রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক তৌফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. ইব্রাহিম আনছারি অপূর্বকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক মো.

হানিফ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

এর আগে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপি পুলিশ।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯ জুলাই বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে প্রগতি সরণির রাস্তায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী ইসমত জাহান ইলোরা বাদী হয়ে গত বছরের ২৮ জুলাই বাড্ডা থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার ইব্রাহিম আনছারি অপূর্ব সে মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।

বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ