হবিগঞ্জের লাখাইয়ে ধলেশ্বরি খাঞ্জা বিলের দখল নিয়ে আবারও দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লাখাই উপজেলায় স্বজনগ্রামে এই সংঘর্ষ চলে। পুলিশ চেষ্টা করেও সংঘর্ষ থামাতে পারেনি। পরে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পৌঁছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে নেয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

বন্দে আলী জানান, শিবপুর গ্রামের জনকল্যাণ সমবায় সমিতি এবং সন্তোষপুর আনন্দময়ী মৎস্যজীবী সমিতির মধ্যে ধলেশ্বরী বিল দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জনকল্যাণ সমবায় সমিতির শিবপুর গ্রামের হারিছ মিয়া, স্বজনগ্রামের জিলু মুয়া, বজলু মিয়া ও স্বজনগ্রামের কামাল মিয়া আনন্দময়ী মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ নিয়ে এদের মধ্যে আগেও দুইবার সংঘর্ষ হয়েছে। রাতের আঁধারে টর্চ জ্বেলেও এই দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

তিনি বলেন, “খাঞ্জা বিলের দখল নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। কয়েক দফা সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।”

ঢাকা/আজহারুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দখল ন য় স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা

দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নানা মত-ধর্ম-রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি বরাবরই বলে এসেছি, নানা মত-ধর্ম-রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। এদেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও জনগোষ্ঠী—সবমিলিয়ে এদেশের মানুষের বিচিত্র ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য।

আরো পড়ুন:

বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবনের ফলক উন্মোচন প্রধান উপদেষ্টার

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল পহেলা বৈশাখ, আমাদের এই সম্প্রীতির অন্যতম প্রতীক। প্রত্যেকে নিজ নিজ উপায়ে, নিজেদের রীতি অনুযায়ী আগামীকালকে উদযাপন করবেন। সার্বজনীন এ উৎসবে অংশ নেবেন।

উপমহাদেশের শিক্ষার প্রসারে বৌদ্ধ বিহারগুলোর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতি প্রাচীন সময় থেকেই এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল এখানকার বৌদ্ধ বিহারগুলো। এগুলো আমাদের ঐতিহ্য ও সভ্যতার নির্দশন।

তিনি বলেন, পৃথিবীর দূর-দূরান্ত থেকে ভিক্ষু ও ছাত্ররা এ বিহারগুলোতে আসতেন। মহামানব বুদ্ধের শান্তি ও সম্প্রীতির বাণী বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেন। শুধু ধর্মীয় আচার ও শিক্ষা নয়, সমাজে জনকল্যাণকর কর্মসূচিরও কেন্দ্র ছিল এদেশের বৌদ্ধ বিহারগুলো।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ বিশ্বমানবতার কল্যাণে সম্প্রীতি ও সাম্যের বাণী প্রচার করেন। বৌদ্ধধর্ম জীবজগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করেন। মহামানব বুদ্ধ বলেছেন, শান্তি, সুখ থেকে আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে পারি না; এমনকি ক্ষুদ্র জীবকেও না।

তিনি বলেন, এদেশের বৌদ্ধ পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববরেণ্য একজন মহাপণ্ডিত। মহামানব বুদ্ধের বাণী তিনি বহন করে নিয়েছিলেন সেই মহাচীনের তিব্বতে। চীনে এখনো তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয়। বৌদ্ধ ধর্মের নির্দশন, স্থাপনা, ঐতিহ্য ও পণ্ডিতগণ মানব সভ্যতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এই আন্তজার্তিক বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নিদর্শন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীসহ বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

গৌতম বুদ্ধের অহিংসা ও সাম্যের বাণীর প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, গৌতম বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণকর কর্মসূচি পালন করে আসছে এ বৌদ্ধ বিহার। আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’ বাংলাদেশের সম্প্রীতি ও মানবতার ঐতিহ্যকে ধারণ করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গৌরবময় ভূমিকা রাখবে এই আমার প্রত্যাশা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের জয় হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নানা মত, ধর্ম ও রীতিনীতির মধ্যেও আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
  • আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
  • দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই এক পরিবার: প্রধান উপদেষ্টা