বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে নির্বাচনই একমাত্র পথ যার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্রে পৌঁছাতে পারি। আর সেটা আমাদের ক্রিকেট, ফুটবল, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ সর্বক্ষেত্রেই সেটাই একমাত্র পথ। সামনে এগিয়ে যাওয়ার। আমরা ভবিষ্যতে প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা নতুন আরেকটা সংগ্রাম শুরু করি।”

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে (বড় মাঠ) ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির উদ্যোগে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ ও ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিল। সেই সুযোগ যেন আমরা গ্রহণ করি। তাই খেলাধুলা, সংস্কৃতি, সামাজিক জীবন, শিক্ষাক্ষেত্রে সব সর্বক্ষেত্রেই আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাই।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গত ১৫ বছর আমরা ভয়ংকর সময় পার করেছি৷ একটা পাথর আমাদের বুকে ছিল। সেই পাথর আমাদের খেলার মাঠগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের ফুটবল-ক্রিকেটসহ ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় আজকে সারা বাংলাদেশ ফুটবল টুর্নামেন্ট করা হচ্ছে।”

জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার বিএনপির ৮টি দল অংশগ্রহণ করেন এবং আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান খেলা আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করেন দিনাজপুর জেলা বিএনপি বনাম পঞ্চগড় জেলা বিএনপি।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক মো.

আমিনুল হক, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন আজাদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন; 

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড় সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, ঠাকুরগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফুটবল লীগ পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ সহ ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/হিমেল/এস 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ল ইসল ম আম দ র কম ট র ফ টবল ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

সারজিসের ১০০ গাড়ি নিয়ে ‘শোডাউন’, যা বললেন ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন (নির্বাচনী প্রচারাভিযান) করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সোমবার ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। সৈয়দপুর থেকে তিনি সড়কপথে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে সারজিস আলমের এই ‘শোডাউন’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এ নিয়ে আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলও কথা বললেন।

আরো পড়ুন:

দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

দেশের চলমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন: ফখরুল

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের সঙ্গে আছে। অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি অবশ্যই জয়যুক্ত হবে। জনগণ যাতে বিএনপিকে ভালো বলে—এমন কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে এমন সংকট তৈরি হয়েছে যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত আজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে, যেটা তাঁরা কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা আমাদের দেশকে রক্ষা করে, যারা সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়, তাদের কখনোই আমরা বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।’

সংস্কার কোনো নতুন জিনিস নয় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের অনেকগুলো বিশাল পাহাড় নিয়ে এসেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে যেতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া আর কোনো পদ্ধতি আছে, যাতে জনগণের কল্যাণ হতে পারে? আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যাতে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়, অন্য কাউকে সাহায্য করা যায়, দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়—সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জনগণ সরকার পরিবর্তন করতে পারে। আর ভোট দেওয়ার সুযোগ না পেলে বিতাড়িত করে সরকার পরিবর্তন করে জনগণ। এরশাদ গণতন্ত্র হত্যা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন। ছাত্র-জনতা তাকে বিদায় করেছিল। একইভাবে শেখ হাসিনাকেও বিদায় করা হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, নানাভাবে অসিলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে অসিলা সৃষ্টি করে জাতীয় নির্বাচনকে পেছানোর চেষ্টা চলছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সব বুঝি, কিন্তু বলতে চাই না।’

অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে মানুষ নির্বাচনমুখী হবে। তখন যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র আর টিকতে পারবে না।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও আহমদ আজম খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মামুন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

ঢাকা/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগকে গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবতে পারি না
  • একাত্তর ও চব্বিশ সমান যারা বলে, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি
  • গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান
  • সারজিসের ১০০ গাড়ি নিয়ে ‘শোডাউন’, যা বললেন ফখরুল
  • নারীরা কীভাবে ইতিকাফ করবেন
  • ‘দেশটা কারও বাপের না’ বললে আমার গায়ে লাগে: মির্জা আব্বাস
  • দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
  • মিয়ানমারকে নিয়ে ট্রাম্প এখন কী করবেন
  • ছাত্রনেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে: নুরুল হক
  • খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল