স্কুলমাঠে পড়ে ছিল ঘোড়ার চামড়া-মাথা, মাংস নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা
Published: 16th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর বাজারে গভীর রাতে ঘোড়া জবাই করে দুর্বৃত্তরা মাংস নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে হাটগোপালপুর বাজার। বাজারেই পাশেই হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় এক বছর আগে রাতের আঁধারে ওই বাজারে কে বা কারা একটি অন্ধ ঘোড়া ফেলে রেখে যায়। তখন থেকে ঘোড়াটি বিদ্যালয় মাঠেই অবস্থান করছিল। মাঠের ঘাস ও মানুষের দেওয়া খাবার খেয়ে ঘোড়াটি বড় হতে থাকে। অন্ধ হওয়াই ঘোড়াটির ওপর এলাকাবাসীর সহানুভূতিও ছিল। রোববার সকালে স্কুল মাঠে ঘোড়াটির চামড়া এবং পাশেই দেহবিহীন মাথা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, ঘোড়াটি স্কুল মাঠ ও আশপাশেই ঘোরাঘুরি করত। অন্ধ হওয়াই আমরাও মাঝে মধ্যে ঘোড়াটিকে খাবার দিতাম। কিন্তু রাতের আঁধারে কোনো দুষ্কৃতিকারী ঘোড়াটি জবাই করে চামড়া ও মাথা ফেলে মাংস নিয়ে চলে গেছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদের ধারণা কোনো কসাই অথবা হোটেল ব্যবসায়ী ঘোড়াটি স্কুল মাঠেই জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। যারা এই অমানবিক কাজ যারা করেছে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব