চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঘুমের ওষুধ না দেওয়ায় ওষুধের দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পিটিয়ে আহত করা হয়েছে ফার্মাসিস্ট ফজলুল হক ও মার্কেট মালিক আব্দুল জব্বারকে। শনিবার সন্ধ্যায় মধুপুর পৌর শহরের ময়মনসিংহ সড়কের সোহাগ ফার্মেসিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রতিবাদে আজ রোববার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। একই দিন মধুপুর থানায় ১২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়ে ১৫-২০ জনকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌর শহরের সওদাগর পাড়ার মাহফুজ, জুয়েল, সুলতান, সোহাগ, নাদিমদের নেতৃত্ব ২০-২৫ জন কিশোর তরুণ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোহাগ ফার্মেসিতে হামলা করে। হাতের অস্ত্র দিয়ে ওষুধের দোকানের মালিক ফজলুলকে আঘাত করে। ফেরাতে গিয়ে আহত হন মার্কেটের মালিক আব্দুল জব্বার। এ সময় হামলাকারীরা দোকানে ঢুকে তছনছ করে ও লুটপাট চালায়। মালিক ফজলুল হক দোকান ভাঙচুর, দেড় লাখ টাকা ও ওষুধপত্র লুটের অভিযোগ করেছেন।

আহত ফজলুল হকের ছেলে সোহাগ বলেন, ঘটনার আগে সওদাগর পাড়ার এক লোকের সঙ্গে সামান্য বিষয় নিয়ে তার কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ফার্মেসিতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ চায় ওই লোক। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঘুমের ওষুধ দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে হামলা চালায়।

এ ঘটনার প্রতিবাদে মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতির আয়োজনে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। সমিতির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক মিনজুর রহমান নান্নু সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদ সরকার, রবি প্রমুখ। দ্রুত দোষীদের আটক করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল কবির। জড়িতদের আটকের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। মধুপুরকে যে কোনো মূল্যে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়ে সকলের সহায়তা কামনা করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতিও শনিবার রাতেই মাইকিং করে দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করে। 

মামলার পর থেকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে আসামিরা। যে কারণে বক্তব্য জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল কবির জানান, দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস ফজল ল

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোনায় গণসংবর্ধনায় বাবর বললেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে

নেত্রকোনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে জেলা বিএনপি এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে। সংবর্ধনায় বাবর বলেন, দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। দেশবাসী যেন ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না দেন।

আরও পড়ুনমনোবল বাড়াতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গেলেন বাবর১৯ ঘণ্টা আগে

সংবর্ধনা নিয়ে প্রায় সাত মিনিট বক্তব্য দেন লুৎফুজ্জামান বাবর। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অন্যায় করিনি। কিন্তু একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কারাগারে রাখা হয়েছিল। আল্লাহপাক আপনাদের দোয়া কবুল করে আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। দেশের জনগণের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আমি কোনো কাজ করিনি। জনগণের স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমি জীবন দিতে প্রস্তুত।’

সত্যের জয় হয়েছে দাবি করে বাবর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার নেতা তারেক রহমান ও নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মিথ্যা সাক্ষী দিতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু আমি এসব পরোয়া করিনি। শুধু আল্লাহকে ডেকেছি। সত্যের জয় হয়েছে।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বাবর বলেন, ‘দেশে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে দলীয় নেতা-কর্মী, ভাই-বোনদের বলছি, আপনারা কোনো ফাঁদে পা দেবেন না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে আমি বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার যাতে আসতে পারে, সে জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা নতুন দেশ গড়ে তুলব। নির্বাচনে যদি আমরা জয়ী হই, আমার নিজ জেলা নেত্রকোনায় বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে।’

গণসংবর্ধনায় বক্তব্য দিচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপিনেতা লুৎফুজ্জামান বাবর। রোববার বিকেলে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ