ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে রানা মন্ডল নামে এক যুবকের ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার শড়াতলা গ্রামে নিজ ঘর থেকে গলাই গামছা পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। রানা ওই গ্রামের মঈনুদ্দিন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রানার স্ত্রী শম্পা খাতুনকে আটক করেছে।

রানার স্বজনদের দাবি, বনিবনা না হওয়ায় রানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে শম্পা খাতুন। পরে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।

সদর মন্ডল নামে এক প্রতিবেশি জানান, রানা এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। গ্রামে একটি চায়ের দোকান ছিল তার। এছাড়া সে কৃষিকাজও করতো। স্ত্রীর সঙ্গে তার বেশকিছুদিন ধরে বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ হতো।

রানার মা পারভিনা খাতুনের ভাষ্য, কয়েকদিন ধরে পুত্রবধূর সঙ্গে ছেলের মনোমালিন্য চলছিল। তার ছেলে বাড়িতে খাওয়া দাওয়াও করত না। ঘটনার দিন দুপুরের আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। পরে ছেলে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় তার স্ত্রী বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুঁলিয়ে রাখে। একই ভাষ্য রানার বাবা মাঈনুদ্দিন মন্ডলের।

অভিযোগ অস্বীকার করে ওই যুবকের স্ত্রী শম্পা খাতুন দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি রান্নাঘরে রান্না করছিলেন। পরে খবর পেয়ে অন্যদের সঙ্গে ঘরে গিয়ে স্বামীকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আড়ায় ঝুলে থাকতে দেখেন।

হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই যুবকের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না: জামায়াত আমির

লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না। অতীতে সোনার বাংলা গড়ার নামে শোষণ হয়েছে, কিন্তু এখন এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে পেশিশক্তির মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

শনিবার সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে আয়োজিত এই জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এড. আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আজীম প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এসব বন্ধ করুন। যদি কেউ খাদ্য সংকটে থাকে, আমরা তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করব।

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির। জনসভায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ