অমর একুশে বইমেলায় একটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্টল বন্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। অভিযোগ উঠেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি করায় স্টলটি বন্ধ করেছে বাংলা একাডেমি। তবে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলছেন, এই স্টলটি মেলায় নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদন নেয়নি। এজন্য বন্ধ করা হয়েছে। এর সঙ্গে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিংবা ডায়াপারের কোনো সম্পর্ক নেই।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, বইমেলায় কিছু কাজের জন্য আমরা ইভেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিই। তারা টয়লেটসহ মেলার অবকাঠামোর জন্য কিছু কাজ করে থাকে। এজন্য মেলা কমিটিকে জানিয়ে তারা ছোট ছোট স্পন্সর সংগ্রহ করার সুযোগ পায়। যেভাবে টয়লেট ক্লিনিং এর কাজ করছে ডেটল। তারা মেলা কমিটিকে জানিয়ে সেবা দিচ্ছে। কিন্তু এই স্টলটি ইভেন্ট প্রতিষ্ঠানের লোকজন মেলা কমিটিকে না জানিয়ে স্থাপন করেছে।

এদিকে ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান ড্রিমার ডংকি প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাকিব হাসান অনুমোদনহীনভাবে স্টলটি স্থাপন করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা কিছু কোম্পানি থেকে স্পন্সর সংগ্রহ করি। মেলা কমিটি আমাদেরকে জায়গা দেখিয়ে দেন। টয়লেট ক্লিনিং ডেটলের মতোই স্যানিটারি ন্যাপকিন আর ডায়াপারের জন্য এই স্টলটি দিয়েছিলাম।

অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ইসলামিক গ্রুপের আপত্তির কারণে মবের ভয়ে স্টলটিতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি করতে নিষেধ করেছে মেলা পরিচালনা কমিটি।

তবে বইমেলা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই চিঠি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল স টলট বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার ইন্ডিয়ার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন মন্ত্রী

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ভাঙা সিটের টিকিট বিক্রি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। 

গতকাল শনিবার এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে সামাজিক মাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, এয়ার ইন্ডিয়া ‘যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা’ করছে। 

তিনি জানান, ভাঙা সিটের ব্যাপারে বিমানের এক ক্রুকে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁকে বলা হয়, সিটটিতে যে ত্রুটি রয়েছে, সেটি সংস্থাকে জানানো হয়েছিল। এর টিকিট বিক্রি না করতেও বলা হয়েছিল।

এক্সে শিবরাজ সিং লেখেন, ‘পুসার কিষাণ মেলা উদ্বোধন করতে আজ আমার ভোপাল থেকে দিল্লি আসতে হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়। আমি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট নাম্বার এআই৪৩৬ এ একটি টিকিট বুক করি। আমাকে ৮সি সিটটি দেওয়া হয়। বসতে গিয়ে দেখি সিটটি ভাঙা; নিচু হয়ে আছে। সেখানে বসতে অস্বস্তি হচ্ছিল।’ এনডিটিভি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ