Risingbd:
2025-04-18@09:42:15 GMT

কুবিতে ব্যতিক্রমী বসন্ত মেলা

Published: 16th, February 2025 GMT

কুবিতে ব্যতিক্রমী বসন্ত মেলা

নানা ধরনের পণ্যে সাজানো একেকটি স্টল। কোনো স্টলে আছে রঙ-বেরঙের গহনা, কোথাও আবার সাজসজ্জার উপকরণ। সেই সঙ্গে আছে হাতে বানানো বাহারি জাতের কেক ও পিঠা। এসব পণ্যের সমাহারে বসন্তের বার্তা নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দিনব্যাপী চলছে বসন্ত মেলা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বর সংলগ্ন বাস মাঠে এ ব্যতিক্রমধর্মী মেলা শুরু হয়। 

কুবির সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তনের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কয়েকটি স্টল বসিয়েছে। অহল্যা, প্রত্নের রত্ন, কর্ণকথা, দিঘীর চাপ, প্রগতি বই ঘরসহ আরো কয়েকটি স্টল রয়েছে।

এসব স্টলে গয়না, কেক, চকলেট, বই, পিঠা রয়েছে। খাবার ও গয়না শিক্ষার্থীদের নিজেদের হাতে তৈরি। স্টলগুলোতে রয়েছে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। শিক্ষার্থীরা কেনাকাটায় ব্যস্ত।

অন্যদিকে, বসন্ত উৎসব-১৪৩১ উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে এখন চলছে উৎসবের আমেজ।

অহল্যা স্টলের উদ্যোক্তা ফেরদৌসী আক্তার বলেন, “আমার স্টলে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। এ রকম মেলার মাধ্যমে শিল্প উদ্যোক্তারা সবার নিকট পণ্য পৌঁছে দিতে পারবে। ক্যাম্পাসে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। এমন মেলা প্রতি বছর অব্যাহত থাকুক।”

বসন্ত মেলার আয়োজন নিয়ে প্রতিবর্তনের সভাপতি উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, “বসন্তকাল বাঙালির সংস্কৃতি, হৃদয় এবং জীবনযাত্রার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বসন্তের এই আনন্দকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং সব শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবারের ন্যায় এবারো আয়োজন করেছি প্রতিবর্তন বসন্ত উৎসব- ১৪৩১।”

তিনি বলেন, “এর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের উদ্যোক্তাদের নিয়ে আমরা একটি মেলার আয়োজন করেছি। সবার সহযোগিতায় সুন্দর একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বসন ত

এছাড়াও পড়ুন:

হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন সন্তানদের

‘কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। দোষ থাকলে, অন্যায় করলে উপযুক্ত শাস্তি দিন। তবু সন্তান হারানোর বেদনা যেন কারও বুকে না লাগে। আমি হাত জোড় করছি, আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিন।’

গতকাল বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে এমন আকুতিই জানান অপহৃত দিব্যি চাকমার মা ভারতী দেওয়ান। বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ির কুকিছড়া থেকে ফেরার পথে গত বুধবার ভোর ৬টার দিকে পাহাড়ি পাঁচ শিক্ষার্থী অপহৃত হন। এ অপহরণের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফকে (প্রসীত) দায়ী করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধরে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

পিসিপির কেন্দ্রীয় শাখার সভাপতি নিপন ত্রিপুরা বৃহস্পতিবার সমকালকে বলেন, ‘আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি, ইউপিডিএফ অপহৃতদের অভিভাবকদের একটি স্থানে ডেকেছে। বিকেলে অভিভাবকরা সেখানকার উদ্দেশে রওনা হন। পরে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি।’ তিনি অবিলম্বে অপহৃতদের সুস্থ শরীরে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, অপহরণকারীরা সকালে একটি স্থানের নাম বলেছিল অভিভাবকদের। পরে পরিবর্তন করে আরেকটি স্থানে ডাকে। বিকেল থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

অপহৃতরা হলেন– চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পিসিপির চবি শাখার সদস্য রিশন চাকমা, চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী অলড্রিন ত্রিপুরা, একই বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো। তাদের মধ্যে রিশন চাকমার বাড়ি রাঙামাটির জুরাছড়ির মৈদং ইউনিয়নের জামেরছড়িতে। লংঙি ম্রোর বাড়ি বান্দরবানের আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে; একই জেলায় বাড় অলড্রিন ত্রিপুরার; রাঙামাটির বরকল সদরের চাইল্যাতুলিতে দিব্যি চাকমা ও একই জেলার বাঘাইছড়ির বটতলায় মৈত্রীময় চাকমার।

এর আগে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব উপলক্ষে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যান। উৎসব শেষে গত মঙ্গলবার তারা চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দীঘিনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে আসেন। সেখানে বাসের টিকিট না পাওয়ায় খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছুদূরে পানছড়ি সড়কের কুকিছড়ায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেন। গত বুধবার ভোরে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক জায়গায় দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাদের অপহরণ করে। 

এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ১৮৩ আদিবাসী শিক্ষার্থী যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথী ভুবন চাকমার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থী বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হলেও তাদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মানবাধিকারবিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থি। অপহৃতদের উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।

ইতোমধ্যে অপহৃতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ঢাকা সেনানিবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে অপহরণের শিকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের অবস্থান কিছুটা শনাক্ত করা গেছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, বিভিন্নভাবে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে আসলে ঘটনাটি কী, কাদের হেফাজতে তারা রয়েছে। যৌথ অভিযানে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছুটির দিনে ওটিটিতে দেখতে পারেন যে সিনেমা ও সিরিজ
  • হাত জোড় করছি, ফিরিয়ে দিন সন্তানদের
  • কক্সবাজারে রাখাইন সম্প্রদায়ের তিন দিনের সাংগ্রাইং উৎসব শুরু
  • শাকিবের জন্য এলাহি আয়োজন
  • হবিগঞ্জে বোরো ধান কাটা উৎসব উদযাপন
  • হাওরে ধান কাটার উৎসব
  • সাংগ্রাই জলোৎসবে মৈত্রী বর্ষণে পরিশুদ্ধ হৃদয়
  • মারমাদের মৈত্রী পানিবর্ষণ উৎসব যে কারণে হয়, যেভাবে এল
  • ‌‌‌‘সন্তানের উসিলায় আজীবন পহেলা বৈশাখ ভিন্নভাবে পালন করতে পারব’
  • রাঙামাটিতে গুর্খা সম্মেলন ও গুণীজন সম্মাননা