লামায় ২০ রাবার শ্রমিককে অপহরণের অভিযোগ
Published: 16th, February 2025 GMT
বান্দরবানের লামা ফাঁসিয়াখালীর ভিন্ন ভিন্ন রাবার বাগান থেকে ২০ জন শ্রমিককে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফাঁসিয়াখালি গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে, অপহৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
লামা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. নুরুল আনোয়ার বলেন, “অনেকগুলো রাবার বাগান আছে। কিছু অংশ লামায় পড়ছে, কিছু অংশ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পড়েছে। সেসব এলাকায় যৌথ অভিযান চলমান আছে।”
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল করিম বলেন, “প্রাথমিকভাবে জেনেছি ২০ জনের মত শ্রমিককে অপহরণ করা হয়েছে। কে বা কারা অপহরণ করেছে তা জানা যায়নি।”
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
ঢাকা/চাইমং/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানের লামার অপহরণ চক্রের চারজন গ্রেপ্তার, আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন একজন
বান্দরবানের লামায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। রাবারবাগানের ২৬ শ্রমিক অপহরণ ও মুক্তিপণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। জবানবন্দি দেওয়া ব্যক্তির নাম শিমন ত্রিপুরা। তিনি আজ শনিবার বান্দরবানের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম জানিয়েছেন।
জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপহরণকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য লামা ও বান্দরবান সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত বৃহস্পতিবার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন থানচি উপজেলার রেমাক্রির হালিরামপাড়ার পিতরাম ত্রিপুরার ছেলে শিমন ত্রিপুরা, রোয়াংছড়ি উপজেলার সাজু ত্রিপুরার দুই ছেলে জ্যাকসন ত্রিপুরা ও প্রশান্ত ত্রিপুরা এবং লামার গজালিয়ার গতিরামপাড়ার খবিচন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে জয়ন্ত ত্রিপুরা। তাঁরা ১৬ ফেব্রুয়ারি লামা ফাঁসিয়াখালীর মুরুংঝিরির ছয়টি রাবারবাগান থেকে ২৬ শ্রমিককে অপহরণ করেন। দুই দিন পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চারজনকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ব্যবহৃত সিম, সাতটি মুঠোফোন, দুটি মোটরসাইকেল, দুটি টর্চলাইট পাওয়া যায় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল করিম জানিয়েছেন, এই অপহরণকারী চক্র চলতি বছরের শুরু থেকে লামায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। তাঁদের দলে ১৪ থেকে ১৬ জন সদস্য রয়েছেন। গ্রেপ্তার শিমন ত্রিপুরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে স্বীকার করে বলেছেন, তাঁরা মুরুংঝিরি থেকে ২৬ শ্রমিক ছাড়াও সরই ইউনিয়নে গত ৪ জানুয়ারি তামাকখেতের একজন ও ১৬ জানুয়ারি সাতজন শ্রমিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছেন। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।