনিয়র সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ।
এবার ২৮ সদস্যরা হলেন - আজহারুল ইসলাম মান্নান, গোলাম ফারুক খোকন, লুৎফর রহমান আবদু, এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, মো. ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাজেদুল ইসলাম, মো. মোশারফ হোসেন, আশরাফুল হক রিপন, মজিবর রহমান ভূঁইয়া, মুশকাত আহমেদ, শাহজাহান মেম্বার, শামসুল হক মোল্লা, মো. বাছির উদ্দিন বাচ্চু, এড. আব্দুল বারী ভূঁইয়া, তাসিকুল হক ওসমান, মো. জুয়েল আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ, একরামুল কবির মামুন, মো. সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার সাদাত সায়েম, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, রহিমা শরিফ মায়া, মো. অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, সেলিম হক রূমি, মো. নূরনবী ভূঁইয়া, নাদিম হাসান মিঠু ও হামিদুল হক খান।
জানাগেছে , ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হবে।
আর গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।
তার আগে, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুন সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।