জেলের জালে পাঁচ মণ ওজনের ভোল মাছ, বিক্রি হলো ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়
Published: 16th, February 2025 GMT
নাফ নদীতে ফেলা হয়েছিল টানা জাল। এ জালে ধরা পড়ল ১৯৫ কেজি (৫ দশমিক ২২ মণ) ওজনের বিশাল একটি ভোল মাছ। প্রায় চার ফুট আকারের মাছটিকে ছয়জন মিলে তুলে এনেছেন মাছের পাইকারি আড়তে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদীর ঘোলারচর এলাকায় এ মাছ ধরা পড়েছে। সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম প্রথম আলোকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শাহপরীর দ্বীপ কোনারপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ আহমদের ছেলে মোহাম্মদ কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে ভোল মাছটি ধরা পড়ে।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান বলেন, আজ ভোরে নাফ নদীর শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর অংশে ১০ থেকে ১২ জেলে টানা জাল ফেলেন। কয়েক ঘণ্টা পর জাল টানেন জেলেরা। এ সময় ছোট ছোট মাছের সঙ্গে বিশাল বড় ভোল মাছটি জালে আটকে যায়। পরে জেলেরা নাফ নদী থেকে বড় মাছটি রশি দিয়ে বেঁধে টেনে টেনে চরের ওপরে তুলে নিয়ে আসেন। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া মৎস্যঘাটে তুলে আনা হয়। এ সময় মাছটি দেখতে স্থানীয় লোকজন ভিড় জমান।
শাহপরীর দ্বীপ মিস্ত্রিপাড়া মৎস্যঘাটে এনে মাছটির দাম হাঁকানো হয়েছিল সাড়ে তিন লাখ টাকা। পরে টেকনাফ জালিয়াপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী জাফর আলম ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। পরে তিনি মাছটি টেকনাফ নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে মাছটি বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী জাফর আলম বলেন, ১ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি তিনি কেনেন। এটি টেকনাফ বড়বাজারে কেটে প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করা হবে। এ জন্য পৌরসভায় মাইকিং করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তিন মণের মতো মাছ আগাম বিক্রি হচ্ছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপের এক জেলের টানা জালে একটি বিশাল ভোল মাছ ধরা পড়ার খবর শুনেছি। শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত ভোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। এই মাছ সাধারণত ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।’
মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, সাগরে মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন ধরনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। জেলেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ হপর র দ ব প মৎস য
এছাড়াও পড়ুন:
চুয়াডাঙ্গায় বাসচাপায় ভ্যানচালকসহ নিহত ২
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় ভ্যানচালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের নয়মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক আবদুর রাজ্জাক (৬৫) এবং মোহাম্মদজমা গ্রামের চাল ব্যবসায়ী সরোয়ার হোসেন (৭০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মোহাম্মদজমা গ্রাম থেকে সরোয়ার হোসেন চালের বস্তা নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে সরোজগঞ্জ হাটে যাচ্ছিলেন। সিন্দুরিয়া গ্রামের একটি গ্রামীণ সড়ক দিয়ে এসে নয়মাইল এলাকায় মহাসড়কে ওঠার সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ভ্যানচালক ও যাত্রী নিহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
চুয়াডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, বাসের চাপায় ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং নিহত ব্যক্তিদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। তাঁদের শনাক্ত করতে সময় লেগেছে।