কক্সবাজারে ১৬ বছর পর বিএনপির সমাবেশ সোমবার
Published: 16th, February 2025 GMT
কক্সবাজারে দীর্ঘ ১৬ বছর পর বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের গোল চত্বর মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি থাকার কথা রয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জন দাবি সামনে রেখে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নেতাকর্মী ছাড়াও জেলার সর্বস্তরের লক্ষাধিক জনগণের অংগ্রহণে সমাবেশটি মহাসমাবেশে রূপ নেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।।
আরো পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ: তদন্ত কমিটি গঠন
আ.
সংবাদ সম্মেলনে লুৎফর রহমান কাজল আরো বলেন, ‘‘অনির্বাচিত সরকার কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই প্রথমে জাতীয় নির্বাচন চায় বিএনপি। দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের রোড়ম্যাপ ঘোষণা করুন। একমাত্র নির্বাচিত সরকারই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জনআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতি রেখে সর্বাগ্রে জাতীয় নির্বাচন জরুরি। সারা দেশব্যপী জনমত গঠন করতে কেন্দ্রীয় বিএনপি জনসভা, সমাবেশ চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি জনদাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধ্য করা হবে।’’
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশের মানুষ ভালো নেই। রাষ্ট্র ক্ষমতায় জনগণের সরকার না থাকার কারণে নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বগতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লেগে আছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। আমরা আগে জাতীয় সংসদের নির্বাচন চাই, জনগণের অধিকার চাই।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘চার দফা দাবিতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির জনসভায় লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম হবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইতোমধ্যে সমাবেশ সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটির জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। জেলার শীর্ষ নেতাদের তত্ত্বাবধানে জেলার ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিট ৭৯১টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রস্তুতি সভা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির ৩ নেতার পদত্যাগ
জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন খুলনার জাতীয় পার্টির তিন নেতা। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সাবেক মহানগর সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল ও অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তারা তিনজন দীর্ঘদিন ধরে পার্টির মধ্যে কোনঠাসা ছিলেন। বর্তমান খুলনা জাতীয় পার্টির কোনো পদে তারা নেই। গতবছর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পার্টির রওশন এরশাদ অনুসারীরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যে কমিটি করেছিলেন তাতে এই তিনজনের নাম ছিল। কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে দেখা যায়নি।
দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকার পর পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে এই তিন নেতা বলেন, ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া রাজনৈতিক সংস্কার ও শিষ্টাচার। আমরা রাষ্ট্রের পূর্ণ সংস্কার চাই, যাতে ভবিষ্যতে জনগণের দোহাই দিয়ে আর কোনো স্বৈরশাসক জাতির কাঁধে চেপে বসতে না পারে।
নতুন রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনার বিষয়ে তারা বলেন, আপাতত নেই। তবে রাজনীতি চলমান প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
গফফার বিশ্বাস এর আগেও কয়েকবার বিএনপি ও জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় অপারেশন ক্লিন হার্ট শুরু হয়। অসংখ্য মানুষ নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এর প্রতিবাদে পদত্যাগ করি। পরে জাতীয় পার্টি যে ক’বার জনগণের ভাষা বুঝতে পারেনি, ভুল পথে হেটেছে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।
বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে খুলনা মোটরবাস মালিক সমিতি, নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন আবদুল গফফার বিশ্বাস। মাসুদুর রহমানও সরকারি আইনজীবী হিসেবে দীর্ঘদিন আদালতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিষয়ে আমি সবচেয়ে সোচ্চার ছিলাম।