‘নবায়নযোগ্য শক্তি-ছুটির রিসোর্ট পূর্বাচল আরেক ধাপ এগিয়ে’
Published: 16th, February 2025 GMT
দেশে বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন বাড়ছে। বাড়ছে কলকারখানা। বাড়ছে দূষণ। সেই দূষণ মোকাবিলায় যথাযথ উদ্যোগের অনেক অভাব রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে ছুটি গ্রুপ ইকো ট্যুরিজমকে প্রোমোট করার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখতে সচেতন। এর ধারাবাহিকতায় ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচলে স্থাপন করা হলো ৫৬ কে ডব্লিউ পি সোলার প্যানেল।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় এই পরিবেশবান্ধব সোলার প্যানেলের। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমবে প্রায় ৩০ শতাংশ। প্রতি বছর কার্বন নিঃসরণ কমবে ৪৯ মেট্রিক টন এবং জ্বালানি রক্ষা পাবে প্রায় ৫১৩৪ গ্যালন। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ সৌর বিদ্যুৎ নির্ভর হবার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচল। দেশের অন্যান্য ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠান ও যদি এমন উদ্যোগ নিতে শুরু করে তাহলে বায়ু দূষণ কিছুটা হলেও হয়তো কমবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচল সর্বদা সর্বোচ্চ মানের গ্রাহক সেবা ও আপনার ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে বদ্ধপরিকর। প্রকৃতির মাঝে আধুনিক সব সুবিধাসহ ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচল বর্তমানে প্রায় ২২টি অত্যাধুনিক রুম, সুবিশাল সুইমিং পুল, নান্দনিক রেস্টুরেন্ট, নৌকা ভ্রমণ, বাচ্চাদের খেলার জায়গাসহ আরো নানা সুবিধা নিয়ে সেবায় প্রস্তুত। এখানে গ্রুপ ডে লং, ফ্যামিলি ডে লং, কাপল ডে লং ও নাইট স্টে, কর্পোরেট প্রোগ্রাম বা সেমিনার, বিয়ে, জন্মদিন, বিভিন্ন দিবস উদযাপনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া নির্মিতব্য হোটেল ছুটি হারমনিতে থাকছে বিনিয়োগের সুবিধা। প্রতিটি শেয়ার ক্রয়ে থাকছে বিভিন্ন রকম সুবিধা, যেমন ছুটি রিসোর্টে ফ্রি থাকা, বিনিয়োগের সর্বোচ্চ মুনাফা লাভসহ অনেক কিছু। ট্যুরিজম সেক্টরের এই অগ্রযাত্রায় আপনিও হতে পারেন তাদের অংশীদার।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ