কড়াইল বস্তিতে ডেকে নিয়ে যুবককে গুলি
Published: 16th, February 2025 GMT
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে হোসেন আলী (২৮) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হোসেন আলীর স্বজনেরা বলছেন, পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বস্তির বাসিন্দা মো. এরশাদ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আলীর পেটে গুলি করেন।
বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার সমকালকে বলেন, গুলির ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা মজিবুর রহমান বাদি হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে এ গুলির ঘটনা ঘটেছে। আসামি এরশাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মাদক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গুলিবিদ্ধ হোসেন আলীর ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম জানান, আলী গুলশানের একটি ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানের টেকনিশিয়ান। কড়াইলের কুমিল্লা পট্টিতে বাস করেন। তার ৩-৪টা ঘরের পরই বাস করেন এরশাদ। আনুমানিক ১৫ দিন আগে এরশাদের কাছ থেকে আলী এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা পরিশোধ করতে দেরি হওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে এরশাদ আজ দুপুর ১২টার দিকে আলীকে বাসা থেকে বস্তি সংলগ্ন লেকপাড়ে ডেকে নিয়ে গুলি করেন। পরে পালিয়ে যান। আলীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এরশ দ
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।