শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একছত্র অপশাসন কায়েম করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একছত্র অপশাসন কায়েম করেছিল। জনগণের আস্থা অর্জনে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই।’’ 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘স্বৈরাচার খুনি আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করে গেছে। নির্বাচনের নামে দেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রহসন করেছে। বিরোধীদলের প্রতি দমন, পীড়ন, মিথ্যা মামলা ও নেতাকর্মীদের গুম, খুন করা হয়েছে। জোর করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি আওয়ামী লীগ।’’ 

আরো পড়ুন:

তিস্তা ইস্যুতে বিএনপির দুই দিনের নতুন কর্মসূচি

যে কোনো মূল্যে স্বৈরাচারের বিচার করতে হবে: তারেক রহমান

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। তিনি বক্তব্যে বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার, রাজনীতির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে, আজ সময় এসেছে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার।’’

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে নড়াইল জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু।

এ সময় নড়াইলের চারটি উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/শরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র ক রহম ন আওয় ম ল গ ত র ক রহম ন ব এনপ র ম কর ছ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা

'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।

‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।

বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
  • অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কি না, তা মানুষের ‘রাডারে’ রয়েছে: মঈন খান
  • ‘আধিপত্যবাদী শক্তি ষড়যন্ত্র করে আসছে মহল বিশেষের তাবেদারির জন্য’
  • নীতি নির্ধারণে নাগরিকের অংশগ্রহণ
  • বারবার কোল বদল করা কিছু দলের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে: সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন
  • শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে সমাবেশ
  • বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের প্রত্যাশায় মানুষ বসে আছে: দুদু
  • স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহস–শক্তি পররাষ্ট্রনীতির উপাদান হতে পারে
  • স্বৈরাচার পতন হলেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি: মঈন খান
  • রাজনৈতিক ঐক্যের ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা