তাঁতী দল-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত ৫ জন
Published: 16th, February 2025 GMT
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন তাঁতী দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। ওয়াইফাইয়ের সংযোগ তার কেটে নেওয়ার জেরে শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– জেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব মানিক হাওলাদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাগর, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন ফরাজী, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাজিব হোসেন, তাঁতী দল নেতা হাসান। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে ইন্দুরকানী বাজারের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম খানের ভবানীপুর এলাকার ওয়াইফাই সংযোগের তার কেটে নিয়ে যায় কে বা কারা। এই খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহীন ফরাজী ঘটনাস্থলে গেলে জেলা তাঁতী দলের নেতা মানিক হাওলাদারের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের হামলায় পাঁচ নেতাকর্মী আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর কবির মান্নু জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সুস্থ হলে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল স ঘর ষ ব এনপ আহত ছ ত রদল স ঘর ষ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চবিতে বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বর থেকে শুরু হয়ে জারুল তলায় এসে এ শোভাযাত্রা শেষ হয়।
নববর্ষ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আমন্ত্রিত ব্যান্ড দল ‘সরলা’ এর পরিবেশনা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা, বলি খেলা, বউচি খেলা এবং কাবাডি খেলা।
আরো পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে চবিতে বিক্ষোভ
দেশের প্রথম জাহাজ নিয়ন্ত্রণ অফিস ‘দেয়াঙ কেল্লা’
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। তবে এ উৎসব ঘিরে যাতে কোনো সাংস্কৃতিক বিকৃতি না ঘটে, সেদিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আজকের বৈশাখের দিনে আমাদের উজ্জীবিত হতে হবে নিজস্ব সংস্কৃতির উন্নয়নে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, আমাদের সংস্কৃতিবানদের কাছে এমনটা দেখতে পাচ্ছি না। এদিনে শুধু একটিই গান শুনি- ‘এসো হে বৈশাখ’। কেনো বৈশাখের উপরে কি দশবিশটা গান থাকতে পারে না?”
তিনি আরো বলেন, “নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই, নিজস্ব শেকড়ের গান রচনা করতে হবে। বৈশাখের চেতনা হচ্ছে- অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সুস্থতার লালন করা।”
ঢাকা/মিজান/মেহেদী