গ্রাহকদের আরো উন্নত ও ক্যাশলেস ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপে আরো নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপ গ্রাহকরা RTGS, NPSB দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এবং BEFTN এর মাধ্যমে অন্য ব্যাংকে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন।

পাশাপাশি জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যাসিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদেও তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন। উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন গ্রাহকবান্ধব সেবাগুলো উদ্বোধন উপলক্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান গ্রাহকদের জন্য নতুন সেবার সমন্বয়ে এমবিএল রেইনবো অ্যাপের সেবাসমূহ উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের এমডি বলেন, গ্রাহকরা ঘরে বসেই ‘এমবিএল রেইনবো’ অ্যাপ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এ ছাড়া অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক, মিনি স্টেটমেন্ট, কার্ডের বিল প্রদান, মোবাইল রিচার্জ, ছজ কোড ব্যবহার করে শাখা থেকে নগদ উত্তোলন, বাংলা QR কোড এর মাধ্যমে ই কমার্স ও কেনাকাটার অর্থ প্রদান, এ-চালানের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি মাশুল যেমন ট্যাক্স, পাসপোর্ট ফি, ইউটিলিটি বিল, বীমার প্রিমিয়াম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি,  ভিসা ও এমএফএস থেকে অ্যাড মানিসহ অন্যান্য আরো সেবা এখন থেকে এমবিএল রেইবো অ্যাপে করা যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ মো.

জাকির হোসাইন, আদিল রায়হান, শামীম আহম্মদ, অসিম কুমার সাহা ও ড. মো. জাহিদ হোসেন, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ড. তাপস চন্দ্র পাল, এসইভিপিবৃন্দ শাহ্ মো. সোহেল খুরশীদ, মোহাম্মদ ইকবাল রেজওয়ান ও মেইন শাখার প্রধান মো. আব্দুল হালিম, ইভিপি ও হেড অব আইটি মুহাম্মাদ মাহমুদ হাসান, এসভিপি মো. কামরুল হোসাইন এবং হেড অব কার্ডস ও এসভিপি মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষে পুকুরে ১০ হাঁস ধরতে নামে ৪০ প্রতিযোগী

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষ ভিন্ন আয়োজনে মেতে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুরের পানিতে সাঁতরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর ছিল। এ প্রতিযোগিতা দেখতে পকুরের চারপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ পুকুরে এ আয়োজন করা হয়। ১০টি হাঁস ধরতে নামে ৪০ জন প্রতিযোগী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান ও রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার প্রমুখ।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পুকুরের দক্ষিণ পাশে ছিল। উত্তর পাশ থেকে হাঁসগুলো পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগীরা সাঁতরে এসে হাঁসগুলো ধরতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর ১০ জন প্রতিযোগী ১০টি হাঁস ধরতে সক্ষম হন।

আরো পড়ুন:

কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ 

বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস 

রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে আমরা এই ঐতিহ্য ধারণ করে আসছি। সেই আলোকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য হাঁস খেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ আয়োজনে মানুষ আনন্দ পেয়েছে।’’

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান জানান, নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর উপজেলা পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়। 

ঢাকা/লিটন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ