বিভিন্ন মুভির চরিত্র নিয়ে কনটেন্ট বানান ওমর, জানালেন নিজের গল্প
Published: 16th, February 2025 GMT
কিছু বছর আগেও কনটেন্ট ক্রিয়েটকে তেমন কোনো পেশা বলেই মনে করা হতো না। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে এটি বেশ জনপ্রিয় এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মতো পেশা। তেমনই একজন পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ওমর। যিনি ২০১৯ সাল থেকে দর্শকদের বিনোদন দিয়ে আসছেন। তিনি মজার ভিডিও, ব্লগ এবং শর্ট রিলস তৈরি করেন, যা সব বয়সের মানুষ পছন্দ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওমরের জনপ্রিয়তা বেশ ভালো। ওমরের ফেসবুক পেজে ৬.
এছাড়া, ইউটিউবে তার ৩.৫ মিলিয়নের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি মুভি চরিত্র নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করেন, রিভিউ দেন এবং শর্ট ভিডিও বানান। ইংরেজিতে তার ইউটিউব চ্যানেলের নাম ‘ওমর অন ফায়ার’।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ওমরের যাত্রাটা সহজ ছিল না। তিনি ৮টির বেশি ফেসবুক পেজ হারিয়েছেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে সমস্যা হওয়ার কারণে ২ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবারের একটি ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দিতে হয়েছিল। এছাড়া, তিনি তিনটি ইউটিউব চ্যানেল ছেড়ে দিয়ে নতুন করে শুরু করেন।
ওমর বলেন, ‘এই পথচলা একদম সহজ ছিল না। কনটেন্ট ক্রিয়েশন অনেক কঠিন, কারণ যখন আপনি জনপ্রিয় হতে থাকবেন, তখন কিছু মানুষ ইচ্ছে করে আপনাকে ফেক কপিরাইট দিয়ে সমস্যায় ফেলবে। কিন্তু আমার দর্শকরা আমার পাশে আছে, ভালোবাসা দিচ্ছে, এটাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।’
ওমর তার মা ও নানির কাছে বড় হয়েছেন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে থেকেও তিনি নিজের স্বপ্নকে ছাড়েননি। তার কনটেন্ট তৈরি করার প্রতি ভালোবাসা তাকে সবসময় সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘এখন আলহামদুল্লাহ কনটেন্ট ক্রিয়েট করেই আমি স্বাবলম্বী। আগে যারা আমাকে তাচ্ছিল্য করতেন তারাই এখন আমার থেকে পরামর্শ নেন।’ ওমর জানান, কনটেন্ট ক্রিয়েট করে তার মুনাফা দিয়েই বেশ ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।
ভবিষ্যতে, ওমর কনটেন্ট ক্রিয়েশনের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী হতে চান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনট ন ট ক র য় ট
এছাড়াও পড়ুন:
যেভাবে ভালো থাকবে এসি
প্রতিটি যন্ত্রেরই চাই যত্ন। শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসিও এর ব্যতিক্রম নয়। নিয়মিত দেখভাল করতে হয় এ যন্ত্রটিকেও। এসি রক্ষণাবেক্ষণ আদতে খুব কঠিন কাজ নয়। তবে এ ব্যাপারে দক্ষ পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া উচিত। অদক্ষ হাতে পড়লে যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। পরে মুশকিলে পড়তে পারেন আপনি।
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চিফ বিজনেস অফিসার (এসি) মো. তানভীর রহমান বলছিলেন, বছরে অন্তত দুবার এসি রক্ষণাবেক্ষণে দক্ষ ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। যে প্রতিষ্ঠান থেকে এসি কেনা হয়েছে, সেখান থেকেই সব ধরনের বিক্রয়োত্তর সেবা নেওয়া উচিত। রক্ষণাবেক্ষণের কাজটিও তাদের দিয়েই করানো ভালো। যন্ত্রের ভেতরকার সব ঠিকঠাক আছে কি না, তা যেমন দেখে দেবেন দক্ষ পেশাদার ব্যক্তি, তেমনি তা সতর্কতার সঙ্গে পরিষ্কারও করে দেবেন তিনি।
যেমন যত্ন চাইএসি রক্ষণাবেক্ষণে বছরের যে দুই সময় পেশাদার ব্যক্তির সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন, তার একটি হলো গরমের শুরুতে। শীতের সময় দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার হয় না। গরমের শুরুতে, এসি ব্যবহার শুরুর আগেই তাই দেখিয়ে নিতে হবে ঘরের ভেতর এবং বাইরের দিকে থাকা এসির সব অংশই। এসির যে অংশ ঘরের বাইরে আছে, সেখানে উচ্চ ভোল্টেজ থাকে। অদক্ষ ব্যক্তির এখানে হাত দেওয়াটা বিপজ্জনক। এই অংশে ময়লা-আবর্জনা জমা হতে পারে। আবার কোনো প্রাণী সেখানে আশ্রয়ও নিয়ে থাকতে পারে শীত মৌসুমে। তাদের সাবধানে সরিয়ে দিতে হবে, যাতে কোনো মানুষের ক্ষতি না হয় এবং প্রাণীটিও নিরাপদে চলে যেতে পারে। মনে রাখবেন, পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য প্রতিটি সৃষ্টিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার আশপাশে আশ্রয় নিলেও তাদের মারতে নেই। আর প্রচণ্ড গরমের মৌসুম পেরিয়ে গেলে আবার এসির ‘বিশ্রাম’-এর পালা যখন শুরু হবে, তখনো পেশাদার ব্যক্তিকে ডেকে এসির রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করিয়ে নেবেন।
নিজেদের কিছু দায়িত্বমো. তানভীর রহমান জানালেন, তাঁরা তাঁদের গ্রাহকদের এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন। কারণ, বাতাসের ধুলাবালি এসির ফিল্টারে জমে যায়। প্রতি মাসে নিজেই এই কাজ করে নিতে পারেন একজন গ্রাহক। বছরের যে সময়ে পেশাদার ব্যক্তির সাহায্য নেওয়া হয়, প্রয়োজন হলে সেই সময়ই একজন গ্রাহক তাঁর কাছ থেকে এই যত্নের নিয়মটা শিখে নিতে পারেন। বাতাসে অতিরিক্ত ধুলাবালি থাকলে অবশ্য মাসে একবারের বেশিও এই যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। যে মৌসুমে এসি ব্যবহার করা হয় না, তখন অবশ্য ফিল্টার পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই।
যত্নের অভাবে...সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হলেই যে আপনার এসি দুম করে বন্ধ হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। তবে এসির কর্মক্ষমতা ঠিক রাখতে নিয়মিত যত্নের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মের প্রখর রোদে আরামদায়ক ঠান্ডা হাওয়া পেতেই আপনি নিশ্চয়ই এসি কিনেছেন? বাতাসকে ঠান্ডা করে তোলার সেই কাজটাই কিন্তু ব্যাহত হতে পারে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এসির বাতাসের প্রবাহ ঠিক রাখতে চাই নিয়মিত যত্ন। এসি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দুর্গন্ধও হয়। বিদ্যুৎ খরচও বাড়ে। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, যত্নের অভাবেই বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে মারাত্মক কোনো বিপর্যয় ঘটে যাক, এ তো কেউই চান না। তাই নিয়ম মেনে চলার চর্চা করাই ভালো।
এসি চালানোর সময়বাইরে থেকে ফেরার পর খুব গরম লাগলে কী করেন আপনি? অনেকে হয়তো এমন পরিস্থিতিতে খুব কম একটা তাপমাত্রা ‘সেট’ করে দেন এসিতে। একটু বেশি গরম অনুভব করলেই অনেকে এরকমটা করে থাকেন। এটি কিন্তু আদতে খুব একটা ভালো অভ্যাস নয়। এসি নিঃসন্দেহেই আরামের অনুষঙ্গ। তবে তার মানে আবার এও নয় যে আপনি অন্দরকে অতিরিক্ত ঠান্ডা করে রাখবেন। খুব গরম থেকে এসে অতিরিক্ত ঠান্ডায় কারও কারও শরীর খারাপ করতে পারে। উল্টোটা ঘটলে, অর্থাৎ খুব ঠান্ডা থেকে বাইরের গরম পরিবেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়লেও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই সব সময় স্বস্তিদায়ক, মাঝারি ধরনের একটা তাপমাত্রায় এসি চালানো উচিত। তা সবদিক থেকেই ভালো। এটি কিন্তু পৃথিবীর প্রতি আপনার দায়িত্বশীলতারও পরিচায়ক। এসির তাপমাত্রা অতিরিক্ত না কমিয়ে বরং এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানও চালিয়ে নিতে পারেন আপনি। তাহলে ঠান্ডা বাতাসটা ঠিকঠাক ছড়িয়ে পড়বে পুরো ঘরে। আপনি আরাম অনুভব করবেন।