মাতৃভাষা পদক পাচ্ছেন দুই ব্যক্তি, এক প্রতিষ্ঠান
Published: 16th, February 2025 GMT
এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক পাচ্ছেন দেশি-বিদেশি দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে জাতীয় পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও ভাষাগবেষক অধ্যাপক আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা। আর আন্তর্জাতিক পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন জোসেফ ডেভিড উইন্টার ও প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে ভূমিকা রাখায় জাতীয় পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভাষাবিজ্ঞানী ও ভাষাগবেষক অধ্যাপক আবুল মনসুর মুহম্মদ আবু মুসা। আন্তর্জাতিক পদকের জন্য মনোনীত জোসেফ ডেভিড উইন্টার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জীবনানন্দ দাশের রচনাবলি অনুবাদ, বাংলা ভাষার আন্তর্জাতিকীকরণ ও প্রসারে ভূমিকা রেখেছেন। এ ছাড়া প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাস মহান ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ইউনেসকোর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে এই পদক দেওয়া হয়। মাতৃভাষার চর্চা, সংরক্ষণ, বিকাশ, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ কৃতিত্বের জন্য দেশি ও বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ দেওয়া হয়। পদকের সংখ্যা চার। এর মধ্যে জাতীয় ক্ষেত্রে দুটি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দুটি। পদক হিসেবে ১৮ ক্যারেট মানের ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও চার লাখ টাকা বা সমমূল্যের ডলার দেওয়া হয়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিত থেকে এই পদক দেওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয়। এ বছর এই স্বীকৃতি দেওয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা একুশে ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটায় ইউনেসকো আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনলাইনে শুভেচ্ছাবার্তা দেবেন বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই
বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তৈরি করা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় দুই দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সন্দেহভাজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, নাম-পরিচয় প্রকাশ হওয়ায় অভিযুক্ত গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে রোববার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই ডিটেকশনের (শনাক্তের) ক্ষেত্রে সন্তোষজনক পর্যায়ে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম (এই সময়ের মধ্যে) দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব, ইনশা আল্লাহ।’
তবে ডিএমপি কমিশনার এমন কথা বললেও পয়লা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হওয়ার পরও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেওয়ার ঘটনার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহপাঠীরা ‘অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে পারার’ কথা জানান। তাঁরা বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই যুবক থাকতেন মাস্টারদা সূর্য সেন হলে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়নের অনুসারী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁকে আর হলে দেখা যায়নি।
বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় ছিল শোলা দিয়ে নতুন করে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’