ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর বাজারে গভীর রাতে ঘোড়া জবাই করে দুর্বৃত্তরা মাংস নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। 

জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে হাটগোপালপুর বাজার। বাজারেই পাশেই হাটগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রায় এক বছর আগে রাতের আঁধারে ওই বাজারে কে বা কারা একটি অন্ধ ঘোড়া ফেলে রেখে যায়। তখন থেকে ঘোড়াটি বিদ্যালয় মাঠেই অবস্থান করছিল। মাঠের ঘাস ও মানুষের দেওয়া খাবার খেয়ে ঘোড়াটি বড় হতে থাকে। অন্ধ হওয়াই ঘোড়াটির ওপর এলাকাবাসীর সহানুভূতিও ছিল। রোববার সকালে স্কুল মাঠে ঘোড়াটির চামড়া এবং পাশেই দেহবিহীন মাথা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।

হাটগোপালপুর বাজারের ব্যবসায়ী রইচ উদ্দিন বলেন, ঘোড়াটি স্কুল মাঠ ও আশপাশেই ঘোরাঘুরি করত। অন্ধ হওয়াই আমরাও মাঝে মধ্যে ঘোড়াটিকে খাবার দিতাম। কিন্তু রাতের আঁধারে কোনো দুষ্কৃতিকারী ঘোড়াটি জবাই করে চামড়া ও মাথা ফেলে মাংস নিয়ে চলে গেছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।  

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে সদর উপজেলার হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক আব্দুস সাত্তার বলেন, আমাদের ধারণা কোনো কসাই অথবা হোটেল ব্যবসায়ী ঘোড়াটি স্কুল মাঠেই জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে। যারা এই অমানবিক কাজ যারা করেছে তাদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। 

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ