অন‌্য সবার মতো জাতীয় দলের অনুশীলন জার্সিতে নয়। মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) লিটন কুমার দাসকে দেখা গেল হলুদ রঙের জার্সি গায়ে। সঙ্গে একই রঙের হাফ প‌্যান্ট।

জাতীয় দলে নেই লিটন। চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ হয়নি পারফরম‌্যান্সের কারণে। তবে তাকে প্রস্তুত থাকতে হচ্ছে যে কোনো সময়ের জন‌্যই। বাংলা টাইগার্সের ক‌্যাম্প রোববার শুরু হয়েছে মিরপুরে। ২১ ক্রিকেটারকে নিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই ক‌্যাম্প। যেখানে জাতীয় দলে বিভিন্ন সময় থাকা এবং জাতীয় দলের ভাবনায় থাকা ক্রিকেটারদের ডাকা হয়েছে।

লিটন রোববার অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন। তার সঙ্গে মুমিনুল, শামীম, আফিফরাও ছিলেন। এই ক্যাম্প তত্ত্বাবধান করছেন কোচ সোহেল ইসলাম। লিটনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় এই ৫৪ বছর বয়সী কোচকে। প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে কোচ জানালেন, লিটনের সমস্যা খুঁজে বের করতে পেরেছেন। সেটা নিয়েই কাজ শুরু করেছেন। 

আরো পড়ুন:

লিটন-পেরেরা ২৮ বলে ৮১ রানের জুটিতে ঢাকার চ্যালেঞ্জিং স্কোর

নাহিদের পরে পিএসএলে দল পেলেন লিটন

সোহেল বলেন, “আমরা বিভিন্ন জিনিস নিয়ে কথা বলছি। কিভাবে এই জায়গাটা আরো স্মুথ করতে পারি। লিটন এখন সাময়িকভাবে স্ট্রাগল করছে। আগে তো স্মুথ ছিল। আমার মনে হয় কিছু জায়গায় অ্যাডজাস্টমেন্টের দরকার আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। ওইটা আমরা ফাইন্ড আউট করেছি এবং সেভাবেই কাজ করা শুরু করেছি।” 

“জাতীয় দলে একজন খেলোয়াড় থেকে কোচিং স্টাফরা কি চায় সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য যোগাযোগটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এজন্য এলাইন থাকছি। যেকোনো খেলোয়াড় টাইগার্স ক্যাম্প থেকে জাতীয় দলে গেলে সে যেন প্রস্তুত হয়েই যায়। আমাদের সামনে যে জাতীয় দলের খেলা হচ্ছে। সেটার পরিকল্পনা মাথায় রেখে আমাদের টাইগার্সের প্রোগ্রাম করা হয়েছে।”- যোগ করেন সোহেল।  

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “২৫ তারিখ পর্যন্ত ক‌্যাম্প চলবে। ক্লাব অনুশীলন শুরু হওয়ার পর ওরা চলে যাবে। এবার মিরপুরেই হবে পুরো ক‌্যাম্প। মূলত এই খেলোয়াড়দেরকে আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন‌্য প্রস্তুত রাখার জন‌্যই অনুশীলনের আয়োজন করা হয়েছে। যে ধরণের ট্রেনিং তারা জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় করে সেটাই রাখা হয়েছে। এরা কিছুদিন পর ঢাকা লিগে খেলবে। কিন্তু তাদের প্রস্তুত করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন‌্যই। এবং লিগও যখন খেলবে তখন যেন ওই ইমপ‌্যাক্টটা থাকে।”  

খেলোয়াড় তালিকা: লিটন দাস, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক সৌরভ, সাদমান ইসলাম অনিক, জাকির হাসান, নাঈম শেখ, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শাহাদাত হোসেন দিপু, তানভীর ইসলাম, রাকিবুল হাসান, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, হাসান মুরাদ, শেখ মাহেদী, মুশফিক হাসান, শরিফুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রিপন মন্ডল।
 

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল টন দ স জ ত য় দল ল ইসল ম ল টন র

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা তরুণদের হাতে বাংলাদেশ তুলে দিতে চাই: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাকো, আমরা তোমার কোরআনের ভিত্তিতে একটা ইনসাফের মানবিক বাংলাদেশ চাই। যেখানে সবাই সবাইকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। তুমি আমাদের সেই বাংলাদেশ দান করো।’’

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘হে তরুণেরা তোমরা জেগে ওঠো। যে সমাজে তরুণরা জেগে ওঠে, সেই সমাজ আল্লাহ বদলায়ে দেন।’’

২৪ এর আন্দোলনকারীদের ‘স্যালুট’ জানিয় জামায়াতের আমির বলেন, ‘‘তোমরা জীবন বাজি রেখে লড়াইয়ের কারণে আল্লাহ আমাদের আপাতত মুক্ত করেছেন। এবার চিরমুক্তির জন্য জেগে ওঠো। শপথ নাও, বাংলাদেশকে কোরআনের আলোকে গড়বই ইনশাআল্লাহ। চুল পাকা, দাঁড়ি পাকা আমিও তোমাদের সঙ্গে সামনের কাতারে থাকব।’’

তিনি বলেন, ‘‘তরুণেরা আমাদের স্বপ্ন। আমরা আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হাতে তুলে দিতে চাই।’’

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির বলেন, ‘‘অতীতে সোনার বাংলা কায়েম করতে গিয়ে শ্মশান বাংলা কায়েম করা হয়েছে। কোরআনই একমাত্র সোনার বাংলার গ্যারান্টি দিতে পারে, আর কিছু দিতে পারবে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘যারা কোরআন সহ্য করতে পারেন না, তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই। এই দেশের আপামর জনতা বাঁচতে চায় কোরআন বুকে নিয়ে, মরতে চায় কোরান বুকে নিয়ে; আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চায় কোরআন বুকে নিয়ে। আমাদের কোরআন থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘দেশে যতগুলো ইসলামী দল আছে, তাকিয়ে দেখুন- ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো নেতাকর্মী কারো ওপর জুলুম, চাঁদাবাজি, দখলবাজি করেছে? উত্তরা না। এর কারণ তারা কোরআনকে সম্মান করে এবং বুকে ধারণ করে। তারা আল্লাহকে ভয় করেন। যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে, তারা জুলুম করতে পারে না। তারা মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দেখে।’’

জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও মো. ফারুক হোসাইন নুর নবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, শাহজাহান চৌধুরী, ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান প্রমুখ।

দীর্ঘ ২৮ বছর পরে লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে, ১৯৯৬ সালে লক্ষ্মীপুরে খোলা ময়দানে জামায়াতের সমাবেশ হয়।

ঢাকা/লিটন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ