হিলি সীমান্তে রেলওয়ে ব্রিজ সংস্কারে বিএসএফের বাধা
Published: 16th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে রেলওয়ে ব্রিজের সংস্কার কাজে বিএসএফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে বিজিবি বলছে, বিএসএফের বাধা দেওয়ার কথা নয়। তারপরেও কেন তারা এমন করলো ঘটনাটি আলোচনা করে দেখা হবে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে ধরন্দা গ্রামের কয়েক গজ পশ্চিমে সীমান্তবর্তী রেলওয়ে ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হয়। সেখানে ইট-বালু দিয়ে কাজ চলছিল। গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলের কাছে এসে কাজ বন্ধ করতে বলে। এসময় শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে চলে যায়।
হিলি রেলওয়ের টাইম কিপার আরাফাত রহমান বলেন, “হিলি সীমান্তের ধরন্দা গ্রাম সংলগ্ন রেলওয়ে ব্রিজের নিচের অংশে পাথর সরে দেবে গেছে। একারণে ট্রেন ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছিল। এক সপ্তাহ আগে রেলওয়ে বিভাগ থেকে সংস্কার কাজ করার উদ্যোগ নেয়। এরপর থেকে শ্রমিকেরা এই সংস্কার কাজ শুরু করে। কাজ চলমান রয়েছে, এমন অবস্থায় গতকাল শনিবার বিকালে কোন কারণ ছাড়াই ভারতের বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা এতে বাধা দেয়। ফলে ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি স্থানীয় হিলি বিজিবি ক্যাম্পে জানানো হলে তারা গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের সাথে আলোচনা করে। এরপর বিজিবির পক্ষ থেকে কাজ শুরু করার কথা বলে। কিন্তু কাজ করতে গেলে বিএসএফ বাধা দিচ্ছে। এ কারণে শ্রমিকেরা সেখানে কাজ করতে চাচ্ছে না। বিষয়টি আবারও বিজিবিকে জানানো হয়েছে।”
হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, “শুনেছি বিএসএফ সদস্যরা ব্রিজের সংস্কার কাজ করতে দিচ্ছে না। ফলে এই রেলপথ দিয়ে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, নীলফামারী ও পঞ্চগড়গামী ট্রেন ব্রিজের উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ব্রিজের কাজ দ্রুত সংস্কার করা দরকার।”
এ বিষয়ে জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ র ব ক জ কর ব ষয়ট র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন ডিসেম্বরের পর গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নির্বাচন ডিসেম্বরের পর গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হবে। এর অর্থ কিছু অস্থিরতা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল মঈন খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার চায় বিএনপি। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে ‘জনগণের মধ্যে জোরালো অসন্তোষ’ এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে তাদের জন্য সর্বোত্তম হলো যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া এবং সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে’ এমন বক্তব্যের পর বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।