বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকাল অপেক্ষা করবে না। এখন সময় এসেছে জনগণের অধিকার জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার। তাই কালবিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।”

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে। অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারগুলো টেকসই করতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজন। সংসদে বসেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবে। সংস্কারের নামে বছরের পর বছর জনগণ অপেক্ষা করবে না। ১৬ বছর ধরে দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। সবকিছু নিয়ে কাজ করতে চাইলে কোনোটাই সফল হবে না। তাই জনগণের মৌলিক ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী। 

কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আগানগর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, মোজাদ্দেদ আলী বাবু, আগানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, আরশাদ রহমান সপু, ঢাকা জেলা দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি, পাভেল মোল্লা প্রমুখ।

ঢাকা/শিপন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স জনগণ র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যবস্থা না নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা থাকবে না: ফখরুল

সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে দল গঠন করলে তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, তা না হলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের ওপর আছে, সেই আস্থা আপনাদের ওপর আর থাকবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে আলোচনার মধ্যে আজ বুধবার এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব। বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের উদ্যোগে দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা হয়।

গত মাসে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে না পারলে নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না। তখন আরেকটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। কেন ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আজকে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘কেন বলেছিলাম, তা এখন প্রমাণিত হচ্ছে।’

সরকারের এক উপদেষ্টাকে ইঙ্গিত করে এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তখন তিনি বলেছিলেন আমি নাকি এক–এগারোর দিকে নজর দিচ্ছি। আমরা এক–এগারোর ভুক্তভোগী। এক–এগারো যারা তৈরি করেছে তারা টিকতে পারেনি মানুষের কাছে। আবারও হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই যদি আবার কেউ সেই এক–এগারোর কথা চিন্তা করেন, গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে সেই একদলীয় শাসন ফ্যাসিস্ট সরকারের দিকে যেতে চান, তাহলে কখনোই জনগণ তা মেনে নেবে না।’

নতুন যেকোনো রাজনৈতিক দলকে বিএনপি স্বাগত জানাবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রসংগঠন ইতিমধ্যে করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যখনই দল তৈরি করবেন, স্বাগত জানাব। তার অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ–সুবিধা নিয়ে আপনারা আপনাদের দল গঠন করবেন। সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।’

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতা–কর্মীরা। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেবিআই), খামারবাড়ি, ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
  • আধিপত্যের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষা
  • নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই: জি এম কাদের
  • সংস্কারের নামে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবেন না: আমীর খসরু
  • নির্বাচনের আগে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: জিএম কা‌দের
  • নির্বাচনের আগে সংস্কারের প্রয়োজন নেই: জি এম কাদের 
  • সংস্কারের গল্প বলে কালক্ষেপণের সুযোগ নেই: আমীর খসরু
  • সরকার আদৌ নির্বাচন দেবে কিনা সন্দেহ হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • ‘সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকেছে’
  • ব্যবস্থা না নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর আস্থা থাকবে না: ফখরুল