সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিএনপির মোংলা পৌর শাখার আহ্বায়ক ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. জুলফিকার আলী। তার বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন নিয়ে দেওয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে শহরের মাদ্রাসা রোডে তার নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মো.
নিজের বক্তব্য প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির এক জনসভায় সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করেছি। আমি বলেছিলাম— রাজনৈতিক কতিপয় ব্যক্তি পবিত্র কোরআন নিয়ে ভাওতাবাজি করে। এটি বলা আমার ভুল হয়েছে, যার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও অনুতপ্ত।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বক্তব্য খন্ডিত ও বিকৃতি আকারে উপস্থাপন করে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পরপরই আমি মহান আল্লাহ ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ব্যাখ্যা দিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে তিনি আবারও মহান আল্লাহ ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চান এবং সবাইকে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত প্রতিবদেন নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের ব্যাখা
'পুলিশকে বাঁচাতে প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদন, শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ' শিরোনামে বৃহস্পতিবার সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশের ব্যাখা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. খায়রুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে গতকাল বলা হয়-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও হত্যার ঘটনার মামলাসমূহ পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সচেষ্ট। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান। তদন্তে যাদেরই সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা বদ্ধপরিকর।
‘পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বাঁচাতে এমন বিতর্কিত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে’–এই উদ্ধৃতির প্রতিবাদ জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এরই মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততার তথ্য থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছেন। অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের কাজ চলমান।
বাংলাদেশ পুলিশ জনাকাঙ্খা পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা নির্ঘুম থেকে জনগণের শান্তির ঘুম নিশ্চিত করে, ঈদ-পূজা-পার্বনের আনন্দ উপভোগ করা থেকে পরিবার-পরিজনকে বঞ্চিত করে জনগণের আনন্দ উপভোগ নিশ্চিত করে। করোনাকালে মানবিক বিপর্যয়ের সময় পুলিশ নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এরকম অজস্র উদাহরণ রয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অগ্রগতির বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হেলাল উদ্দিন কোনও কথা বলেননি।