কিশোরগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপে সংঘর্ষ: তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 16th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অপর চার সদস্য হলেন, আতিকুর রহমান মাসুদ, কামাল উদ্দিন মো.
আরো পড়ুন:
আ.লীগ একছত্র অপশাসন কায়েম করেছিল: তারেক রহমান
‘আসুন নতুন করে আরেকটা সংগ্রাম শুরু করি’
এতে বলা হয়, গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন চলার সময় দুইজন সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ িহয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কারো গাফিলতি, কোনো পক্ষের উস্কানি বা কারো অবহেলা, অসতর্কতা ছিল কি-না এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চত করেছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর জালাল উদ্দিন। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মো. বদরুল আলমকে আহ্বায়ক করে চন্ডীপাশা ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য আহ্বায়ক কমিটিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চন্ডীপাশা ইউনিয়নের চন্ডীপাশা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ৩ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা ডাকে ইউনিয়ন বিএনপি। এ সময় সভা চলাকালে ওয়ার্ডের দুই সভাপতি প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষই চেয়ার দিয়ে অন্য পক্ষে লোকজনকে আঘাত করে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
ঢাকা/রুমন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র স ঘর ষ সদস য উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।
‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।
বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।