বিএনপির বর্ধিত সভা ২৭ ফেব্রুয়ারি
Published: 16th, February 2025 GMT
বিএনপির বর্ধিত সভা ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্য এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা অংশ নেবেন।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন রিজভী। তবে কোথায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে, তা বলেননি তিনি।
বর্ধিত সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন রুহুল কবির রিজভী আহ্বায়ক, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মওদুদ হোসেন আলমগীর, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, মাহবুবের রহমান শামীম, সৈয়দ শাহীন শওকত, আসাদুল হাবিব দুলু, জি কে গউছ, সেলিম ভূঁইয়া, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নাসির উদ্দিন অসীম, আজিজুল বারী হেলাল, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী, মোর্শেদ হাসান খান, রফিকুল ইসলাম সদস্য, রফিকুল আলম মজনু ও আমিনুল হক।
এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটিতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আহ্বায়ক, অভ্যর্থনা কমিটিতে হাবিব উন-নবী খান সোহেল আহ্বায়ক ও আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী সদস্য, আপ্যায়ন কমিটিতে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত আহ্বায়ক, শৃঙ্খলা কমিটিতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু আহ্বায়ক, মিডিয়া কমিটিতে মওদুদ হোসেন আলমগীর আহ্বায়ক, চিকিৎসাসেবা কমিটিতে রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র কম ট ত ইসল ম ল আলম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি, এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনার কয়রায় ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আলমগীর হোসেন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী এ মামলা করেছেন। মামলায় কয়রা থানা-পুলিশের এসআই মো. সালাউদ্দীনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদি আলমগীর হোসেন বিএনপির কর্মী হওয়ায় বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন এসআই সালাউদ্দীন। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় গত বছরের ২৫ জুন রাত ১০টার দিকে কয়েকজন সহযোগীসহ তিনি বাদির বাড়িতে উপস্থিত হন। প্রথমে বাদিকে সরকারবিরোধী হিসেবে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখানো হয়। পরে এক লাখ টাকা দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করার একপর্যায়ে এসআই সালাউদ্দীন ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী সন্তানের সামনে তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। এ সময় বাদির স্ত্রী ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা এসআইকে দিয়ে স্বামীকে ছাড়িয়ে নেন। বাকি ৫০ হাজার টাকা কয়েকদিনের মধ্যে না দিলে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে আসেন তিনি। দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ওই সময়ে একটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় ব্যবসায়ীকে।
মামলার সাক্ষী ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী বলেন, ‘দারোগা সাহেব সকলের সামনে আমার স্বামীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি করেন। স্বামীকে বাঁচাতে ওই রাতে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে টাকা দিয়েছি তাকে। তবুও আমার স্বামীকে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ হয়ে ডাকাতের মতো আচরণ করেছেন তিনি।’
জানতে চাইলে এসআই সালাউদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মামলার বাদী আলমগীর হোসেনকে আমি চিনি না। তিনি কেন আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন বুঝতেছি না।’
আদালতের পেশকার মাইনুল হোসেন জানিয়েছেন, আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।