২০০ কেজির ভোল মাছ বিক্রি হলো ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায়
Published: 16th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে ২০০ কেজি ওজনের একটি বিশাল ভোল মাছ ধরা পড়েছে। রোববার সকালে শাহ পরীর দ্বীপের ঘোলার চর এলাকায় স্থানীয় জেলে কালু ফকিরের মালিকানাধীন টানা জালে মাছটি আটকা পড়ে।
শাহ পরীর দ্বীপ ট্রলার মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হাসান জানান, সকালে নাফ নদীর মোহনায় জেলেরা টানা জাল ফেলে। ঘণ্টাখানেক পর যখন জাল টানা হয়, তখন দেখা যায়, ছোট মাছের সঙ্গে বিশাল ভোল মাছটিও আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা রশি বেঁধে মাছটি টেনে চরের ওপরে তোলে। এরপর শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে এটি দেখতে ভিড় করেন অনেকে।
শাহ পরীর দ্বীপ কোনাপাড়ার নৌকার মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের জালে প্রথম এত বড় ভোল মাছ ধরা পড়ল। প্রথমে ৩ লাখ টাকা দাম হাঁকা হলেও, শেষ পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীত মৌসুমে ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের বোল মাছ ধরা পড়লেও এত বড় মাছ সাধারণত দেখা যায় না। সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানার কারণে মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে, যা জেলেদের জন্য লাভজনক হচ্ছে।
এদিকে মাছটি বাজারে বিক্রির জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী আবদুর শুক্কুর বলেন, প্রায় ২০০ কেজি ওজনের মাছটি আড়াই লাখ টাকায় কেনা হয়েছে। এখন বাজারে কেজি প্রতি প্রায় ১,৫০০ টাকায় বিক্রি করা হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, এত ভোল মাছ ধরা পড়া বিরল ঘটনা। জেলেরা বড় মাছ ধরে যেমন খুশি, তেমনি উৎসুক মানুষও এমন দৃশ্য দেখে আনন্দ পান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট কন ফ শ হ পর র দ ব প
এছাড়াও পড়ুন:
কথা রাখেনি দীঘি,যোগ হলেন পূজা
বছরের শুরুতে ‘টগর’ নামে নতুন এক সিনেমার নাম ঘোষণা করেন পরিচালক আলোক হাসান। অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে সেদিন নায়ক আদর আজাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে। দেড় মাস পর জানা গেল, ‘টগর’ নামের সেই ছবি থেকে বাদ পড়েছেন দীঘি। আর দীগি যে চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত হয়েছিলেন, সেটি করছেন পূজা চেরী। এরই মধ্যে দীঘিকে বাদ দিয়ে পূজা চেরীর সঙ্গে চুক্তিপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার প্রকাশিত হওয়া মোশন পোস্টারে আদর আজাদের সঙ্গে দেখা গেল পূজা চেরীকে।
দীঘিকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে পরিচালক আলোক হাসান বলেন, ‘দীঘির মধ্যে পেশাদারত্বের অভাব পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথাবার্তা হওয়ার পর থেকেই কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত পড়েনি। এমনকি তাঁর সঙ্গে ছবিটি নিয়ে আরও যা যা বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে, কোনো কথা রাখেননি দীঘি। তাই আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ছবিটি থেকে দীঘিকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
তবে দীঘির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো জটিলতা নেই। একজন পরিচালক হিসেবে নায়িকার মধ্যে পেশাদারি আচরণ না দেখার কারণে আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এটা পুরোপুরি ছবির স্বার্থে। তা না হলে একজন শিল্পীকে সাইন করিয়ে, টিজার শুট করিয়ে তাঁকে বাদ দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই। একটা টিজার শুট করার পেছনেও তো বিনিয়োগ করতে হয়েছে। সেটাও তো কোনো ছোট বিনিয়োগ নয়।