আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রিকেট উন্মাদনার পারদও তুঙ্গে। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে উত্তেজনার যেন কোনো শেষ নেই। আর এই উন্মাদনাকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম টফি পুরো টুর্নামেন্ট লাইভ স্ট্রিমিং করতে যাচ্ছে। বাসায় থাকুন বা বাইরে, এমনকি অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকলেও এখন বিরামহীনভাবে সরাসরি ম্যাচ উপভোগ করা যাবে শুধুমাত্র টফিতে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। দুপুরের দিকে শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচগুলোর জন্য টফি নিরবচ্ছিন্ন লাইভ স্ট্রিমিং নিশ্চিত করবে, যেন কোনো দর্শক খেলার একটি মুহূর্তও মিস না করেন। কেবল মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে টফি সাবস্ক্রাইব করুন, আর যেকোনো জায়গা থেকে উপভোগ করুন পুরো টুর্নামেন্ট। প্রথম বল থেকে শুরু করে শেষ ওভার পর্যন্ত, যদি ফোনে থাকে টফি তাহলে খেলার কোনো অংশই মিস করতে হবে না ক্রিকেটপ্রেমীদের।

পুরো বিষয়টিকে আরো সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে বাংলালিংক ও অন্যান্য অপারেটর ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কয়েকরকম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান নিয়ে এসেছে টফি। পুরো টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে মাত্র ৯৯ টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিষয়টিকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে এতে বিকাশ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়; এটি বিশাল এক উৎসব। টফিতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, ক্রিকেটপ্রেমীরা যে যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন এই ক্রিকেট উৎসবের একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্তও মিস না করেন। আমরা বাংলাদেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ-মানসম্পন্ন স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

টুর্নামেন্ট আরো এগিয়ে আসার সাথে সাথে উত্তেজনার পারদ যেন ক্রমশ বাড়ছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এ উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলতে টফি আয়োজন করবে প্রি-ম্যাচ শো, মিড-ম্যাচ কুইজ ও ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণ। এই বছর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা! আর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টানটান উত্তেজনা এখন আপনার হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত টফি। সাবস্ক্রিপশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন: https://toffeelive.

com/en।  

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য উপভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’

হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’

কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।

এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ